আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 136
আমার চাকরিটা আর থাকল না।'
'কেন?'
'বোম্বের স্টাররা তো এত নিচ্ছেন না।'
'অ। তা আপনার বাজেট কত?'
'আসলে এটা কলকাতায় হচ্ছে তো। আমরা একটা বাঙালি বাঙালি চেহারা দিচ্ছি? যেমন ধরুন, ধনধান্যে পুষ্পেভরা গানের টিউন বাজবে।'
'বিউটি কনটেস্টে ওই গান?' হাঁ হয়ে গেলেন ভদ্রমহিলা।
'তা হলে ভাবুন। সেখানে বাংলার হয়ে কথা বলবেন আপনি।'
'বেশ তো। ওই দানের রেটটাই না হয় দেবেন। কোন তারিখ?'
তারিখটা বলল রঞ্জনা।
শকুন্তলা সেন বললেন, 'তা হলে কথা রইল। আমার সেক্রেটারিকে এত সব কথা বলার দরকার নেই। বড্ড ঝামেলা করে। । দাঁড়ান, তারিখটা নোট করে নিই।'
পাশে পড়ে থাকা ব্যাগ থেকে ডায়রি বের করে তারিখটা লিখে নিলেন তিনি। শকুন্তলার দিকে তাকিয়ে ইতস্তত করতে লাগল রঞ্জনা। ভদ্রমহিলা দশ হাজার টাকা চেয়েছেন। উপাসনা যদি সেটা দিতে রাজি না হয়। আবার এইমাত্র তাকে কথা দিয়েছেন শকুন্তলা কিন্তু সেদিন অনুষ্ঠানে গেলেন
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
না। তা হলে?
শকুন্তলা জিজ্ঞাসা করলেন, 'হয়ে তো গেল। আর কী ভাবছেন?'
রঞ্জনা বলল, 'আপনি আমাকে একটা বিপদ থেকে বাঁচান।'
'কী রকম?'
'আপনি যে রাজি হয়েছেন তা আমার কোম্পানি ক্লায়েন্টকে জানাবে। কিন্তু ওরা তো বিশ্বাস নাও করতে পারে। যদি অনুগ্রহ করে দু'লাইন লিখে দেন।'
'আমি লিখতে টিখতে পারব না।' মাথা নাড়লেন ভদ্রমহিলা।
'কিন্তু!'
'অত যদি প্রয়োজন থাকে তা হলে নিজে লিখে নিয়ে আসুন, আমি সই করে দিচ্ছি।' শকুন্তলার কথা শেষ হওয়ামাত্র সেই মেয়েটি পরদা সরিয়ে বলল, বলল, 'দিদি 'দিদি আপনাকে ফ্লোরে নিয়ে যাওয়ার জন্য এসেছে।'
'দাঁড়া।' ধমকালেন তিনি, 'নিতে এলেই যেতে হবে নাকি। কতটা সময় একা চুপচাপ বসে আছি। এই ডিরেক্টর তো দেখা করে যাওয়ার ভদ্রতা জানে না। দাঁড়াতে বল। হ্যাঁ, লিখে ফেলুন। সই করে দিচ্ছি। একবার ফ্লোরে ঢুকে গেলে কখন বেরুব জানি না।' শকুন্তলার কথায় ব্যাগ থেকে কাগজ বের করে লিখল রঞ্জনা। আমি অমুক দিন অমুক কোম্পানির আমন্ত্রণে তাজবেঙ্গলে বিউটি কনটেস্টের জাজ হতে রাজি আছি। কাগজটা সামনে দিতেই শকুন্তলা চোখ বুলিয়ে নিয়ে সই করে দিলেন। দিয়ে বললেন, 'সই করলাম কিন্তু আগের দিন পুরো টাকাটা না দিয়ে গেলে আমি যাব না। কথার খেলাপ করা আমি সহ্য করতে পারি না।'
কমলিকা দত্তের সঙ্গে এতটা সময় লাগল না। তাজবেঙ্গলে বিউটি কনটেস্ট শুনে বললেন, 'হ্যাঁ, এরকম অনুষ্ঠানে যেতে আমার আপত্তি নেই। আর কারা কারা আসছে?'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'বোম্বের দু'জন শিল্পী আসবেন।'
'কত নিচ্ছেন তারা?'
সম্ভবত কিছু ' নিচ্ছেন না।'
'বিশ্বাস করি না। এতদূরে আসবে খেপ খাটতে? শুনুন, আমাকে পঞ্চাশ হাজার দিতে হবে। ওখানে গেলে যা করতে বলবেন করব।' হেসে উঠলেন মহিলা।
রঞ্জনা হাসল।
'হাসির কী হল?'
'আমাদের অত টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নেই।'
'তা হলে এত বড় অনুষ্ঠান করছেন কেন?'
'দেখুন যে কোম্পানি কনটেস্টটার ব্যবস্থা করে তারা আমাদের দায়িত্ব দিয়েছে। আমি যদি ওই অ্যামাউন্টটা বলি তা হলে আমার চাকরি চলে যাবে।'
'কী রে? তোর হল?' বলতে বলতে যে ভদ্রমহিলা ঢুকলেন তাঁকে খুব চেনা চেনা লাগল রঞ্জনার। তিনি তাকালেন। তারপর জিজ্ঞাসা করলেন, 'তুমি রঞ্জনা না?'