আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 132
তিতির তাকাল। সকালবেলায় এর সঙ্গে দেখা হয়েছিল ট্যাক্সি থেকে নামবার পর। তারপর দিনভর দেখা হয়নি।
গোবিন্দ বলল, 'চট করে এখানে সই করে দিন দিদিভাই।'
কাগজ আর কলম এগিয়ে দিয়ে সে টাকা বের করল।
'কী এসব।'
'ট্যাক্সি ফেয়ার। বিভাসদা আপনাকে ট্যাক্সি ফেয়ার দিতে বলেছেন।'
'আমাকে। সবাইকে দেওয়া হয় না?'
'না। কর্তারা যাকে দিতে বলেন তাকেই দেওয়া হয়। সকালে তো আপনি বাড়ি থেকেই ট্যাক্সি নিয়ে এসেছেন। বিশুর কাছে যা শুনেছি, তা থেকে আরও দশ টাকা বেশি দিয়ে দিলাম, যদি রাস্তায় ভিড় বেশি থাকে। সই করুন।'
সই করল তিতির। গোবিন্দ বলল, 'আর আপনার পারিশ্রমিক এই শুটের কাজ শেষ হলে একসঙ্গে দেওয়া হবে। আর, হ্যাঁ, দর্জির বিল এনেছেন।'
'দর্জির বিল?'
'বাঃ। জামাটামা বানিয়েছেন তো?'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'হ্যাঁ।' মনে পড়ল তিতিরের। কাগজটা ব্যাগেই ছিল। বের করে দিল। গোবিন্দ বলল, 'কাল পেয়ে যাবেন। বিশু গেছে আপনার জন্য ট্যাক্সি ডাকতে। ও অফিস পর্যন্ত আপনাকে এগিয়ে দেবে।' গোবিন্দ চলে গেল।
ট্যাক্সিতে উঠে স্টুডিয়ো থেকে বেরিয়ে আসার পর তিতিরের মনে হল দিনটা কীরকম ঘোরের মধ্যে কেটে গেল। ড্রাইভারের পাশে বসেছিল বিশু। ট্রাম ডিপো ছাড়াতেই সে জিজ্ঞাসা করল, 'দিদি, কাল কি আপনি নিজে নিজে আসতে পারবেন?'
'হ্যাঁ। কিন্তু কাল কখন আসব?'
'সে কী? কেউ কিছু বলেনি আপনাকে?'
'না তো।'
না। অশোকদা শুনলে খুব রাগ করবেন। আর্টিস্টদের জানানোর দায়িত্ব থাকে রাজুদার ওপর।
একদম ভুলে গিয়েছে বোধহয়।' 'তা হলে কী হবে?'
'কাল ন'টা-দশটা কল। আপনি ন'টার মধ্যে এসে যাবেন।'
'কোনও অসুবিধে হবে না তো?'
'নাঃ।' মাথা নাড়ল বিশু, 'দিদি!'
'কী?'
'আমি যদি এখানে নেমে যাই তা হলে আপনার কি অসুবিধে হবে?'
তিতির তাকাল বাইরের দিকে। এখনও দিনের আলো রয়েছে। ট্যাক্সি ড্রাইভারটা প্রৌঢ়মানুষ।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
বলল, 'না না, তুমি নামতে পারো।'
বাবা যে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকবে তা আশাই করেনি তিতির। ট্যাক্সি থেমে নেমে জিনিসপত্র নিয়ে ওঁর সামনে পৌঁছে সে জিজ্ঞাসা করল, 'তুমি এখানে?'
'এমনি। ভাবছিলাম, এখনই তো আসবি!' বাবা যেন লজ্জায় পড়ল। '
চলো।' তিতির বলল।
বাড়িতে ঢোকামাত্র মা এগিয়ে এল, 'সেই কখন থেকে মেয়েটা কখন আসবে বলে ছটফট করছে। বাড়িতে বসে থাকতে না পেরে বাইরে চলে গেল।'
'আশ্চর্য। দেরি হলে আমি জানতাম না?' জিনিসগুলো টেবিলে রাখল তিতির।
বাবা চেয়ারে বসল, 'কী হল, বল?'
মা বলল, 'আশ্চর্য! ওকে হাতমুখ ধুতে দাও আগে!'
বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে হেসে ফেলল তিতির। চেয়ার টেনে বসে সকাল থেকে যা যা ঘটেছে সব বলে গেল।
বাবা শুনল চুপচাপ। তারপর জিজ্ঞাসা করল, 'কেউ তা হলে তোর সঙ্গে অসভ্যতা করেনি?' 'ওমা! অসভ্যতা করবে কেন?'
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @taskiaakther,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community