al quran
আল কুরআন
১০০)প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনুল কারীমে কতটি সূরা আছে?
উত্তরঃ ১১৪টি।
১০১) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের প্রথম সূরার নাম কি?
উত্তরঃ সূরা ফাতিহা।
১০২) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের সবচেয়ে বড় সূরার নাম কি?
উত্তরঃ সূরা বাকারা।
১০৩) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের সবচেয়ে ছোট সূরার নাম কি?
উত্তরঃ সূরা কাওছার।
১০৪) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের মধ্যে সবচেয়ে বড় আয়াত কোনটি কোন সূরায়?
উত্তরঃ সূরা বাক্বারার ২৮২ নং আয়াত।
১০৫) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের মধ্যে সবচেয়ে ফযীলতপূর্ণ আয়াত কোনটি?
উত্তরঃ আয়াতুল কুরসী। (সূরা বাক্বারা ২৫৫ নং আয়াত।
১০৬) প্রশ্নঃ ফরয নামাযান্তে কোন আয়াতটি পাঠ করলে, মৃত্যু ছাড়া জান্নাতে যেতে কোন বাধা থাকে না?
উত্তরঃ আয়াতুল কুরসী।
১০৭) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন্ সূরাটি পাঠ করলে কবরের আযাব থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ সূরা মুলক। (৬৭নং সূরা)
১০৮) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরাটি কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান?
উত্তরঃ সূরা ইখলাছ। (১১২ নং সূরা)
১০৯) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার প্রতি ভালবাসা মানুষকে জান্নাতে নিয়ে যাবে?
উত্তরঃ সূরা ইখলাছ।
১১০) প্রশ্নঃ কোন সূরাটি পবিত্র কুরআনের চতুর্থাংশের সমপরিমাণ?
উত্তরঃ সূরা কাফেরূন। (১০৯ নং সূরা)
১১২. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরাটি জুমআর দিন বিশেষভাবে পাঠ করা মুস্তাহাব?
উত্তরঃ সূরা কাহাফ (১৮ নং সূরা))
১১৩ প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার প্রথমাংশ তেলাওয়াতকারীকে দাজ্জালের ফেতনা থেকে রক্ষা করবে?
উত্তরঃ সূরা কাহাফের প্রথম দশটি আয়াত। (১৮ নং সূরা))
১১৪) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন দু’টি সূরা জুমআর দিন ফজরের নামাযে তেলাওয়াত করা সুন্নাত?
উত্তরঃ সূরা সাজদা ও দাহার।
১১৫ প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন দু’টি সূরা জুমআর নামাযে তেলাওয়াত করা সুন্নাত?
উত্তরঃ সূরা আ’লা ও গাশিয়া।
১১৬) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআন কত বছরে নাযিল হয়?
উত্তরঃ তেইশ বছরে।
১১৭) প্রশ্নঃ ‘মুহাম্মাদ’ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নাম পবিত্র কুরআনে কত স্থানে উল্লেখ হয়েছে?
উত্তরঃ চার স্থানে।
(১) সূরা আল ইমরান আয়াত- ১৪৪।
(২) সূরা আহযাব আয়াত নং ৪০।
(৩) সূরা মুহাম্মাদ আয়াত নং ২।
(৪) সূরা ফাতাহ্ আয়াত নং ২৯।
১১৮) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের সর্বপ্রথম কোন আয়াত নাযিল হয়?
উত্তরঃ সূরা আলাকের প্রথম পাঁচটি আয়াত। ইক্বরা বিসমি রাব্বিকাল্লাযী…..
১১৯) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন আয়াতটি সর্বশেষ নাযিল হয়?
উত্তরঃ আল্লাহ্ বলেন,
(وَاتَّقُوا يَوْمًا تُرْجَعُونَ فِيهِ إِلَى اللَّهِ ثُمَّ تُوَفَّى كُلُّ نَفْسٍ مَا كَسَبَتْ وَهُمْ لَا يُظْلَمُونَ)
সূরা বাক্বারার ২৮১ নং আয়াত।
(ইবনু আবী হাতেম সাঈদ বিন জুবাইর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, এই আয়াত নাযিল হওয়ার পর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নয় দিন জীবিত ছিলেন।
- আল ইতক্বান ফি উলূমিল কুরআন)
১২০) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের সর্বপ্রথম কোন সূরাটি পূর্ণাঙ্গরূপে নাযিল হয়?
