আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 134
'আসলে উনি তো নতুন, স্টুডিয়ো চেনেন না।'
'চিনতে হবে। রঞ্জনা, আমার হাতে সময় নেই। তুমি দু'দিনের মধ্যে ওই দু'জন মহিলা শিল্পীর সঙ্গে কথা ফাইনাল করবে। তা হলে চারজন জাজ হচ্ছে। দিল্লি থেকে একটি বিখ্যাত মেয়েদের ম্যাগাজিনের সম্পাদিকা তখন কলকাতায় আসবেন। আমি তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। তিনি থাকবেন। আমাদের পাঁচজন জাজ পেলেই চলবে। মিডিয়াকে জানানো হয়ে গেছে?'
রঞ্জনা মাথা নাড়ল, 'সবাইকে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছি।'
উপাসনা বলল, 'হরিপদবাবু।'
হরিপদবাবু মাথা নাড়ল, 'চিঠি পাঠালে অর্ধেক লোক আসবে না। নিজে গিয়ে অনুরোধ করতে হবে। রাজি করাতে হবে। বিশেষ করে টিভি মিডিয়ার লোকদের।'
উপাসনা বলল, 'রঞ্জনা, এর জন্য তুমি আরও দু'দিন সময় পাচ্ছ। আমি কাজটা হয়েছে দেখতে চাই। হয়নি বলে কোনও অজুহাত শুনতে চাই না। দরকার হলে, অফিসের গাড়িটা তুমি নিতে পারো। ওকে।'
বাইরে বেরিয়ে এসে রঞ্জনার মনে হল তার দ্বারা এই কাজ করা সম্ভব নয়। এদের কাউকেই সে
চেনে না। তার কথা এরা শুনবে কেন?
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
কিন্তু একথা বললে তাকে চাকরি ছেড়ে দিতে হবে। তাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেটা ঠিকঠাক পালন না করলে উপাসনা কেন তাকে রাখবে? নিজের টেবিলে বসে সে লিস্টটার দিকে আবার তাকাল। এখন চাকরি ছেড়ে দিলে সবচেয়ে খুশি হবে সুবীর। এবং সেইসঙ্গে তার কাছে থেকে শুনতে হবে প্রচুর বিদ্রূপ। সেটা সে কিছুতেই হতে দিতে পারে না। হরিপদবাবু এলেন সামনে, 'আমি বলি কী, আপনি দু'জনকে টার্গেট করুন।'
'কোন দু'জনকে?'
'শকুন্তলা সেন আর কমলিকা দত্তকে।'
'কিন্তু ওঁরা তো টেলিফোনই ধরছেন না।' মুখ তুলল রঞ্জনা।
'আপনি কী পরিচয় দিয়েছেন?'
'বলেছি একটা অনুষ্ঠানের ব্যাপারে দেখা করতে চাই!'
'না। বলুন, একটা ছবির ব্যাপারে কথা বলবেন।'
'তারপর? উনি যদি টেলিফোন ধরে জানতে চান কোন ছবি, কে পরিচালক তা হলে কী বলব?
তারপর আসল প্রস্তাবটা বা দেব কী করে?'
হরিপদবাবু হাসছেন, 'এঁরা খুব ব্যস্ত শিল্পী। রোজ শুটিং করেন। আপনি টেলিফোন করুন বারোটা নাগাদ। তখন বাড়িতে এঁরা থাকবেন না।'
'তারপর?'
'যিনি টেলিফোন ধরবেন তাঁকে ওই কথা বলুন। ছবির অফার মানে বোজগার। নিশ্চয়ই বাড়ির লোককে সেইরকম নির্দেশ দেওয়া থাকে। তখন জেনে নেবেন কোন স্টুডিয়োতে শুটিং করছেন আজ। জেনে চলে যাবেন। আপনি যখন দেখা করবেন তখন উনি তো জানতে পারবেন না আপনি টেলিফোনে কী বলেছেন। টেলিফোনের কথা বলার কোনও দরকার নেই ওঁকে।' হরিপদবাবু সুপরামর্শ দিলেন।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
ঠিক বারোটা নাগাদ ফোন করল রঞ্জনা। পরিকল্পনাটা চমৎকার কাজে লাগল। ছবির কথা শুনেই ওদের বাড়ির লোক জানিয়ে দিল একজন ইন্দ্রপুরী স্টুডিয়োতে আর একজন টেকনিশিয়ান
স্টুডিয়োতে শুটিং করছেন। হরিপদবাবুকে কথাটা জানাতে তার মুখে হাসি ফুটল, 'ব্যাস। চলে যান আপনি। গাড়ি নিয়ে
যান। দেখা করে প্রস্তাবটা দিন।'
আজ পর্যন্ত কখনও স্টুডিয়ো পাড়ায় যায়নি রঞ্জনা। যাওয়ার প্রয়োজন পড়েনি। ড্রাইভার রাস্তা চিনত। প্রথমে ইন্দ্রপুরী স্টুডিয়োর গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকল, গাড়ি থামাল সে। গাড়ি থেকে নেমে ভেতরে ঢুকতেই রঞ্জনার মনে পড়ল তিতির স্টুডিয়োতে এসেছে সিরিয়ালের শুটিং করতে। কোন স্টুডিয়োতে? এখানে কি!
আশেপাশে কিছু মানুষ অলসভাবে কথা বলছে। তারা তার দিকে তাকাল। শকুন্তলা সেনের এখানে থাকার কথা। সে এগিয়ে গিয়ে একজনকে জিজ্ঞাসা করতেই লোকটা বলল, 'দিদি এখন মেকআপরুমে আছেন। বাঁ দিকে চলে যান।'
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @taskiaakther,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community