আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 152
উত্তমকুমার। রোজ আড্ডা হত ওঁদের ৪। সে সময় দেবী চৌধুরানীর শুটিং চলছিল। মিসেস সেন নাম ভূমিকায়। সেখানে অসীম চক্রবর্তী অভিনয় করছিলেন। ক'দিন শুটিং হয়ে যাওয়ার পর মিসেস সেনের মনে হয়েছিল অসীমবাবুর অভিনয় ভাল লাগছে না। তিনি পরিচালককে বললেন অভিনেতা পালটে দিতে। সে সময় তাঁর ইচ্ছাই ছিল শেষ কথা। অসীমবাবুকে না জানিয়ে মন্টুবাবুকে ডেকে পাঠালেন পরিচালক। নিয়ে গেলেন মিসেস সেনের কাছে। প্রস্তাব শুনে মন্টুবাবু এক কথায় খারিজ করে দিলেন। একজন অভিনেতাকে দিয়ে অভিনয় করিয়ে বাদ দিয়ে দেওয়া হলে তিনি সেই চরিত্রে কিছুতেই অভিনয় করতে পারেন না। মিসেস সেন রুষ্ট হলেও না। এটা অত্যন্ত অনৈতিক কাজ বলে তাঁর মনে হয়েছিল।
সেই স্টুডিয়ো থেকে বেরিয়ে মন্টুবাবু চলে এলেন পাশের স্টুডিয়োতে যেখানে উত্তমকুমার কাজ করছিলেন। তাঁকে দেখা মাত্রই উত্তমকুমার বেশ উল্লসিত গলায় চেঁচিয়ে উঠেছিলেন, 'সাবাস মন্টু, সাবাস। একেবারে মুখের ওপর জবাব জবাব দিয়ে এসেছিস। তোকে আজ খাওয়াতেই হবে।' মন্টুবাবু খুব অবাক হয়ে গিয়েছিলেন, এই তোমার মতো। ঘটনাটি ঘটেছে দশ মিনিট আগে। তখন মোবাইল আবিষ্কার হয়নি যে কেউ ফোন করে জানাবে। তা হলে অন্য স্টুডিয়োতে কাজ করতে করতে উত্তমকুমার খবরটা জানলেন কী করে? তখন উত্তমকুমার হেসে বলেছিলেন, 'এ পাড়ায় সেই সব
খবর হাওয়ায় ভাসে যা সচরাচর ঘটে না।' বিভাসদা বললেন, 'বসো।' তিতিররা বসল। তিতির বলল, 'আপনি যখন সব জেনে গেছেন তখন জিজ্ঞাসা করতে পারি একটা কথা?'
'নিশ্চয়ই।'
'আপনি আমাকে বলেছিলেন এই সিরিয়াল শেষ হওয়ার আগে আমি যেন অন্য কোনও অফার অ্যাকসেপ্ট না করি।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
তা হলে এদের কেন বললেন আমার সঙ্গে কথা বলতে?' তিতির সরাসরি প্রশ্ন
করল। বিভাসদা বললেন, 'আমি দেখতে চাইছিলাম তুমি ওদের কী জবাব দাও। স্টুডিয়োর হাওয়া তোমার গায়ে কতটা লেগেছে তা বোঝার জন্য ওদের বলেছিলাম তোমার সঙ্গে কথা বলতে।'
তিতির বলল, 'আপনি আমার ওপর আস্থা রাখতে পারেননি।'
'না। তুমি তার কতটা যোগ্য তা জানা দরকার ছিল।' বিভাসদা বললেন।
সুবর্ণা চুপচাপ শুনছিল, এবার বলল, 'কিন্তু বিভাসদা, ও কেন অন্য সিরিয়ালে কাজ করবে না?
আপনি কেন এটা ওর ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন?'
'দ্যাখো, প্রথমে ওর জানা উচিত নিজের ওজন কতটা। যদি অশোকের সিরিয়ালে ওর কাজ দেখে দর্শকদের ভাল লাগে তা হলে তিতির ওর পছন্দমতো কাজ করতে পারবে। দশদিন কাজ করে পাঁচ হাজার পাওয়ার চেয়ে দু'দিন কাজ করে ওই টাকা চাইতে পারবে। আমি চেয়েছিলাম স্রোতে ভেসে না গিয়ে ও একটু আলাদা হোক।' '
আপনি বলতে চাইছেন, আমি স্রোতে ভেসে গেছি?' সুবর্ণার মুখ গম্ভীর
। 'সুবর্ণা, তোমাকে আমরা পছন্দ করি। তোমার ব্যবহার আমাদের ভাল লাগে। তুমি অভিনয় করো চমৎকার। কিন্তু দ্যাখো, একটি চরিত্র পাওয়ার ব্যাপারে তোমার প্রতিদ্বন্দ্বী কারা? পাঁচ-ছয়শো টাকা যে সমস্ত অভিনেত্রী দৈনিক পান তাঁদের একজন। যে আড়াই, তিন বা পাঁচ হাজার নেয় ওই চরিত্রের জন্য তার কাছে কেউ যাবে না। আবার চরিত্র এবং প্রয়োজন অনুযায়ী যদি ওই ধরনের কোনও অভিনেত্রীকে নিতে হয় তা হলে ওরা তোমার কাছে আসবে না। ঠিক তো?'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
কথাটা এতটাই ঠিক যে সুবর্ণা চুপ করে থাকল।
'কী, কথা বলো?'
'আপনি ভুল বলছেন না। আসলে প্রথম প্রথম যে অফার পেয়েছি তাই নিয়ে নিয়েছি বলে কেউ
এখন টাকা বাড়াতে চায় না।' সুবর্ণা বলল।
'তুমি কাজ কমিয়ে দাও।' বিভাসদা বললেন।
'ওমা। তা হলে চলবে কী করে?' সুবর্ণা হাসল।
'একটু অসুবিধে হবে প্রথমদিকে। তুমি তো এখনও বিয়ে করোনি। এত খরচ কীসের। আচ্ছা
এখন কত করে নিচ্ছ?'
'সাতশো।'
'নতুন চরিত্র এলে বলবে এক হাজার পার ডে নেবে।'