আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 129
'না।'
'ঠিক আছে। তোমার শুটিং বলে আমি এলাম দেখতে। যাও ভিতরে যাও। অশোকরা তৈরি। বিভাসদা হাত তুলে দরজাটা যেন দেখিয়ে দিলেন।
বাবা বলেছিলেন, 'প্রথমদিন মেয়েটা স্টুডিয়োতে যাচ্ছে, অজানা জায়গা, একা কেন যাবে, তুমি সঙ্গে যাও।' মা বলেছিলেন, 'আমি গেলে চলবে। সংসারের হাঁড়ি ঠেলবে কে? বউমাকে পাঠাও।'
বাবা বিরক্ত হয়েছিলেন, 'আঃ, তার নতুন চাকরি। সবে জয়েন করেছে, করেই ছুটি নেবে কী করে। এমন কথা বলো না।'
'প্রত্যেকের যখন কাজ আছে তখন তুমিই যাও।' মা রায় দিয়েছিল।
'আমি?' বাবা বোধহয় এটা আশা করেনি।
সঙ্গে সঙ্গে আপত্তি জানিয়েছিল তিতির, 'আশ্চর্য! আমি কি কচি খুকি যে পাহারা দিতে কাউকে সঙ্গে যেতে হবে। তা ছাড়া যাচ্ছি তো টালিগঞ্জ, দিল্লি বোগে নয়। এসব নিয়ে তোমাদের মোটেই চিন্তা করতে হবে না।'
বাবার তবু অস্বস্তি যাচ্ছিল না, 'প্রথম দিন তো, কেউ সঙ্গে গেলে ভাল হত।' 'তার চেয়ে তুমি আমাকে একটা ট্যাক্সি ডেকে দিয়ো।' তিতির থামিয়েছিল তাঁকে।
এখন বিভাসদার কথা শুনে মনে হচ্ছিল বাবার সঙ্গে লোকটার কোথাও মিল আছে। মনে হতে ওর বেশ ভাল লাগল।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
যে দু'জন শিল্পী তিতিরের বাবা এবং মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করবেন তাঁদের দিয়ে রিহার্সাল দিচ্ছিল অশোক। এই শিল্পীদের তিতির চেনে। মূলত সিরিয়ালেই অভিনয় করেন। অশোক ডাকল, 'এসো তিতির। তুমি এঁদের চেনো?'
'হ্যাঁ।' নিচু গলায় বলল সে।
'এর নাম তিতির। আপনাদের মেয়ে করছে।'
বয়স্ক ভদ্রলোক জিজ্ঞাসা করলেন, 'বাঃ, এর আগে কোথায় করেছ মা?' এই প্রথম। আগে কখনও করিনি।' গলা শুকিয়ে যাচ্ছিল তিতিরের। '
'এই মেয়ে!' যেন ধমকেই উঠলেন মহিলা।
তিতির চমকে তাকাল।
" 'তোমার গলায় জোর নেই? অমন মিনমিন করছ কেন?' মহিলার গলার স্বর বদলে গেল, এখানে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ভয় পেলেই শেষ হয়ে যাবে।'
অশোক জিজ্ঞাসা করল, 'সংলাপ মুখস্থ আছে? গুড। একটা মনিটর দেখব। অনিলদা, আপনি রেডি? লাইটস?'
অনিলদার গলা ভেসে এল, 'পজিশনটা ওদের দেখিয়ে দাও অশোক।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
অশোক কম্পোজিশন দেখিয়ে দিল। ক্যামেরা তিতিরের বাঁদিকে। ভদ্রলোক: তুমি মেয়েটাকে অন্ধকারে রাখতে চাও? মহিলা: হ্যাঁ চাই। ওরকম আলোর দরকার নেই।
তিতির বুঝতে পারছিল না। ভদ্রমহিলার সংলাপ তো এরকম ছিল না।
অশোক চিৎকার করল, 'কাট। কী হল তিতির? তোমার সংলাপ কে বলবে?'
'তিতির বলল, ওঁর কথা তো এরকম ছিল না।'
রাজু এগিয়ে এল, 'মায়ের সংলাপ ছিল, ছেলেদের সঙ্গে না পড়লে যদি অন্ধকারে থাকা হয় তা হলে ওর ওইরকম আলোর দরকার নেই।'
অশোক বলল, 'দিদিভাই যা লেখা আছে তা বললেই ভাল হয়।'
মহিলা তিতিরের দিকে তাকালেন, 'আমি তো তোমাকে কিউ দিয়েছিলাম, আলোর দরকার নেই, তুমি তারপর নিজেরটা বলতে পারতে।'
ভদ্রলোক বললেন, 'ও যে শুধু নিজেরটা বলতে আসেনি, কো-অ্যাকটরদের সংলাপও মনে রেখেছে এরজন্য ওকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। গুড অশোক তুমি একেবারে টেক করো, নো মনিটর।'
'কিন্তু দাদা, তিতির!''দেখো না।'
Hi @taskiaakther,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community