আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 127
'না।'
অশোক বলল, 'এসব প্রশ্ন এখন করে লাভ নেই যমুনা। কাল কী করে আসবে তা আজ বলে দিয়ো।'
ওরা যেমন এসেছিল তেমনি বেরিয়ে গেল। শুধু জগুদা এবং যমুনা ছাড়া। যমুনা বলল, 'কত দেখলাম জগুদা। ডাইরেক্টর সুচিত্রা সেন করতে চায় অথচ পরদায় ছবি পড়লে সিটিতে কান পাতা দায় হয়।'
জগুদা বললেন, 'যমুনা, তোমাকে অনেকবার বলেছি, তুমি এখানে কাজ করতে এসেছ, সেটাই তোমার করা উচিত।'
'তার বাইরে আমি কী করছি? অ্যাঁ?' যমুনা বলল, 'আপনি মেকআপ শুরু করে দিন, আমি একটু ঘুরে আসছি।'
তিতিরের মনে হল যমুনা তাকে ঠিক পছন্দ করছে না। যমুনা চলে গেলে জগুদা হাসলেন, 'শোনো, এসব কথা কখনওই কানে ঢোকাবে না। এই স্টুডিয়োপাড়ায় অনেক কথা হয়। কাজের চেয়ে বাজে কথাই বেশি হয়। তুমি যত কম শুনবে তত তোমার মঙ্গল হবে। এখানে নতুন কেউ এলে চট করে তাকে নিজেদের লোক ভাবতে অনেকের কষ্ট হয়। অবশ্য ক'দিন গেলেই সব ঠিক
হয়ে যায়। এসো, আমরা কাজ শুরু করি।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
মানুষটাকে খুব ভাল লাগল তিতিরের। এককালের কত বিখ্যাত নায়িকার মেকআপ করেছেন ইনি। অথচ কথায় কোনও দন্ত নেই। মেকআপ করতে করতে বললেন, 'তুমি যাদের সিরিয়ালে প্রথম কাজ করছ তারা শুধু শিক্ষিত নয়, ভদ্রলোকও। আসলে সিরিয়ালের জন্য বেশ কিছু ভদ্রঘরের শিক্ষিত বিনয়ী ছেলে স্টুডিয়োতে আসছে বলে এখানকার আবহাওয়াটা অনেক বদলে গিয়েছে।'
চোখ বন্ধ, জগুদা সেখানে কাজ করছেন। এইসময় গলা শোনা গেল, 'নমস্কার তিতির। আমি রাজু, অশোকদার অ্যাসিস্ট্যান্ট। এডিটিংটা আমিই দেখি। অশোকদা বলল তোমাকে স্ক্রিপটা পড়িয়ে দিতে।'
জগুদা বললেন, 'শুটিং-এর তো এখনও দেরি আছে রাজু।'
'লাইট রেডি হয়ে গিয়েছে। আপনি আপনার কাজ করে যান জগুদা, কোনও সমস্যা হবে না। হ্যাঁ, তিতির দৃশ্যটা হল, তোমার মা চাইছেন না তুমি কো-এডুকেশন কলেজে পড়। তোমার বাবা
চাইছেন। বুঝতে পারছ? আরে, অন্তত মাথাটা নাড়ো।'
তিতির মাথা নাড়ল। সে রাজুকে দেখতে পাচ্ছিল না। বোধহয় বয়স বেশি নয়, গলার স্বর শুনে তাই মনে হচ্ছে। কথাবার্তা নেই, একেবারে নাম ধরে তুমি বলছে। তিতিরের বেশ মজাই লাগছিল।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
রাজু বলল, 'গুড। শোনো, বাবা-তুমি মেয়েটাকে অন্ধকারে রাখতে চাও?'
মা-ছেলেদের সঙ্গে না পড়লে যদি অন্ধকারে থাকা হয় তা হলে ওর ওইরকম আলোর দরকার নেই। তিতির-ছেলেদের সঙ্গে পড়লে আমার কী ক্ষতি হবে?
মা-আমি অত কৈফিয়ত দিতে পারব না।
তিতির-মা যতক্ষণ না তুমি আমাকে যুক্তি দিয়ে বোঝাবে ততক্ষণ আমি কো-এডুকেশন কলেজ
সম্পর্কে আগ্রহ হারাচ্ছি না।
মা-দেখো, জানতে চাইছ যখন তখন বলছি। কোন ছেলের মনে কী মতলব আছে তা কে বলতে পারে।
তিতির-সেটা তো কলেজে না গিয়েও হতে পারে।
মা-যা ভাল বোঝো তাই করো। আমি এর মধ্যে নেই।
শব্দ করে পা ফেলে মা চলে গেল।
সংলাপ পড়ে রাজু বলল, 'প্রথমে এটাই টেক করা হবে। তোমার সংলাপ হল এই দৃশ্যে তিনটে। মনে আছে?'
মাথা নাড়ল তিতির, হ্যাঁ।
'আচ্ছা। কী সংলাপ বলো তো!'
জগুদা বললেন, 'হচ্ছিল একতরফা, ওকে কথা বলাচ্ছ কেন?'
' একবার, দেখি গুল মারছে কিনা।'
তিতিরের খুব রাগ হল। চোখের ইশারায় জণ্ডদাকে থামতে বলে মুখ খুলল, 'প্রথমটা ছেলেদের সঙ্গে পড়লে আমার কী ক্ষতি হবে? দুই যতক্ষণ না তুমি আমাকে যুক্তি দিয়ে বোঝাবে ততক্ষণ আমি.........
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @taskiaakther,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community