আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 158
'আশ্চর্য। না থাকলেও জানতে ইচ্ছে করে না?'
'করা উচিত নয়। আদার ব্যাপারী কেন জাহাজের খোঁজ নেবে।'
তোর বাঃ, কোক বাবা প্রায় কাগজ পড়তে পড়তে বলে, পাউন্ডের দাম বাড়ল, ডলারের দাম বাড়ল।
বাবা কোনওদিন ওগুলো কিনবে।'
হেসে ফেলল তিতির, 'ঠিক আছে, আমি খোঁজ নিয়ে তোমাকে বলব।' ওরা অনুষ্ঠানের জায়গায় পৌঁছে দেখতে পেল বেশ ভিড় সেখানে। লোকে কার্ড দেখিয়ে ভিতরে
ঢুকছে। লাইন দিয়ে ওরাও ভিতরে ঢুকল। সামনে মঞ্চ চমৎকার সাজানো। দর্শকরা অনেকেই বসে আছেন আগে ভাগে। তিতির দেখল ব্যবস্থাপক সংস্থার পক্ষ থেকে কয়েকজন পুরুষ এবং মহিলা দর্শকদের বসতে সাহায্য করছেন কিন্তু তাঁদের মধ্যে রঞ্জনা নেই। ওঁদের প্রত্যেকের বুকের ওপর ব্যাচ লাগানো, পোশাকও এক রকমের। মাকে নিয়ে বসল তিতির একটু পিছনের দিকে। মৃদু বাজনা বাজছে। মাথার ওপর বিশাল ঝাড়বাতি, পায়ের তলায় কার্পেট। জুঁই ফুলের গন্ধ ভাসছে বাতাসে।
মা জিজ্ঞাসা করল, 'তোর বউদি কোথায় রে?' তিতির বলল, 'দেখতে পাচ্ছি না।'
'সবাই তো এখানে ঘুরছে, ওকে দেখতে পাচ্ছি না কেন?'
তিতির বিরক্ত হল, 'চুপ করো তো। বউদি হয়তো ভিতরে কোনও কাজ করছে।' পূর্ণ দর্শক সমাবেশে অনুষ্ঠান শুরু হল, কিছু বক্তৃতা, উদ্দেশ্য জানানো
নানো ইত্যাদির পর দর্শকদের সঙ্গে বিচারকদের আলাপ করিয়ে দেওয়া হল। দু'-দু'জন চলচ্চিত্রাভিনেত্রীকে সামনে দেখে মা ভিতিরের হাত চেপে ধরলেন, 'একেবারে সিনেমার মতো দেখতে রে!' যে খেলোয়াড়টিকে বিচারক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হল তিনি নমস্কার করতেই হই হই পড়ে গেল। কিছু দর্শক চেঁচিয়ে বললেন, 'এবার ডবল সেঞ্চুরি চাই।' খেলোয়াড়টি এমনভাবে হাত তুললেন যেন মনে হল তথাস্তু বললেন।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
তিতিররা বসেছিল একধারে। মাথার উপরে আলো ধীরে ধীরে কমে আসতেই মঞ্চের আলো
উজ্জ্বল হল। আজকের অনুষ্ঠানের মূল পরিচালক মঞ্চে এলেন। এই প্রতিযোগিতা সম্পর্কে কিছু কথা বলে জানালেন এখান থেকে নির্বাচিত দু'জনকে পাঠানো হবে ভারতসুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে। তিনি মনে করিয়ে দিলেন গতবার যিনি এই প্রতিযোগিতায় সেরা নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনিই পর্যায়ক্রমে ভারত এবং বিশ্বসুন্দরী খেতাব পান। অতএব এই প্রতিযোগিতার গুরুত্ব অসীম। কী কী বিষয় বিচারকরা পর্যবেক্ষণ করবেন তাও জানিয়ে দিলেন ঘোষক।
'কোনও অসুবিধে হচ্ছে না তো?'
কানের কাছে ফিসফিসানি শুনে চমকে তাকায় তিতির। অস্পষ্ট আলোয় রঞ্জনাকে বুঝতে
পেরেই মাথা নাড়ল, 'না। তুমি কোথায়?'
'ব্যাক স্টেজে। প্রতিযোগিতার শেষ পর্যন্ত থেকো কিন্তু।'
'থাকব। একসঙ্গে ফিরবে তো?'
পিছন থেকে একজন নিচু গলায় অনুরোধ জানায়, 'প্লিজ!'
তৎক্ষণাৎ রঞ্জনা সরে গেল। মা জিজ্ঞাসা করল, 'তোর বউদি না?'
'হ্যাঁ।'
'ও তা হলে এখানে আছে!'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'আশ্চর্য, এখানেই তো থাকার কথা।'
'কথা। কিন্তু এতক্ষণ তো দেখা করার সময় পেল না।'
'কথা ছেড়ে তোমাকে দেখে ছুটে আসবে নাকি?'
পিছন থেকে আবার বিরক্তিসূচক আওয়াজ ভেসে এল। তিতির চাপা গলায় বলল, 'কথা বোলো
না। সবাই বিরক্ত হচ্ছে।
' বারো জন নির্বাচিত সুন্দরী মঞ্চে এসে দাঁড়াল। তিতির দেখল যেন রূপের হাট বসে গেছে।
এত সুন্দর মেয়েরা সিনেমা করে না কেন?
মা নিচু গলায় বলল, 'কত লম্বা সবাই, বাঙালি?'
'তিতির জবাব দিল না। এই একটা ব্যাপারে মায়ের খুব আফশোস আছে। মায়ের উচ্চতা পাঁট ফুট, বাবার পাঁচ সাড়ে দশ। দাদা পাঁচ আট আর সে পাঁচ তিন। মা চিরকাল বলে এসেছে, 'ভাগ্যিস তোরা আমার ধাম পাসনি, সারাজীবন তো খোঁটা খেয়ে যাচ্ছি বেঁটে বলে। ছেলে বেঁটে হলে আর রক্ষে ছিল না।'