উত্তরঃ সূরা ফাতিহা।
১২১) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআন প্রথম যুগে কিভাবে সংরক্ষিত ছিল?
উত্তরঃক. ছাহাবায়ে কেরামের স্মৃতিতে,
খ. লিখিত অবস্থায় চামড়ায়,
গ. হাড়ে,
ঘ. পাতায় এবং
ঙ. পাথরে।
১২২) প্রশ্নঃ সর্বপ্রথম কে কুরআন একত্রিত করেন?
উত্তরঃ আবু বকর (রাঃ)।
১২৩) প্রশ্নঃ কোন সাহাবীকে কুরআন একত্রিত করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল?
উত্তরঃ যায়েদ বিন ছাবেত (রাঃ)কে।
১২৪) প্রশ্নঃ কার পরামর্শে এই কুরআন একত্রিত করণের কাজ শুরু হয়?
উত্তরঃ ওমর বিন খাত্তাব (রাঃ)
১২৫ প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন দু’টি সূরা জুমআর নামাযে তেলাওয়াত করা সুন্নাত?
উত্তরঃ সূরা আ’লা ও গাশিয়া।
১২৬) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআন কত বছরে নাযিল হয়?
উত্তরঃ তেইশ বছরে।
১২৭) প্রশ্নঃ ‘মুহাম্মাদ’ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরনাম পবিত্র কুরআনে কত স্থানে উল্লেখ হয়েছে?
উত্তরঃ চার স্থানে। (১) সূরা আল ইমরান আয়াত- ১৪৪। (২) সূরা আহযাব আয়াত নং ৪০। (৩) সূরা মুহাম্মাদ আয়াত নং ২। (৪) সূরা ফাতাহ্ আয়াত নং ২৯।
১২৮) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের সর্বপ্রথম কোন আয়াত নাযিল হয়?
উত্তরঃ সূরা আলাকের প্রথম পাঁচটি আয়াত। ইক্বরা বিসমি রাব্বিকাল্লাযী…..
১২৯) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন আয়াতটি সর্বশেষ নাযিল হয়?
উত্তরঃ আল্লাহ্ বলেন, (وَاتَّقُوا يَوْمًا تُرْجَعُونَ فِيهِ إِلَى اللَّهِ ثُمَّ تُوَفَّى كُلُّ نَفْسٍ مَا كَسَبَتْ وَهُمْ لَا يُظْلَمُونَ) সূরা বাক্বারার ২৮১ নং আয়াত। (ইবনু আবী হাতেম সাঈদ বিন জুবাইর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, এই আয়াত নাযিল হওয়ার পর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নয় দিন জীবিত ছিলেন।- আল ইতক্বান ফি উলূমিল কুরআন)
১৩০) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের সর্বপ্রথম কোন সূরাটি পূর্ণাঙ্গরূপে নাযিল হয়?
উত্তরঃ সূরা ফাতিহা।
১৩১) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআন প্রথম যুগে কিভাবে সংরক্ষিত ছিল?
উত্তরঃ ছাহাবায়ে কেরামের স্মৃতিতে, লিখিত অবস্থায় চামড়ায়, হাড়ে, পাতায় এবং পাথরে।
১৩) প্রশ্নঃ সর্বপ্রথম কে কুরআন একত্রিত করেন?
উত্তরঃ আবু বকর (রাঃ)।
১৩৩) প্রশ্নঃ কোন সাহাবীকে কুরআন একত্রিত করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল?
উত্তরঃ যায়েদ বিন ছাবেত (রাঃ)কে।
১৩৪) প্রশ্নঃ কার পরামর্শে এই কুরআন একত্রিত করণের কাজ শুরু হয়?
উত্তরঃ ওমর বিন খাত্তাব (রাঃ)
১৩৫) প্রশ্নঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর ওহী লেখক কে কে ছিলেন?
উত্তরঃ আলী বিন আবী তালেব, মুআবিয়া বিন আবী সুফিয়ান, যায়েদ বিন ছাবেত ও উবাই বিন কা’ব প্রমুখ (রাঃ)।
১৩৬) প্রশ্নঃ কোন যুগে কার নির্দেশে কুরআনের অক্ষরে নকতা দেয়া হয়?
উত্তরঃ উমাইয়া খলীফা আবদুল মালিকের যুগে হাজ্জাজ বিন ইউসূফের নির্দেশে একাজ হয়।
১৩৭) প্রশ্নঃ কুরআনে নকতা দেয়ার কাজটি কে করেন?
