আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 147

in #photography18 hours ago
আসসালামুআলাইকুম

সিগারেটটা পায়ের তলায় পিষলেন কঙ্কনা। তারপর অদ্ভুত মিষ্টি গলায় জিজ্ঞাসা করলেন, 'তোমার নাম কী ভাই?'
'তিতির।'
'বাঃ, বেশ মিষ্টি নাম তো। এটাই প্রথম।'
'হ্যাঁ।'
'বাঃ। খুব ভাল। কোনও নাটকের দল থেকে এলে বুঝি?'
'না।'
'তা হলে?'
'হঠাৎই যোগাযোগ হয়ে গেল।'
'আজকের আগে শুটিং হয়েছে?'
'হ্যাঁ, গতকাল।'
'কী বলল সবাই?'
উত্তর দিলেন জগুদা, 'খুব ভাল।'
'হুঁ। এই একটাই শিল্প আছে যার চর্চা না করেও প্রথমবার ভাল করা যায়। কিন্তু তার পরই মুশকিল। সাঁতারকাটা, সাইকেল চালানোর জন্য প্র্যাকটিস প্রয়োজন। গান গাওয়া বা ছবি আঁকার জন্য শিক্ষা দরকার। আজকাল অনেকে মনে করে অভিনয়ের জন্য সেসব প্রয়োজন নেই।' কঙ্কনা বললেন।

1734673927229.jpg

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঢাকা, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

জগুদার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল। মাথা নাড়লেন, 'কথাটা খুব সত্যি।'
শাড়ি পড়ে তৈরি হয়ে স্ক্রিপ্ট নিয়ে বসল তিতির। যে চরিত্র সে করছে তার সঙ্গে আজ প্রেমিকের দেখা হওয়ার কথা। কিন্তু ছেলেটির প্রেম সে গ্রহণ করবে না। প্রেমের ব্যাপারে তার কোনও আগ্রহ নেই সেটা জানিয়ে দেবে।
জগুদা বললেন, 'কঙ্কনা, তুমি চেঞ্জ করে নাও, আমি আসছি।'
'থ্যাঙ্কস।' কঙ্কনা উঠলেন, জগুদা বেরিয়ে যেতে দরজাটা বন্ধ করে ছিটকিনি তুলে দিল। 'আমি
একটু চেঞ্জ করে নিই, তুমি কিছু মনে করো না।'
কঙ্কনার কথায় মুখ তুলে তিতির দেখল ভদ্রমহিলা অবলীলাক্রমে গেঞ্জি খুলে ফেললেন। তাঁর ঊর্ধ্বাঙ্গ ধবধবে ফরসা, কোনও অন্তর্বাস নেই। তাড়াতাড়ি মুখ নামিয়ে নিল তিতির। এইভাবে কোনও দ্বিতীয় ব্যক্তির সামনে পোশাক বদলানো যে সম্ভব তা তিতিরের জানা ছিল না। নিজের মায়ের সামনেও এই কাজটা সে করতে পারবে না। সে টের পেল কঙ্কনা প্যান্টমুক্ত হয়ে ব্যাগ থেকে নাইটি জাতীয় একটি পোশাক বের করে মাথা দিয়ে গলিয়ে নিলেন, 'কোমরে ভাঁজ পড়লেই আমার ঘুম চলে যায়।'

1734673927255.jpg

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঢাকা, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

এবার তাকাল তিতির।
'ফ্যাট, বুঝলে ফ্যাট হল মেয়েদের সবচেয়ে বড় শত্রু। আজকালকার মেয়েগুলোকে দেখো, কোমরে দুই ইঞ্চি পাশবালিশ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ছিঃ। কী কুৎসিত দেখায়। অভিনয় করতে হলে তোমাকে এই ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।'
কথা শেষ করে দরজাটা খুলে দিল কঙ্কনা। দিয়ে আয়নার সামনে বসল। নিজেকে দেখে নিয়ে বলল, 'তুমি খুব কম কথা বলো, না?'
তিতির হাসল। তখনও সে পোশাক বদলানোর ব্যাপারটা হজম করতে পারছিল না। মানুষের
ব্যক্তিগত ব্যাপারে কোনও গোপনীয়তা থাকবে না?
'হাই কঙ্কনা।' বাইরে থেকে, গলা ভেসে এল এবং তারপরেই একটি অল্পবয়েসি সুন্দরী ঘরে
ঠুকল, 'শুনলাম তুমি মেকআপরুমে আছ!'
'আছি। খবর কী?'
'নীতদার শুটিং। আজ আসছ?'
'ভাবছি।'
'না-না। তুমি না গেলে আমার যাওয়া হবে না।'
'কেন? ওরা তো তোকে খুব পছন্দ করে।'
'মাগো। বুড়ো বুড়ো লোকগুলো মাল খেয়ে যা করে, আমি একা ম্যানেজ করতে পারব না। নেহাত দুটো ছবি আর তিনটে মেগা করছে তাই। প্লিজ কঙ্কনা, বেশি রাত করব না, বারোটার মধ্যেই বেরিয়ে আসব।'

ধন্যবাদ।আল্লাহ হাফেজ।