রাতারাতি সফলতা! পেছনের সত্যটা কি?
রাতারাতি সৌভাগ্য অর্জন বলতে একটা কথা প্রচলিত আছে। কর্মক্ষেত্রে অনেকেই এর দেখা পান। এ সম্পর্কে লিখেছেন ক্যারিয়ার বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অ্যাশলে স্টাল। তার মতে, সেই প্রার্থীই প্রতিষ্ঠানের চাহিদা পূরণ করেন যিনি চাকরি খোঁজার কাজে যথেষ্ট শ্রম ঢালতে পারেন। এর জন্য কেবল প্রয়োজন কিছু পরামর্শ আর দিক নির্দেশনা। আর এমন প্রার্থীরাই স্বপ্নের চাকরি পেয়ে যান এবং মোটা বেতনও জুটে যায় অনায়াসে।
কিন্তু আমরা এমন এক সমাজে বাস করি যেখানে মানুষ তাৎক্ষণিক তৃপ্তি ছাড়া তুষ্ট হতে পারেন না। এ কারণে কঠোর পরিশ্রম থেকে প্রায়ই আমাদের মনোযোগ অন্যত্র সরে যায়। তাহলে এত দ্রুত এবং সহজ উপায়ে সফলতা কিভাবে আসবে? বহু সমস্যায় জর্জরিত কর্মীদের বেতন বাড়িয়ে নিতে পরামর্শ দিয়েছেন অ্যাশলে। তার পরামর্শ শুনে বেশ সফলতা পেয়েছেন তারা।
কঠোর পরিশ্রমকে এই যুগে চরমভাবে হেয় করা হয়। সত্যিকার সফলতা অর্জনের আসলে কোনো শর্টকাট রাস্তা নেই। কল্পনায় সফলতার অনেক সহজ ও দ্রুতগতির হিসাবটি তৈরি হয়। এ কারণেই কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ‘দ্রুত ধনী হোন’ জাতীয় অফার দারুণ আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।
আপনার পরিচিত বা চেনাজানা মানুষের দিকে তাকান। যাদের আপনি সফল বলে গণ্য করেন তাদের ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করুন। এদের কেউ যদি চোখের পলকে বড়লোক হওয়ার দাবি করেন, তবে সেখান যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। এক গবেষণায় বলা হয়েছে, সফলতা অর্জনে মেধা ও বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন রয়েছে। তবে পরিশ্রম এবং তীব্র আকাঙ্ক্ষাও গুরুত্বপূর্ণ। আরেকটি গবেষণায় বলা হয়, চর্চা এবং কঠোর শ্রমের মাধ্যমে যেকোনো মানুষ উন্নত হতে থাকে। আর তা এক সময় তাকে সফলতার দিকে নিয়ে যায়।
একটা ভালো চাকরি খুঁজে বেতনটা বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ পেতেই পারেন। তবে বড় ধরনের পরিবর্তনে কৌশলী হতে হবে পরিস্থিতির বিচারে। তবেই মিলে যায় মেগা প্রমোশন এবং তা জীবন বদলে দেয়। সবকিছুতে গুণগত মানের বিষয়টি মেনে চলাতে আসলে সফলতা আসে না। তবে এর চর্চায় সফল হওয়ার গুণ অর্জন করতে পারেন। তাহলে গোটা বিষয়টি কি দাঁড়ালো? আপনি যদি বেশি সময় ব্যয় করতে চান এবং যারা চায় না, তাদের থেকে অনেক সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবেন।
অ্যাশলে আরো লিখেছেন, আমি যখন আমার ব্যবসা শুরু করি তখন জানতাম এখানে রক্ত পানি করতে হবে। কঠোর পরিশ্রম বিনা লক্ষ্যে করা যাবে না। এতে এক সময় আপনি ভেঙে পড়বেন। আমারও তেমনটা হয়েছিল। তখন আমি এক পা পিছিয়ে আবারো নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছি। গুরুত্ব অনুযায়ী কাজ করেছি। পরিশ্রমের মাধ্যমে কিছু করা হলে তাতে দারুণ তৃপ্তি আসে। ব্যর্থতা, নৈরাশ্য, অশ্রু বিসর্জন বা শঙ্কাপূর্ণ সেই মুহূর্তগুলো ছাড়া সফলতা আসবে কিভাবে। তাই কেবল সফলতাকে ভাবনায় না রেখে একটা পরিকল্পনা তৈরি করুন। মাঠে নেমে পড়ুন এবং লক্ষ্যে এগিয়ে যান।
তথ্যসূত্র : ফোর্বস