উত্তরঃ নসর বিন আছেম বিন ই’য়ামার (রহঃ)।
১৩৮) প্রশ্নঃ কুরআনে কে হরকত (যের যবর পেশ ইত্যাদি) সংযোজন করেন?
উত্তরঃ খলীল বিন আহমাদ আল ফারাহীদী (রহঃ)।
১৩৯) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনে কতবার ‘দুনিয়া’ শব্দটি এসেছে?
উত্তরঃ ১১৫ বার।
১৪০) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনে কতবার ‘আখেরাত’ শব্দটি এসেছে?
উত্তরঃ ১১৫ বার।
১৪১) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনে কতটি অক্ষর রয়েছে?
উত্তরঃ ৩২৩৬৭১টি।
১৪২)প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনে কতটি শব্দ আছে?
উত্তরঃ ৭৭৪৩৯টি।
১৪৩) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনে কতটি আয়াত আছে?
উত্তরঃ ৬২৩৬টি।
১৪৪) প্রশ্নঃ কোন সূরার শেষ দু’টি আয়াত কোন মানুষ রাত্রে পাঠ করলে তার জন্য যথেষ্ট হবে?
উত্তরঃ সূরা বাক্বারার শেষের আয়াত দু’টি। (২৮৫ ও ২৮৬ নং আয়ত)
১৪৫) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনে কতটি সিজদা আছে এবং কোন কোন সূরায়?
উত্তরঃ১৫টি।
আ’রাফ (২০৬নং আয়াত),
রা’দ (১৫নং আয়াত),
নাহাল (৪৯নং আয়াত),
ইসরা (১০৭নং আয়াত),
মারইয়াম (৫৮নং আয়াত),
হাজ্জ (১৮ ও ৭৭ নং আয়াত),
ফুরক্বান (৬০নং আয়াত),
নামাল (২৫নং আয়াত),
সজিদা (১৫নং আয়াত),
সোয়াদ (২৪নং আয়াত),
হা-মীম আস সাজদাহ (৩৭নং আয়াত),
নাজম (৬২নং আয়াত),
ইনশক্বিাক (২১নং আয়াত),
আলাক (১৯নং আয়াত)।
১৪৬) প্রশ্নঃ কোন সূরায় দু’টি সিজদা রয়েছে?
উত্তরঃ সূরা হজ্জ। (18 ও ৭৭ নং আয়াত)
১৪৭) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনে কতবার ‘রহমান’ শব্দের উল্লেখ হয়েছে?
উত্তরঃ ৫৭ বার।
১৪৮)প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনে কতবার ‘জান্নাত’ শব্দ এসেছে?
উত্তরঃ ১৩৯ বার।
(একবচন, দ্বিবচন ও বহুবচন শব্দে)
১৪৯) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনে কতবার ‘জাহান্নাম’ শব্দ এসেছে?
উত্তরঃ ৭৭বার।
১৫০. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনে কতবার ‘নার বা আগুন’ শব্দ এসেছে?
উত্তরঃ ১২৬বার।
১৫১. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন্ আয়াতে আরবী ২৯টি অক্ষরই রয়েছে?
উত্তরঃ সূরা ফাতাহ এর ২৯ নং আয়াতে।
১৫২. প্রশ্নঃ সূরা ফাতিহায় ‘মাগযূবে আলাইহিম’ বলতে কাদেরকে বোঝানো হয়েছে এবং ‘যাল্লীন’ বলতে কাদেরকে বোঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ ‘মাগযূবে আলাইহিম’ বলতে ইহুদীদেরকে এবং ‘যাল্লীন’ বলতে খৃষ্টানদেরকে বোঝানো হয়েছে।
১৫৩. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরায় ‘মীম’ অক্ষরটি নেই?
উত্তরঃ সূরা কাওছার।
১৫৪. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরায় ك ‘কাফ’ অক্ষরটি নেই?
উত্তরঃ সূরা কুরায়শ, ফালাক ও আছর।
১৫৫. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরায় দুবার বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম রয়েছে?
উত্তরঃ সূরা নামল। (২৭ নং সূরা)
১৫৬. প্রশ্নঃ কুরআনের কোন সূরার প্রথমে বিসমিল্লাহ নেই?
উত্তরঃ সূরা তাওবা। (৯নং সূরা)
১৫৭. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনে মোট কতবার ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম রয়েছে?
