আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 135
বাঁদিকে এগোতেই সারিসারি ঘর দেখতে পেল। একটি ঘরে পরদা ঝুলছে। তার বাইরে একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তার চেহারা দেখে মনে হল অভিনয় করে না। তাকেই জিজ্ঞাসা করল রঞ্জনা।
'আপনি কোথেক আসছেন?' তাদের কোম্পানির নাম বলল রঞ্জনা। মেয়েটি ভেতরে ঢুকে গেল। বেরিয়ে এল কয়েক সেকেন্ড পরে 'যান।'
পরদা সরিয়ে ভেতরে ঢুকল রঞ্জনা। ইজিচেয়ারে শুয়ে আছেন শকুন্তলা সেন। তার মুখের মেকআপ স্পষ্ট, চুলে নিশ্চয়ই উইগ জোড়া হয়েছে। শকুন্তলা বেশ অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করল, 'বলুন!'
'নমস্কার। আমি আপনার সময় কয়েক মিনিটের জন্য নষ্ট করব।'
'টেলিফোন করে আসেননি কেন?'
'চেষ্টা করেছিলাম। ধরতে পারিনি।'
'বলুন। কিন্তু একটা কথা বলে দিচ্ছি আপনাকে আমি সিনেমায় নামার ব্যাপারে কোনও সাহায্য করতে পারব না।' শকুন্তলা সেন বললেন। রঞ্জনা হেসে ফেলল, 'না না। আমি ওই অনুরোধ নিয়ে আপনার কাছে আসিনি।'
'তা হলে নিশ্চয়ই কোনও প্রতিষ্ঠানের জন্য ডোনেশন চাইছেন?' 'তাও নয়। আপনি বাংলা সিনেমার এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়িকা। আপনাকে বাদ দিয়ে
কোনও অনুষ্ঠান করার কথা ভাবা যায় না। আমাদের কোম্পানি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট করে। এই মাসে তাজবেঙ্গলে একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি বিশাল বিউটি কনটেস্ট করছে। আমরা তার আয়োজন করে দিচ্ছি। বোম্বে থেকে স্টাররা আসছেন জাজ এবং দর্শক হতে। আমরা চাইছি কলকাতার প্রতিনিধি হিসেবে আপনাকে।' যতটা সম্ভব গুছিয়ে কথাগুলো বলতে পারল রঞ্জনা।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'বিউটি কনটেস্ট?' চিন্তিত দেখাল শকুন্তলা সেনকে।
ঐশ্বর্য 'হ্যাঁ। আপনি যে মেয়েকে মিস ইন্ডিয়া করবেন সে যাবে মিস ওয়ার্ল্ড কমপিটিশনে। হয়তো
রাই হয়ে যাবে সে। আগামি দিনে সিনেমার নায়িকা হবে।'
'হিন্দি সিনেমা, বাংলা তো নয়!' শকুন্তলা বললেন।
'হ্যাঁ। হিন্দি সিনেমার এখনকার নায়ক-নায়িকারা এই আছে, এই নেই। পদ্মপাতার জল। বাংলা সিনেমায় এই যেমন আপনি, কত বছর ধরে এক জায়গায় নায়িকা হয়ে আছেন।'
'পঁচিশ বছর। পঁচিশ বছর আগে প্রথম নায়িকা হয়েছিলাম।' বলেই মাথা নাড়লেন তিনি।
'থাক। বয়স নিয়ে আলোচনা না করাই ভাল। অনুষ্ঠানটা কখন?'
'সন্ধেবেলায়।'
'আপনার নামটা কী যেন?'
'রঞ্জনা।'
'দেখুন রঞ্জনা, আমার সময়ের তো দাম আছে। কোনও ফাংশনে জাস্ট একটা কি দুটো ডায়লগ বলতে এখন আমি যাই না। ওসব জায়গায় উঠতিরা যায়। হ্যাঁ, কোনও পুজোর উদ্বোধন করতে হলে, যে সে পুজো নয়, নামী পুজো, আমি যাই। কুড়ি হাজার নিই। গেলাম, ফিতে কাটলাম, চলে আসলাম, কোনও দানের অনুষ্ঠান, যেমন কম্বল বিতরণ, দশ হাজার নিই। এরকম বিভিন্ন বিষয়ের অনুষ্ঠানের জন্য আমার সময়ের দাম ঠিক করা আছে। কিন্তু ইদানীং যেতে ইচ্ছে করে না। তাই বাড়িতে বলে দিয়েছি অনুষ্ঠানের ফোন এলে কাটিয়ে দিতে।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'কিন্তু এটা তো যা-তা অনুষ্ঠান নয়। এই কনটেস্ট ভারতবর্ষের প্রায় সব বড় টিভি চ্যানেলে দেখানো হবে। বিচারক হিসেবে আপনার কত পাবলিসিটি হবে!'
'এই বয়সে আর পাবলিসিটি নিয়ে মাথা ঘামাই না।'
'কী বলছেন! আপনার কী এমন বয়স হয়েছে? রঞ্জনা বলল, 'নতুন নতুন যেসব নায়িকা ফিল্মে
আসছে তাদেরও তো আপনার থেকে বুড়ি বলে মনে হয়।'
শকুন্তলা সেনের হাসি থেকে মনে হল কথাটা তার ভাল লেগেছে, 'কোন কোম্পানি?'
রঞ্জনা কোম্পানির নাম বলল।
'ঠিক আছে, আপনি যখন এত করে বলছেন, যাব। তবে পচিশ হাজার দিতে হবে।'
পঁচিশ হাজার?' চমকে উঠল রঞ্জনা।
' 'হ্যাঁ ভাই। এত বড় ব্যাপার, আমি তো বেশি কিছু চাইনি।' শকুন্তলা নাক উঁচু করলেন।