আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 139

আসসালামুআলাইকুম

'সেটা আর নাই বললাম। বাড়িতে রি-অ্যাকশন কী?'
'কেউ কিছু বলেনি।'
'তোমার দাদা?'
'দাদার মতো।' হেসে ফেলল তিতির, 'খুব কাজ এখন?'
'হ্যাঁ। চাকরি প্রায় চলে যাচ্ছিল। ওই দু'জনকে ফাইনাল করে কনসেন্ট নিয়ে অফিসে পৌঁছতেই সন্ধে হয়ে গেল। তারপর মালিকানকে বোঝাতে সময় গেল। অন্যের কাছে চাকরি করলে সবসময়
নিজের ইচ্ছেমতো কি চলা সম্ভব।' 'মালিকান তো তোমার বান্ধবী।'
'অফিসের বাইরে। সেটা সে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে।'
'আমি উঠি। স্ক্রিপ্ট পড়তে হবে। কাল আবার শুটিং আছে।' তিতির চলে গেল। রঞ্জনা একমুহূর্ত ভাবল। তারপর রান্নাঘরের দিকে এগোল।
রাত এগারোটা নাগাদ এ বাড়ির দরজার কড়া প্রচণ্ড জোরে আওয়াজ করল। শুয়ে থাকতে থাকতে ঘুমিয়ে পড়েছিল রঞ্জনা, আওয়াজে ধড়মড়িয়ে উঠে বসল। শ্বশুরমশাইয়ের গলা কানে এল,'কে? কে?'
'আমি!' সুবীরের গলা, কিন্তু অন্যরকম শোনাল।

1734059322130.jpg

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঢাকা, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

রঞ্জনা ঠোঁট কামড়াল। সুবীর আগে মদ খেত না, বন্ধুদের পাশে বসে খাবার খেতেই পছন্দ করত। ইদানীং খাওয়া শুরু করেছে। কিন্তু এত রাত্রে কি মদ খেয়ে ফিরল? শাশুড়ির গলা কানে
এল, 'একেবারে খেয়ে তবে ঘরে যা। অনেক রাত হয়ে গেছে।'
ঘরের দরজায় এসে দাঁড়াল সুবীর। স্ত্রীকে দেখল। রঞ্জনা বুঝল সুবীর স্বাভাবিক নয়। সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছে না।
'আমি খাব না।'
সে বলল, 'জামাকাপড় ছেড়ে শুয়ে পড়ো। দাঁড়িয়ে থেকো না।' 'তার মানে? তুমি যা বলবে তাই আমাকে করতে হবে? নো। আমি শোব না। আমি বসে
থাকব এবং যতক্ষণ বসে থাকব ততক্ষণ তুমি শুতে পারবে না।' ওর কথা বেশ জড়ানো। বলতে অসুবিধে হচ্ছে।
'তুমি কি ঠিক করেছ মাঝরাত্রে মাতলামি করবে?' নিচু গলায় জিজ্ঞাসা করল রঞ্জনা।
সুবীর ততক্ষণে ড্রেসিং টেবিলের টুলটার ওপর গিয়ে বসেছে। উত্তর দিল না।
রঞ্জনা জিজ্ঞাসা করল, 'তুমি কী চাও?'
'উত্তর। স্ট্রেট জবাব।'
'বেশ। প্রশ্ন করো।'
'কোথায় ছিলে সন্ধের পরে।'

1734059322199.jpg

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঢাকা, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

'অফিসে।'
'মিথ্যে কথা। লায়ার, অফিসে ছিলে না।'
'ওরা ভেবেছিল আমি অফিস থেকে বেরিয়ে গিয়েছি। বলামাত্র তুমি লাইন কেটে দিয়েছিলে।
তোমাকে ফোন করার কোনও উপায় ছিল না।'
'কোন অফিসে মেয়েরা সেজেগুজে রাত পর্যন্ত কাজ করে?' 'খোঁজ নিয়ে দ্যাখো। আমি বললেই তো মিথ্যে বলবে।'
'তুমি আজ দুপুরে গাড়ি করে কোথায় যাচ্ছিলে?'
ও। তুমি দেখেছ?'
না। শুনেছি। যে দেখেছে সে বলেছে।'
'আর কী বলেছে? আমার সঙ্গে কেউ ছিল?'
নো কোয়েশ্চান। অ্যানসার দাও।'
' 'অফিসের কাজে বেরুতে হয়েছিল।'
'হুম। এই চাকরি তোমাকে ছেড়ে দিতে হবে।'
'কেন?'
'আমার পছন্দ নয়।'

ধন্যবাদ।আল্লাহ হাফেজ।