উত্তরঃ ১১৪ বার।
১৫৮. প্রশ্নঃ কোন্ সূরা সম্পর্কে ইমাম শাফেঈ বলেন, “মানুষের জন্য এ সূরাটি ব্যতীত অন্য সূরা নাযিল না হলেও যথেষ্ট ছিল”?
উত্তরঃ সূরা আছর।
১৫৯. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনে কতজন নবীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে?
উত্তরঃ ২৫ জন।
১৬০. প্রশ্নঃ মাক্কী সূরা ও মাদানী সূরা বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ মাক্কীঃ মদীনায় হিজরতের পূর্বে যা নাযিল হয়েছে।
মাদানীঃ মদীনায় হিজরতের পর যা নাযিল হয়েছে।
১৬১. প্রশ্নঃ মাক্কী সূরার মৌলিক বৈশিষ্ট কি কি?
উত্তরঃ মাক্কী সূরার মৌলিক বৈশিষ্ট্য গুলো দেওয়া হলোঃ
১) তাওহীদ এবং আল্লাহর ইবাদতের প্রতি আহবান। জান্নাত-জাহান্নামের আলোচনা এবং মুশরিকদের সাথে বিতর্ক।
২) মুশরকিদের খুন-খারাবী, ইয়াতীমের সম্পদ ভক্ষণ প্রভৃতি কর্মের নিন্দাবাদ।
৩) সংক্ষিপ্ত বাক্য অথচ অতি উচ্চাঙ্গের সাহিত্য সমৃদ্ধ।
৪) নবী মুহাম্মাদ (সাঃ)কে সান্তনা দেয়া ও উপদেশ গ্রহণ করার জন্য ব্যাপকভাবে নবী-রাসূলদের কাহিনীর অবতারনা, এবং কিভাবে তাঁদের সমপ্রদায়ের লোকেরা তাঁদেরকে মিথ্যাবাদী বলেছে ও কষ্ট দিয়েছে তার বর্ণনা।
১৬২. প্রশ্নঃ মাদানী সূরার মৌলিক বৈশিষ্ট কি কি?
উত্তরঃ মাদানী সূরার মৌলিক বৈশিষ্ট গুলো হলোঃ
(১) ইবাদত, আচার-আচরণ, দন্ডবিধি, জিহাদ, শান্তি, যুদ্ধ, পারিবারিক নিয়ম-নীতি, শাসন প্রণালী অন্যান্য বিধি-বিধানের আলোচনা।
(২) আহলে কিতাব তথা ইহুদী খৃষ্টানদেরকে ইসলামের প্রতি আহবান।
(৩) মুনাফেকদের দ্বিমুখী নীতির মুখোশ উম্মোচন এবং ইসলামের জন্য তারা কত ভয়ানক তার আলোচনা।
(৪) সংবিধান প্রণয়ণের ধারা ও তার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নির্ধারণ করার জন্য দীর্ঘ আয়াতের অবতারণা।
১৬৩. প্রশ্নঃ মাদানী সূরা পরিচয়ের নিয়ম কি?
উত্তরঃ মাদানী সূরা পরিচয়ের নিয়ম গুলো হলোঃ
(১) যে সকল সূরায় কোন কিছু ফরয করা হয়েছে বা দন্ডবিধির আলোচনা করা হয়েছে।
(২) যে সকল সূরায় মুনাফেকদের সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
(৩) যে সকল সূরায় আহলে কিতাবদের সাথে বিতর্ক করা হয়েছে।
(৪) যে সকল সূরা “ইয়া আইয়্যুহাল্লাযীনা আমানূ” দ্বারা আরম্ভ হয়েছে।
১৬৪. প্রশ্নঃ মাক্কী সূরার সংখ্যা কতটি?
উত্তরঃ ৮৬টি সূরা।
১৬৫. প্রশ্নঃ মাদানী সূরার সংখ্যা কতটি?
উত্তরঃ ২৮টি সূরা।
১৬৬. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন্ সূরার প্রতিটি আয়াতে ‘আল্লাহ্ শব্দ আছে?
উত্তরঃ সূরা মুজাদালা। (৫৮ নং সূরা)
১৬৭. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন্ কোন্ সূরা ‘আল হামদুলিল্লাহ দ্বারা শুরু হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা ফাতিহা, সূরা আনআম, সূরা কাহাফ, সূরা সাবা ও সূরা ফাতির। (সূরা নং যথাক্রমে, ১,৬,১৮,৩৪ ও ৩৫)
১৬৮. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনে ছয়জন ব্যক্তির নাম উল্লেখ আছে যাঁরা সকলেই নবীর পুত্র নবী ছিলেন তাদের নাম কি কি?
