আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 141
'বাইরে থেকে যা খেয়ে এসেছে তারপর।
'ও। তুমি কি খাবে?'
'আমার তো না খাওয়ার কিছু হয়নি। তিতির কোথায়?'
মায়ের জবাব শুনতে পায়নি তিতির। কিন্তু বউদি এসেছিল তার ঘরে। বউদিও কি কেঁদেছিল। তিতির বলেছিল, 'এসো।' বেশ বিধ্বস্ত চেহারা।
"খাওয়া-দাওয়া হয়ে গিয়েছে?'
'অনেকক্ষণ। তোমাকে ডাকতে গিয়েছিলাম তুমি ঘুমাচ্ছিলে। মা বলল, দাদা এলে তোমাকে একসঙ্গে খেতে ডাকবে।'
'তুমি খাবে না।'
'না। আচ্ছা।' বউদি ঘুরে দাঁড়াল।
তিতির জিজ্ঞাসা না করে পারল না, 'কী হয়েছে বউদি?'
'শুনতে পাওনি।'
'শোনার চেষ্টা করিনি। তবে দাদার কান্না কানে এসেছে।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'হ্যাঁ। সেটাই বোধহয় আমাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দেবে এ বাড়িতে।'
'বাঃ। তা কেন? দাদা যে প্রকৃতিস্থ নয় তা সবাই জানে। ওই অবস্থায় যা করছে তার পেছনে কোনও যুক্তি থাকতে পারে না।'
'কিন্তু কেন প্রকৃতিস্থ নয়? তোমার দাদাকে কেউ ওইরকম মদ গিলে বাড়িতে ফিরতে দেখেছে? সবাই বলবে মানুষ মদ গেলে দুঃখ পেলে। গিলে মাতাল হয়। আর তোমার দাদাকে দুঃখ আমি ছাড়া আর কে দেবে?'
'এসব কথা হয়েছে কি না আমি জানি না। মনে হয় তুমি একটু বেশি অনুমান করছ। যাক গে, দাদার বক্তব্য কী?'
'আমাকে চাকরি ছেড়ে দিতে হবে।'
'কারণ?'
'কারণ সে আমাকে সন্দেহ করছে।'
'সন্দেহ। কার সঙ্গে? তাছাড়া তোমার চাকরির আয়ু তো।
'ওসব যুক্তি ওর কাছে চলবে না। আমি যেহেতু দেরি করে অফিস থেকে ফিরছি, একটু সাজগোজ করে যাচ্ছি, অনেক সময় কাজের প্রয়োজনে অফিস থেকে বেরুতে হচ্ছে তাই ওর মনে আমার সম্পর্কে সন্দেহ এসেছে।'
'কিন্তু তোমার বস তো একজন মহিলা।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'হ্যাঁ। সেটাও দোষের। বস সিগারেট খায়, ড্রিঙ্ক করে এবং তোমার দাদা খবর এনেছে মহিলা
নাকি লেসবিয়ান, আমাকে পার্টনার করতে চায়।' 'সর্বনাশ!' তিতির হতভম্ব হয়ে গেল।
বউদি হাসল, 'সর্বনাশটা কার সেটাই আমি বুঝতে পারছি না।'
'তুমি কী করবে?'
'আজ রাত হয়ে গিয়েছে। কাল সকালে ওর সামনে মা-বাবাকে আমি জিজ্ঞাসা করব তাঁরা কী চান? যদি বলেন চাকরি ছেড়ে দিতে, দেব। না দিলে এই বাড়িতে থাকা যাবে না। সম্পর্কটাও
টিকবে না।' 'এরকম ক্ষেত্রে সম্পর্কটা কি সত্যি টিকবে বউদি?'
'টেকানোর ভান করা যেতে পারে!'
'সেটা তো আরও খারাপ।'
'হয়তো। দেখি।' বউদি চলে গেল। আর খুব মন খারাপ হয়ে গেল তিতিরের। স্ক্রিপ্টে মন বসল না। সে বুঝতে পারল এখন মন বসানো তার পক্ষে সম্ভবও নয়। বরং কাল ভোর ভোর উঠে দেখতে হবে। আর যাই হোক একটুও তৈরি না হয়ে শুটিং-এ যাওয়া অত্যন্ত অন্যায় হবে।
সকাল সাতটায় ঘুম ভেঙে গেল, রঞ্জনার। মেঝেতে শতরঞ্চি পেতে শুয়েছিল সে। উঠে দেখল খাটে সুবীর নেই। কোনওদিনই সুবীর আটটার আগে বিছানা ছাড়তে চায় না। আজ সাত তাড়াতাড়ি।