আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 122
আর যদি ভাল হয়ে যায়। ক্যামেরার কায়দায় শুনেছি অসুন্দরকেও সুন্দর দেখানো যায়। তখন কী করবে।' দাদার গলায় ব্যঙ্গ।
মা হেসে উঠল, 'কী যা-তা বলিস। সিরিয়ালে কত নতুন মুখ আসছে, ভাল করছে না, আর তাদের দেখি না। তার মানে সুযোগ পাচ্ছে না। তুই যা বলছিস তাই যদি হত তা হলে সব মেয়েই
সুচিত্রা সেন হয়ে যেত।' 'সেটা কথা নয়। যদি আবার ডাক আসে তা হলে ও কী করবে।'
বাবা বললেন, 'সেই সময়টা আসুক তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।'
'দাদা বলল, 'বাবা তোমার প্রশ্রয়ে কিন্তু ও সাহস পাচ্ছে।'
'একটা সময় আসে যখন প্রশ্রয় না দিয়ে পারা যায় না।' বাবা বললেন।
মা বলল, 'তুই আপত্তি করছিস কারণ তোর ধারণা সিরিয়ালে অভিনয় করলে ওর চরিত্র নষ্ট হয়ে যাবে। আমি কিন্তু তা মনে করি না। ও যদি নিজে নিজেকে নষ্ট না করে তা হলে কেউ ওকে নষ্ট করতে পারবে না। ও সেটা করবে না বলে আমার বিশ্বাস। আমি ভাবছি অন্য কথা। নাম করুক, রোজগার করুক ভাল কথা, কিন্তু ওকে তো শেষ পর্যন্ত সংসার করতে হবে। মধ্যবিত্ত বাঙালি
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
বাড়িতে অভিনেত্রীকে বউ হিসাবে গ্রহণ করার রেওয়াজ এখনও হয়নি। বোঝা। কেন হয়নি? কারণ প্রত্যেকের মনে সন্দেহ থাকে।' দাদা বলল।
এতক্ষণে তিতির কথা বলল, 'আমাকে যে বিয়ে করতে হবেই তার কী মানে আছে? আমার যদি পরিশ্রম করার সুযোগ আর টাকা থাকে তা হলে দিব্যি বেঁচে থাকতে পারব। কারও গলগ্রহ হয়ে থাকার দরকার হবে না।'
'তুই বললেই হবে। আমাদের চিন্তা নেই ।' মা ঝাঁঝিয়ে উঠল।
'বেশ তো। সবাই তো দাদার মতো মধ্যবিত্ত মানসিকতার মানুষ নয়। কেউ কেউ তো ব্যতিক্রমও হতে পারে। তাদের মধ্যে থেকে কাউকে খুঁজে বের করা যাবে। এখনই সেই চিন্তা তোমাকে করতে হবে না।' তিতির বলল।
হঠাৎ বাবা বললেন, 'বউমাকে তুমি বলেছিলে এখানে আসতে?'
'হ্যাঁ।' দাদা মাথা নাড়ল, 'ও বাথরুমে গিয়েছে।'
'এতক্ষণ তো বাথরুমে থাকার কথা নয়। ওকে ডাকো।'
'কথা যা হওয়ার তো হয়েই গেছে' মা বলল।
'না। বউমা এ বাড়ির একজন মেম্বার। তাঁর বক্তব্যও জানা দরকার।' বাবার কথা শেষ
হওয়ামাত্র রঞ্জনা বেরিয়ে এল। মায়ের পাশে এসে দাঁড়াল।
বাবা বললেন, 'তুমি কি তিতিরের কথা শুনেছ বউমা?'
'হ্যাঁ, ও-ঘর থেকে শুনেছি।' রঞ্জনা জবাব দিল।
'তোমার বক্তব্য কী?'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'আপনারা যা ভাল মনে করবেন তাই ওর করা উচিত।'
'মা বলল, 'কিন্তু তুমি তো আমাদের জিজ্ঞাসা না করেই ওকে শাড়ি বের করে দিয়েছ। সেই
শাড়ির রং মিলিয়ে ও জামা বানাতে দিয়েছে!'
দাদা বলল, 'তাই নাকি? বাঃ!'
রঞ্জনা বলল, 'তিতির আমার কাছে শাড়ি চেয়েছিল। আমি কারণ জিজ্ঞাসা করলেও বলেনি। বলেছে পরে বলব। আর ও আমার কাছে শাড়ি চাইলে আমি নিশ্চয়ই না বলতে পারি না।'
মা মাথা নাড়লেন, 'ও, তোমাকেও বলেনি!'
বাবা বললেন, 'সিরিয়ালে অভিনয় করার ব্যাপারে তোমার আপত্তি আছে?'
রঞ্জনা বলল, 'আমার পক্ষে এর জবাব দেওয়ার অসুবিধে আছে।'
'কেন?' বাবা জিজ্ঞাসা করলেন।
'যেহেতু আমি আপনার ছেলের আপত্তি সত্ত্বেও চাকরি করতে যাচ্ছি তাই ও আমাকে ভুল
বুঝবে। আমি আর ঝামেলা চাই না।'
'কে কী বুঝবে সেটা তার ব্যাপার। তোমার কথা বলো।'
'আপনার ছেলের মুখে শুনে শুনে মনে হত সিনেমার লাইনটা খুব খারাপ। মেয়েদের চরিত্র ঠিক থাকে না। সিরিয়াল দেখেও তাই ভাবতাম। কিন্তু আমাদের ভাবনাটা তো কল্পনা করে নেওয়া, বাস্তবে কী ঘটছে তা আমরা জানি না। মেয়েরা চাকরি করতে বেরিয়ে ছেলেদের এড়িয়ে থাকতে।
গল্প টা অনেক ভালো লাগলো - ধন্যবাদ