আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 160
কথা শেষ করে হেসে চলে গেলেন ভদ্রলোক।
উপাসনা বলল, 'যাচ্চলে।'
রঞ্জনা বলল, 'মানে?'
ভদ্রলোকের বিপুল পরিবর্তন হয়েছে দেখছি। অথচ আমি যখন কাজটার জন্যে চেষ্টা করছিলাম তখন ইনিই বাগড়া দিচ্ছিলেন। যাক গে, এইসব বিবাহিত আমি যখন কাজটার জলো নোকল কোরো। এরা বিছানা ছাড়া কিছু বোঝে না। উপাসনা বলল।
'আমাকে সাবধান করছ কেন?
'যুঝতে অসুবিধে হচ্ছে না ওঁর ' পরিবর্তন আমাদের কাজের জন্যে নয়, তোমাকে দেবে হয়েছে।
এই যে ডিনারের কথা বলল, আমি না এলে আমাকে বলত না।'
উনি তো তোমাকেই বললেন।' বঞ্জনা প্রতিবাদ করল।
'না। উনি আপনারা শব্দটা ব্যবহার করেছেন, তোমাকেও যেতে হবে।'
'সর্বনাশ, আমার পক্ষে যাওয়া অসম্ভব।'
'অসম্ভব।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'হ্যাঁ, আমার শাশুড়ি আর ননদ এসেছে।'
'ওরা নিশ্চয়ই তোমার সঙ্গে আসেনি।'
না।'
'তা হলে নিশ্চয়ই ফিরে যেতে পারবে।'
'কিন্তু আমি বলেছি ওদের সঙ্গে ফিরব।'
'সেটা তোমার বলা উচিত হয়নি। এই অনুষ্ঠান শেষ হওয়া মাত্রই আমাদের কাজ শেষ হয়ে
যায় না। ম্যানেজমেন্ট শব্দটার মানে তুমি জান।'
'ওরা না হয় একটু অপেক্ষা করত।'
'কিন্তু রঞ্জনা, আজকের ডিনারের নেমন্তন্নটা কিন্তু আমার জন্যে নয়। মিস্টার সান্যাল তোমার
জন্যে আমাকে ডেকেছেন।'
'আমার জন্যে কেন? আমাকে তো উনি এর আগে বার তিনেক দেখেছেন। কথাও হয়নি ভাল
করে।' রঞ্জনা ফাঁপরে পড়ল।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'আমি জানি না। তা ছাড়া তুমি তো ওঁর সঙ্গে প্রেম করতে যাচ্ছ না। দু'-তিনটে কথা বললে, হাসলে এবং ঠিক সময়ে নিজেকে সরিয়ে নিলে। এটা করতে না পারলে কোনও মেয়ের পাবলিক রিলেশনে আসা উচিত নয়। কী করে নিজেকে বাঁচাতে হবে সেটা তোমারই উচিত শিখে নেওয়া।' উপাসনা আর দাঁড়াল না। ফাঁপরে পড়ল রঞ্জনা। উপাসনার কথা যদি ঠিক হয় তা হলে তো খুব মুশকিল হবে। ভদ্রলোকের বয়স পঞ্চাশ পেরিয়েছে অনেকদিন। তার সঙ্গে ডিনার খাওয়ার ইচ্ছে কেন হল ওঁর? সুবীরের মুখটা মনে পড়ল। আজ ডিনারে গেলে সুবীরকে আরও নোংরা কথা বলার সুযোগ করে দেওয়া হবে।
প্রচণ্ড হাততালির মধ্যে বিচারকরা সেরা সুন্দরীদের নাম ঘোষণা করলেন। মা বলল, 'যাই বলিস, যাকে ফার্স্ট করল তার চেয়ে সেকেন্ড মেয়েটা বেশি সুন্দরী।
তিতির বলল, 'আমার তো তা মনে হয় না।'
'দ্যাখ না, ফার্স্ট হওয়া মেয়েটার নাক একটু বোঁচা।'
'তুমি বড্ড খুঁত ধরো।'
'আশ্চর্য! চোখে পড়লে বলব না? ও নিশ্চয়ই এদের কারও আত্মীয়।'
'ও. মা! এতক্ষণ ধরে কী শুনলে। যে মেয়েটা সেকেন্ড হয়েছে সে প্রশ্নের উত্তর ঠিকঠাক দিতে
পেরেছে? প্রথমজন পেরেছে।'
'কথা দিয়ে সৌন্দর্য বিচার হয়?'
'হ্যাঁ, হয়। শুধু চেহারা নয়। চেহারা থাকবেই, সেই সঙ্গে বুদ্ধিও থাকতে হবে।'
'আমি জানি না বাবা।' মা মাথা নেড়ে বলে, 'হ্যাঁরে, এদের বিয়ে হবে?'
অবাক হয়ে গেল তিতির, 'তার মানে?'
'চিরকাল শুনে এসেছি, অতি বড় সুন্দরী না পায় বর।'