আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 17

আসসালামুআলাইকুম

সে অনেক কাল আগের কথা। এক গাঁয়ে এক ছাগল বাস করতো। ছাগলের বয়স যখন ৬০ বছর পূর্ণ হলো, তখন তার ছেলেমেয়েরা বাবার ৬০তম জন্মদিন জাঁকজমকের সঙ্গে পালন করবে বলে ঠিক করলো। ছেলেমেয়েদের উৎসাহে বাবা ছাগল আর না বলতে পারলো না, বরং খুশি হয়ে জন্মদিন পালনের জন্যে অনুষ্ঠানের আয়োজনের অনুমতি দিয়ে দিলো।

ছাগলের ৬০তম জন্মদিনে স্বাভাবিকভাবেই এলাকার সমস্ত পশুকে দাওয়াত করা হলো। অনুষ্ঠানের দিনে পশুরা একে একে ছাগলের বাড়িতে হাজির হলো। জন্মদিনের পার্টিতে খাঁড়, ঘোড়া প্রভৃতি বড়ো বড়ো পশু যেমন অংশগ্রহণ করলো পাশাপাশি খরগোশ কাঠবিড়ালির মতো ছোটো ছোটো প্রাণীরাও বাদ পড়লো না। ছাগলের বড়ো ছেলে অনুষ্ঠানের অতিথিদের অভ্যর্থনা জানালো।

আমন্ত্রিত পশুরা তাদের অনুষ্ঠানে আসার ক্রমানুসারে একে একে আসন গ্রহণ করলো। ফলে বসার পর দেখা গেলো মুরব্বি পশুর আগে বসেছে ছোকড়া পশু বা জুনিয়র পশু। এতে মুরব্বি বা প্রবীণ পশুরা অস্বস্তি বোধ করতে থাকলো। অতিথিদের খাবার পরিবেশনের সময় একজন মুরকির পশু বলেই ফেললো, জুনিয়র এবং সিনিয়রদের বসার আসনের মধ্যে পার্থক্য থাকা উচিত। অর্থাৎ তারা বলতে চাইলো, মুরব্বি পশুদেরকে আগে এবং ভালো আসন দেয়া উচিত। বসার ব্যবস্থা বয়সের ওপর ভিত্তি করেই হোক। এসব কথা শোনার পর ছাগলের বড়ো ছেলে সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে অতিথিদেরকে বয়স অনুযায়ী একে একে আসনে বসার জন্যে বিনীত অনুরোধ জানালো।

অতিথিরা বয়স অনুযায়ী আসন গ্রহণ শুরু করলো। এক শেয়াল যাকে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে দাওয়াত করা হয়নি, সে অনুষ্ঠানে প্রধান আসনে (যেটি সবচেয়ে প্রবীণ পশুর জন্যে নির্ধারিত ছিলো) বসার আশায় এগিয়ে গেলো। শেয়ালের কাণ্ড দেখে অন্য পশুরা দাঁত মুখ খিচে চেঁচিয়ে বললো- রাসকেল। তোমার সাহস তো কম নয়। তুমি প্রধান আসনটিতে বসতে চাও? মুখ অর্ধেক খুলে শেয়াল তার কুৎসিত দাঁত বের করে উত্তর দিলো- আমার মতো বয়স্ক পশু এই পৃথিবীতে আর কে আছে? এই পৃথিবী সম্পর্কে আমার মতো জ্ঞান আর কে রাখে? আমি স্বর্গ সম্পর্কে জানি এমনকি চাঁদ সম্পর্কেও আমার ভালো জ্ঞান আছে। চাদের মাঝে যে দারুচিনি গাছটি আছে তাতেও চড়েছি আমি আর ওই গাছের ডাল গুনেও দেখেছি আমি। চাঁদে জন্ম নেয়া ওই দারুচিনি গাছে কয়টা ডাল আছে? কে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে? এই প্রশ্ন করে শেয়াল আশেপাশে তাকালো, কিন্তু আমন্ত্রিত পশুদের কারো এর উত্তর জানা ছিলো না। তারা সবাই চুপ করে থাকলো। শেয়াল এবার অতিথিদের দিকে তাকিয়ে গর্ব ভরে বললো-আপনারা কেউ আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলেন না। তার মানে হচ্ছে আমার অভিজ্ঞতাই সবচেয়ে বেশি, অর্থাৎ আমিই এই এলাকার সবচেয়ে প্রবীণ......

For work I use:

---

মোবাইল	Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার	@taskiaakther
লোকেশন	ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	বাহিরে

ধন্যবাদ।আল্লাহ হাফেজ।