আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 163
মা অবাক হয়ে বলল, 'আপনি বাংলা বোঝেন?'
'হ্যাঁ মা। পঞ্চাশ বছর এই কলকাতায় আছি। আমরা পাঞ্জাবিরা মেয়েদের খুব সম্মান করি। আপনাদের কোনও ভয় নেই, আরামসে বসে থাকুন।' ড্রাইভার বলল।
তিতির বলল, 'দেখলে? বেশি কথা বলার কী ফল।'
রঞ্জনা কোনও কথা বলছিল না। শাশুড়ির মধ্যে আজ সে বেশ পরিবর্তন দেখতে পেয়েছিল। অন্যদিন বাড়িতে থাকার সময় যে রকম আচরণ করেন তার সঙ্গে বিউটি কনটেস্ট দেখতে যাওয়া মহিলার প্রচুর পার্থক্য ছিল। কিন্তু ক্রমশ উনি আবার আবেগের মেজাজে ফিরে যাচ্ছেন। এখন নিশ্চয়ই নিজের মেয়েকে ওঁর খুব অপছন্দ হবে। সমালোচনা উনি একদম সহ্য করতে পারেন না। মেয়ে না হয়ে বউমা বললে এতক্ষণে অনর্থ হয়ে যেত। হঠাৎ সুবীরের কথা মনে এল। সুবীর কি এখনও জেগে আছে? ওর জন্যে খাবার নিয়ে এলে হত। চিনে খাবার খেতে খুব ভালবাসে সুবীর। কিন্তু তৎক্ষণাৎ খেয়াল হল, সুবীর কিছুতেই ওই খাবার খেত না, তখন জ্বালা বাড়ত, পয়সা নষ্ট হওয়ার থেকে অপমানটাকে ভারী মনে হত।
আজ দেরিতে ঘুম ভেঙে ছিল তিতিরের। কাল বাড়ি ফিরতে রাত হয়েছিল। বাবা ঠায় জেগেছিল, ওদের ট্যাক্সি থামতেই দরজা খুলে দিয়েছিল। মা কোনও কথা না বলে ভিতরে ঢুকে গিয়েছিল। ওরা ঢোকার পর দরজা বন্ধ করে বাবা জিজ্ঞাসা করেছিলেন, 'কী হল? তোমাদের মা কি ঝগড়া করেছেন।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
রঞ্জনা মাথা নাড়ল, 'না তো।'
'তা হলে বাক্য ব্যয় না করে ঘরে চলে গেল।'
'অনেক রাত হয়ে গেছে, আপনি যদি বকেন!'
'ও। তা তোমরা কিন্তু সত্যিই বেশ রাত করেছ।'
তিতির বলল, 'আমরা ঘণ্টাখানেক আগেই ফিরতে পারতাম। মায়ের ইচ্ছা হল ওখানকার
রেস্টুরেন্টে খাবে, বউদি খাওয়াল।'
১৩. তোমরা খেয়ে এসেছ। ভাল করেছ। ওর একটা সাধ পূর্ণ হল। তা কেমন হল অনুষ্ঠান ?
কলকাতা সুন্দরী পছন্দ হল?' বাবা হাসল।
তিতির মাথা নেড়েছিল, 'মায়ের হয়নি।'
বাবা বললেন, 'ও হ্যাঁ, স্টুডিয়ো থেকে একজন এসেছিল। তোর শুটিং দুপুরে। ওরা একটার
সময় যেতে বলেছে। সকালে তোর ছুটি।'
বাথরুম থেকে বেরিয়ে রান্নাঘরে এল তিতির। মা গ্যাসের সামনে ছিল। সে জিজ্ঞাসা করল,
'তুমি কখন উঠেছ?'
'যেমন উঠি। তোর মতো মেমসাহেবি করলে এ বাড়িতে তো আমার চলবে না। ওখানে চা
ঢাকা দেওয়া আছে, গরম করে নে।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'চা গরম করে খেতে ভাল লাগে না!'
'তা হলে নিজে নিজে কর। আমার সময় নেই। তোর দাদাকে নিয়ে আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি।
এইরকম ব্যাপার বেশিদিন চলতে পারে না।'
'কেন? দাদার কী হল?'
'গিয়ে দ্যাখ।'
'বউদি কোথায়?''সে অফিসে বেরিয়ে গেছে। যে যার গেছে নিজের ব্যাপারটা বোঝে।'
'আশ্চর্য! বউদির সম্পর্কে এভাবে বলছ কেন ? আমার শুটিং থাকলে আমি কি থাকতাম? বউদির জন্যে কাল আমরা আনন্দ করলাম, ভুলে গেলে।' বাড়িতে বসে
'কেন? আমি কী বলেছি?' মা ঘুরে দাঁড়াল।
তিতির কথা বাড়াল না। সোজা চলে এল দাদার ঘরে। এসে অবাক হয়ে গেল। দাদা শুয়ে আছে খাটে। মাথায় ব্যান্ডেজ।
'কী হয়েছে?' উদ্বিগ্ন হল তিতির।
'ওই হয়েছে।'