আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 131
'তারপর?'
'ওই করতে করতে সিনেমায় এলাম। দেখতে ভাল ছিলাম। তখনকার বিখ্যাত পরিচালক বাদু সেন নাটক দেখতে এসে আমাকে দেখে পছন্দ করেছিলেন। সবাই খুব ভাল ভাল বলল ছবি দেখে কিন্তু কিছুই হল না। আবার নাটকে ফিরে গেলাম। এখন সিরিয়াল শুরু হওয়ায় আবার আমার ডাক পড়েছে। মা-মাসির চরিত্রে অভিনয় তো অল্পবয়সি নতুনদের দিয়ে হবে না।' ভদ্রমহিলা হাসলেন। 'কিন্তু হল না কেন?' তিতির জানতে চাইল।
খানিক তাকিয়ে থাকলেন মহিলা। তারপর বললেন, 'হয়নি কারণ আমি মেনে নিতে পারলাম না। একজন প্রোডিউসার বললেন লোকেশন দেখতে তার সঙ্গে যেতে হবে বাইরে। দু'জন পরিচালক বললেন তাঁদের সময় দিতে হবে। একদা প্রবীণ অভিনেতা গাড়িতে লিফট দিতে চাইলেন স্টুডিয়ো থেকে। সামনে ড্রাইভার, বুড়োমানুষ বলে রাজি হয়েছিলাম। গাড়ি স্টুডিয়ো থেকে বের হওয়া মাত্র তিনি আমার শরীরে হাত রাখলেন। আমি আপত্তি করাতে স্পষ্ট বললেন, ওঁকে চটিয়ে আমি বাংলা সিনেমায় অভিনয় করতে পারব না। ট্রামডিপোর কাছে গাড়ি জ্যামের মধ্যে থামতে বাধ্য হয়। আমি
জোর করে নেমে পড়েছিলাম। ব্যাস সেই হল আমার শেষ।' 'কেন। কারও কাছে অভিযোগ করতে পারেননি?'
'করেছিলাম। সবাই হেসেছে। বলেছে, বুড়ো মানুষ, দাদুর মতো, গায়ে মাখছ কেন? আসলে তখন মেয়েদের ব্যবহার করা বোধহয় সোজা ছিল। এই কারণে এই লাইনটার এত বদনাম হয়েছিল। কিন্তু এখন তোমাদের মতো শিক্ষিত মেয়েরা আসছে বলে পরিবেশটা বদলে গিয়েছে। তোমরা টাকার জন্য নিজেরাই যদি খারাপ না হতে চাও তা হলে কারও সাধ্য নেই তোমাদের খারাপ করে।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
এইসময় টনি এসে বলল, 'তিতিরদি লাঞ্চ শেষ, অশোকদা ডাকছেন।' তিতির হেসে ফেলল। টনি তার থেকে অনেক বড়, তবু ওকে দিদি বলে ডাকছে। সে মহিলাকে বলল, 'এলাম'।
দশ
ঠিক পাঁচটার সময় প্যাক আপ বলে চেঁচিয়ে উঠল অশোক। ব্যাপারটা কী বুঝতে পারেনি তিতির। অবাক হয়ে দেখল সবার মুখে হাসি ফুটেছে। ঝপাঝপ শুটিং-এর জোরালো আলোগুলো নিভে গেল।
টনি এগিয়ে এল, 'চলুন দিদি, মেকআপ তুলে নেবেন। আজ কাজ শেষ।' প্যাক আপ মানে ছুটির ঘোষণা সেটা এতক্ষণে বুঝতে পারল তিতির। অন্য শিল্পীরাও বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। অতএব সে
দরজার দিকে এগোল। অশোক তাকে ডাকল, 'তিতির একটু এদিকে।'
তিতির দিক পরিবর্তন করল। অশোক বলল, 'তোমার কাজ আজ বেশ ভাল হয়েছে। কিন্তু আজ তুমি বাড়িতে স্ক্রিপ্ট নিয়ে যাও। চোখ বুলিয়ে নিয়ো। কোন সংলাপ কীভাবে বললে ভাল লাগবে তা রিহার্স করে নিয়ো।'
ততির মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলল। 'আর একটা কথা। স্টুডিয়ো পাড়ায় খবর
খুব দ্রুত ছড়িয়ে যায়। তোমার কাছে অন্য কোনও
সিরিয়াল বা ছবির অফার এলে বিভাসদাকে না জানিয়ে সম্মতি দিয়ো না। বুঝতে পেরেছ?' অশোক গলা নামিয়ে কথাগুলো বলল। মেকআপরুমে যেতেই ম্যাকঅ্যাপম্যান খুব যত্নের সঙ্গে তার মুখ পরিষ্কার করে দিল। এই লোকটা জগুদার সহকারী। বেশি বয়স নয়। বলল, 'দিদি, খেলতে এসে প্রথমদিনেই সেঞ্চুরি
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
করেছেন?'
'মানে?' অবাক হল তিতির।
'সবাই বলাবলি করছে আপনার অভিনয় খুব ভাল হয়েছে?'
'কী জানি।'
এসব কথা শুনতে তিতিরের বেশ ভাল লাগছিল। সে কী রকম অভিনয় করেছে তা নিজেরই জানা নেই। সংলাপগুলো বলতে তার কোনও অসুবিধে হয়নি, এই পর্যন্ত। কিন্তু তাতেই এরা বলছে
ভাল অভিনয় হয়েছে।
এই সময় গোবিন্দ দরজায় এল, 'ভেতরে আসব?'