কাশ্মীরী
সেদিন বারিধারা যাওয়ার পথে ,তখনও সিটে বসিনি। বাসে উঠার সাথে সাথে চোখ জ্বালিয়ে দিলো এক ঝলক আগুন।
নাক বরাবর এক অষ্টাদশী , আমার স্নায় হ্যাক দিল যেন।জ্বলজ্বলে হলুদাভ অবয়বের সাথে নীলাভ বোরখা , নীলাভ উরনার অভিজাত কারুকার্য এই কিশোরীর রুপের জৌলুস আরো ক্ষুরধার , আরো জীবন্ত করে তুলছে ।
আমার বিপরীত পাশে একই অক্ষ বরাবর পাশের সিটে বসেছে কিশোরী সাথে বয়স্ক মহিলা কেউ ।
আমার দিকে সেও বার কয়েক চেয়েছে চোরা মুখে , চোখে অতি সাবধানে কায়দা করে ,তা না হলে সৌন্দর্য প্রিয়াসী তৃষ্ণার্ত কবির ঈগল চোখ আর সর্বাঙ্গ ।
সুন্দর এই অষ্টাদশীর যাদুমাখা আখিঁর ব্যকুল মিলন হবে কেন ?
এ কি নজরুলের নার্গিস ?
নাকি জীবনানন্দের বনলতা সেন ?
নাকি বুলবুল সরওয়ারের নাজনীন ?
নাকি সমর ইসলামের সুমাইয়া ?
নাকি যে কাশ্মীরী ললনার প্রতীক্ষায় শতাব্দীর পর শতাব্দী বসে আছি ।
আমি ই কি সেই ?
আমার মন বলছে এ বাঙ্গালী নারী নয় । আর যদি বাঙ্গালী হয়েও থাকে তবে কাশ্মীরের ঝিলা নদীর পানিতে গোসল করেছে।কোনকালে হয়তো।
তা না হলে বাঙ্গালী নারী এতো সুন্দরী হয় কি করে ?
source