আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 133

in #photography11 days ago
আসসালামুআলাইকুম

'এই যে তোর দাদা বলেছিল!'
'দাদা কার কাছ থেকে কী শুনেছে। ওসব বোধহয় আগে হত। এখন সময় পালটে গিয়েছে।
শিক্ষিত মানুষরা সব সিরিয়াল করতে আসছে।' তিতির বলল।
হঠাৎ মা বলল, 'বিভাসবাবু আর অশোকবাবুকে একদিন বাড়িতে আসতে বল না।'
'কেন?' অবাক হল তিতির।
'তোকে এরকম সুযোগ দিল। তাই।' মা বলল।
'না। কাজের জায়গার মানুষকে বাড়িতে ডাকতে চাই না।'
বাবা বলল, 'ঠিক বলেছে ও। একটা কোথাও লাইন টানা দরকার। তুমি তো জান, বাড়িতে
এসে আমি কখনও অফিসের কথা আলোচনা করতাম না।'
হঠাৎ মা বলল, 'তোর বউদি কিন্তু এখনও ফিরল না।'
এইসময় বেল বাজল। বাবা বলল, 'বলতে না বলতেই চলে এসেছে।'

1733545396191.jpg

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঢাকা, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

মা এগোল দরজা খুলতে। তিতির উঠে দাঁড়াতেই দেখল দাদা ঢুকছে। মা বলল, 'এ কী! তুই
এত তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরলি?'
সুবীর বিরক্ত হল, 'আমি তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরেছি বলে তোমার আপত্তি?'
'এ কী কথা! কখনও তো ফিরিস না, তাই বললাম। তোদের সঙ্গে কথা বলতে যদি ভেবে চিন্তে
বলতে হয় তা হলে তো মুশকিল।' মায়ের গলা চড়ল। সুবীর তখন তিতিরকে এবং তার জিনিসপত্র দেখতে পেয়েছে। চোখ ছোট করে জিজ্ঞাসা করল,
'তুই কখন ফিরলি?'
'একটু আগে।' তিতির জবাব দিল।
বাবা হাসল, 'জানিস সুবীর, তিতিরের খুব প্রশংসা হয়েছে!'
'কী ব্যাপারে?' দাঁড়িয়েই প্রশ্ন করল সুবীর।
'অভিনয়ের। সবাই খুব ভাল বলেছে।'
'ভাল হলেই ভাল!' সুবীর নিজের ঘরে চলে গেল।

1733545396233.jpg

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঢাকা, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

কয়েক সেকেন্ড সবাই চুপচাপ। মা-ই বলে উঠল, 'কীরে! তুই এখনও দাঁড়িয়ে রইলি কেন? যা
বাথরুম যা। জামাকাপড় ছাড়। আমি চা বানাচ্ছি।'
জিনিসপত্র তুলে নিয়ে তিতির নিজের ঘরে চলে গেল। দাদার ব্যবহার তার মনটাকে তেতো করে দিয়েছিল। হঠাৎ মনে হল, কোনও মানুষ তো রাতারাতি বদলে যেতে পারে না। দাদারও সময় লাগবে।
কলকাতার বিখ্যাত মানুষদের তালিকাটা হাতে নিয়ে ক'দিন থেকেই টেলিফোন করে চলেছে রঞ্জনা। টেলিফোন করার পর তাঁরা অ্যাপয়ন্টমেন্ট দিলে তবে দেখা করতে যাবে। হাতে সময় নেই। হরিপদবাবু যে তালিকা দিয়েছিল তা থেকে মাত্র দু'জনকে সে ধরতে পেরেছে। তাঁদের একজন নামকরা লেখিকা আর একজন অধ্যাপিকা। কিন্তু গ্লামার বলতে যা বোঝায় তা এঁদের নেই। হরিপদবাবু বলেছেন, বিউটি কনটেস্টে গ্ল্যামার কথাটা জাজদের পক্ষে খুব জরুরি।
সকালে এসেই মিটিং ডেকেছিল উপাসনা। ওর নির্দেশ অনুযায়ী আর পাঁচজনের মতো সে ওকে ম্যাডাম বলেই ডাকে। উপাসনা তুই থেকে তুমিতে উঠে গেছে। অবশ্য বেশির ভাগ কথা উপাসনা ইংরেজিতে বলে। রঞ্জনাও চেষ্টা করে ইংরেজিতে জবাব দিতে। কিন্তু অনভ্যাসের জন্য জিভে আটকে যায়। তবু এক দিনে সে যত ইংরেজি শব্দ বলেছে তা হয়তো সারাজীবনে বলেনি।
উপাসনা বলল, 'আমরা শুধু ওই দু'জনকে জাজ করে কনটেস্টটা করতে পারি না। ক্লায়েন্ট
হাতছাড়া হয়ে যাবে।'
রঞ্জনা বলল, 'আমি অনেকবার চেষ্টা করেছি, ফিল্মের অভিনেত্রীরা ফোন ধরতেই চান না। বাড়ির লোক বলে, উনি বাথরুমে আছেন, নয় বেরিয়ে গেছেন।'
উপাসনা তার দিকে তাকাল, 'তা হলে তো কাজটা ছেড়ে দিতে হয়। আপনি কী বলেন
হরিপদবাবু?'
হরিপদবাবু নড়েচড়ে বসলেন, 'একটু ডাইরেক্ট অ্যাপ্রোচ করা দরকার।'
'কী রকম?'
'স্টুডিয়োতে গিয়ে কথা বলা যেতে পারে।'
'এটা ওকে বলেননি কেন?' বিরক্ত হল উপাসনা।

ধন্যবাদ।আল্লাহ হাফেজ।