দীপাবলি - আলোর উৎসব: পর্ব ০২
সারা বাড়ি প্রদীপ আর মোমবাতি দিয়ে সাজানোর পরে বেশ কিছু রিচুয়ালস সেরে আমরা সবাই ছাদে চলে এলুম বাজির প্যাকেট নিয়ে। এবছর আমার ভাইয়ের বিয়ের কারণে বাজি কেনার টাইম পাইনি। শেষমুহূর্তে এসে কিনলাম বেশ কিছু বাজি। তবে, বিগত বছরগুলোর তুলনায় সংখ্যায় অনেকটাই কম। একে তো শেষ মুহূর্তে কেনা, তার ওপর আবার দীপাবলির কয়েক মাস পূর্বে দত্তপুকুরের যে বাজি কারখানা থেকে আমরা প্রত্যেক বছর বাজি কিনি সেই কারখানা বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছিলো।
তাই, এবছরটায় দত্তপুকুরের নীলগঞ্জ বাজির হাট বসেনি। প্রশাসন থেকে অসম্ভব কড়াকড়ি ছিল। তাই ডিরেক্ট অন্য একটা ছোট কারখানা থেকে বাজি কিনে আনি। অন্য বছর দীপাবলির সপ্তাহখানেক আগেই আমাদের বাজি কেনা শেষ হয়ে যায়, আর এবছর বাজি কিনেছি দীপাবলির দিন বিকেলবেলায়। প্রত্যেক বছর আমরা এতো বাজি কিনি যে এক সপ্তাহ ধরে ডেইলি এক ঘন্টা ধরে বাজি পুড়িয়ে তবে বাজি শেষ হয়। আর এ বছর মাত্র ঘন্টা দেড়েক বাজি পুড়িয়েই সব বাজি শেষ হয়ে গেলো।
আমি ব্যক্তিগতভাবে শব্দবাজি একটুও পছন্দ করি না। আমার পছন্দ আতশবাজি, নানান রঙের ফুলঝুরি, আলোর ঝলকানি আমার খুবই পছন্দের। এ বছর আতশবাজি কিনেছিলাম পঞ্চাশ শটের ৪ টে, ১০০ শটের ১টা। মোট ৩০০ টা আতশবাজি। ৫০ টা তারাবাজি। ৪০ টা রংমশাল। ১৮ টা ফুলঝুরি। ৩০ তা তুবড়ি। ১২ টা ঘটবাজি। ১৮ টা চরকি। আর টিনটিন বাবুর জন্য কয়েকটা লঙ্কা বাজি। এগুলো ফ্রী দিয়েছিলো দোকানদার। মাটিতে ফেলে দিলে ফুট ফুট করে ফাটে। খুবই কম শব্দ, আর আলোর ঝলকানি।
বাজি পোড়ানোর মোট তিনশোর মতো ছবি আর ১০ টা শর্ট ভিডিও করেছিলাম। সেখান থেকে বাছাই করে আজকে আর আগামী কয়েকটি পর্বে মোট ৬০টা ফটোগ্রাফ শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। আশা করছি ভালো লাগবে আপনাদের।
সর্বপ্রথম একটা আতশবাজি জ্বেলে আমাদের বাজি উৎসব উদ্বোধন করলাম।
তারিখ: ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময়: সন্ধ্যা ৭ টা ৩০ মিনিট
স্থান: কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
এরপরে একটা তুবড়ি জ্বেলে বাজি পোড়ানো উৎসব শুরু হলো।
তারিখ: ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময়: সন্ধ্যা ৭ টা ৩৫ মিনিট
স্থান: কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
আতশবাজি ফোটার পরে নিভে যাওয়ার আগের মুহূর্ত।
তারিখ: ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময়: সন্ধ্যা ৭ টা ৩৫ মিনিট
স্থান: কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
আরো দুটো বড় তুবড়ি পোড়ানো হলো। আকাশ ছুঁলো তুবড়ির আগুন।
তারিখ: ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময়: সন্ধ্যা ৭ টা ৪০ মিনিট
স্থান: কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
আরো একটা আতশবাজি ফোটার মুহূর্ত। আতশবাজি ফোটার ফোটোগ্রাফি করা খুবই টাফ।
তারিখ: ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময়: সন্ধ্যা ৭ টা ৪৫ মিনিট
স্থান: কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
এরপর পরপর আরো তিনটে তুবড়ি জ্বালানো হলো। প্রথম তুবড়িটা ছিল ছোট তুবড়ি। পরের দুটো বড়। মোট দু'রকমের তুবড়ি কেনা হয়েছিল।
তারিখ: ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময়: সন্ধ্যা ৭ টা ৫০ মিনিট
স্থান: কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
এরপর আবার তুবড়ি।
তারিখ: ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময়: সন্ধ্যা ৭ টা ৫৫ মিনিট
স্থান: কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
তারপর আবার আতশবাজি।
তারিখ: ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময়: সন্ধ্যা ৭ টা ৫৫ মিনিট
স্থান: কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
তারপর আবার তুবড়ি। এভাবে চললো আরো বেশ কিছুক্ষণ। তারপরে অন্যান্য বাজি পোড়ানো আরম্ভ হলো।
তারিখ: ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময়: সন্ধ্যা ৭ টা ৫৫ মিনিট
স্থান: কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
ক্যামেরা পরিচিতি: iPhone 15
ক্যামেরা মডেল: 15 Pro Max
ফোকাল লেংখ: 12m