আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 125
আয়নায় নিজেকে দেখল রঞ্জনা। একই মুখ অথচ সকালে যা ছিল এখন সেরকম লাগছে না। কানের পাশে, চুলের প্রান্তে কাঁচি পড়ায় অন্য আদল এসেছে। ওকে বলা হয়েছিল খোলা চুলে অফিসে আসতে। সেই খোলা চুলের চেহারা আকর্ষণীয় করতে যা যা করা দরকার পার্লার তা করে দিয়েছে।
'তুমি কথা বলছ না কেন?' তিতির জিজ্ঞাসা করল।
হাসল রঞ্জনা, 'এটা আমার মেকআপ।'
'মেকআপ?' তিতির অবাক।
'তুমি যখন অভিনয় করবে তখন ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবার আগে নিশ্চয়ই মেকআপ নিতে হবে। নিলে দেখবে চেহারা বদলে যাবে। আমাকেও তেমনি এই চাকরির জন্য মেকআপ নিতে হয়েছে। উপাসনার হুকুম আমাকে সুন্দরী এবং স্মার্ট হতে হবে। চেষ্টা করলে স্মার্ট হয়তো হওয়া যায় কিন্তু আমার মতো সাধারণ চেহারার মেয়ে মেকআপের সাহায্য ছাড়া সুন্দরী হবে কী করে বলো?'
রঞ্জনা উঠল।
এই সময় বেল বাজল। বিছানা থেকে নেমে দাঁড়াল তিতির, 'যাই।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'কেন?' রঞ্জনার গলায় আপত্তি।
'বোধহয় দাদা ফিরেছে।'
'ফিরুক না। সে এলে তোমাকে চলে যেতে হবে কেন?'
'উত্তরটা দিতে গিয়েও থেমে গেল তিতির। ব্যক্তিগত কথা বলার জন্য দাদা নিশ্চয়ই ওর চলে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারে। সে দরজার দিকে তাকাতেই সুবীরকে দেখতে পেল। এবং দেখল, সুবীরের মুখের চেহারা কী দ্রুত বদলে গেল। বেশ হতভম্ব দেখাচ্ছে দাদাকে।
রঞ্জনা বলল, 'তিতির উঠে বসো।'
'তুমি তো এখন বাথরুমে যাবে।' তিতির চলে যাওয়ার ছুতো খুঁজছিল। '
কী ব্যাপার? তোমার কী হল?' সুবীরের গলা শোনা গেল।
'কী হল মানে? কিছুই হয়নি।' রঞ্জনা জবাব দিল। '
তুমি কি বিউটি পার্লারে গিয়েছিলে?'
'হ্যাঁ। যেতে হল।'
'এর আগে কখনও যাওনি তো।'
'প্রয়োজন পড়েনি।'
'প্রথম দিন চাকরিতে ঢুকেই প্রয়োজন হল?'
'হ্যাঁ। আমি যে চাকরিটা করছি তাতে আটপৌরে চেহারা মানায় না। কেন? খুব অস্বাভাবিক
লাগছে তোমার কাছে?' 'না
। তা নয়। তিতির, একটু চা দিতে বলবি মাকে?'
তিতির আর দাঁড়াল না। মাথা নেড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল।
পকেট থেকে টুকটাক জিনিস বের করে টেবিলে রেখে সুবীর বলল, 'জোর করে চাকরি করছ,
আমার কিছু বলার নেই। শুধু অনুরোধ নিজের চারপাশে একটা বেড়া দিয়ে রেখো।' 'কথাটা তোমার বেলায় কিন্তু আমার মনে আসেনি।'
'স্বাভাবিক। কারণ আমি পুরুষ মানুষ।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'পুরুষ মানুষ কি ফণীমনসা গাছ যে গায়ে কাঁটা আছে বলে গোরু-ছাগল খেতে আসে না, বেড়া দেওয়ার দরকার পড়ে না?'
'তর্ক কোরো না। তুমি ভাল করেই জান, মেয়েদের তুলনায় পুরুষরা অনেক বেশি অ্যাগ্রেসিভ হয়। তার উপর তোমার যখন আটপৌরে হয়ে থাকা চলবে না তখন তো অনেককেই আকর্ষণ করবে
, নিজের অজান্তেই করবে।'
'মনে থাকবে।' বাথরুমের দিকে এগিয়ে গেল রঞ্জনা।
'তোমার অফিসে গিয়েছিলাম।' সুবীর জানাল।
আমার অফিসে?' থমকে দাঁড়াল রঞ্জনা, 'কেন?' '
'কেন আবার, নতুন অফিস, প্রথম দিন। ভাবলাম, একা কেন ফিরবে, আমি সঙ্গে থাকলে
সুবিধা হবে।'
'কখন গিয়েছিলে?'
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 4/5) Get profit votes with @tipU :)