উত্তরঃ পবিত্র কুরআনে ছয়জন ব্যক্তির নাম উল্লেখ আছে যাঁরা সকলেই নবীর পুত্র নবী ছিলেন তাদের নামঃ
(১) ইবরাহীমের পুত্র ইসমাঈল
(২) ইবরাহীমের পুত্র ইসহাক,
(৩) ইসহাকের পুত্র ইয়াকূব
(৪) ইয়াকূবের পুত্র ইউসুফ,
(৫) যাকারিয়ার পুত্র ইয়াহইয়া ও
(৬) দাউদের পুত্র সুলাইমান (আলাইহিমুস্ সালাম)
১৬৯. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনে জাহান্নামের ৬টি নাম উল্লেখ হয়েছে। উহা কি কি?
উত্তরঃ পবিত্র কুরআনে জাহান্নামের ৬টি নাম নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
(১) জাহান্নাম (সূরা নাবা: 21)
(২) সাঈর (সূরা নিসা: 10)
(৩) হুতামা (হুমাযা: 4)
(৪) লাযা (সূরা মাআরেজ: 15)
(৫) সাক্বার (সূরা মুদ্দাসসির: 42)
(৬) হাভিয়া (সূরা কারিয়া: 9)
১৭০. প্রশ্নঃ কুরআনের কোন সূরায় মুবাহালার আয়াত রয়েছে?
উত্তরঃ সূরা আলে ইমরান- আয়াত নং- ৬১।
মুবাহালা: হক ও বাতিলের মাঝে দ্বন্দ্ব হলে, বাতিল পন্থীর সামনে যাবতীয় দলীল-প্রমাণ উপস্থাপন করার পরও সে যদি হঠকারিতা করে, তবে তাকে মুবাহালার জন্য আহবান করা হবে। তার নিয়ম হচ্ছেঃ উভয় পক্ষ নিজের স্ত্রী, সন্তান-সন্ততিকে উপস্থিত করবে, অতঃপর প্রত্যেক পক্ষ বলবে, আমরা যদি বাতিল পন্থা উপর প্রতিষ্ঠিত থাকি, তবে মিথ্যাবাদীদের উপর আল্লাহর লা’নত (অভিশাপ)। এটাকেই বলে মুবাহালা।
১৭১. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন্ সূরার কোন্ আয়াতে ব্যভিচারের দন্ডবিধির আলোচনা আছে?
উত্তরঃ সূরা নূর- আয়াত নং- ২।
১৭২. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার কত নং আয়াতে ওযুর ফরয সমূহ উল্লেখ করা হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা মায়েদা- আয়াত নং- ৬।
১৭৩. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার কোন আয়াতে চুরির দন্ডবিধি উল্লেখ হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা মায়েদা- আয়াত নং- ৩৮।
১৭৪. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার কোন আয়াতে মিথ্যা অপবাদের শাস্তির বিধান উল্লেখ হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা নূর-
আয়াত নং- ৪।
১৭৫. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার কোন আয়াতে মুমিন নারী-পুরুষকে দৃষ্টি অবনত রেখে চলাফেরা করতে বলা হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা নূর-
আয়াত নং ৩০-৩১।
১৭৬. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার কোন আয়াতে মীরাছ (উত্তরাধীকার সম্পদ বন্টন) সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা নিসা-
আয়াত নং- ১১, ১২ ও ১৭৬।
১৭৭. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার কোন আয়াতে বিবাহ হারাম এমন নারীদের পরিচয় দেয়া হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা নিসা-
আয়াত নং- ২৩, ২৪।
১৭৮. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার কোন আয়াতে যাকাত বন্টনের খাত সমূহ আলোচনা করা হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা তওবা-
আয়াত নং- ৬০।
১৭৯. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার কোন আয়াতে ছিয়াম সম্পর্কিত বিধি-বিধান উল্লেখ হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা বাক্বারা-
আয়াত নং ১৮৩-১৮৭।
১৮০. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার কোন আয়াতে বাহনে আরোহনের দুআ উল্লেখ করা হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা যুখরুফ-
আয়াত নং- ১৩।
১৮১. প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের কোন সূরার কোন আয়াতে নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর প্রতি দরূদ পড়ার আদেশ করা হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা আহযাব-
আয়াত নং ৫৬।
১৮২. প্রশ্নঃ কোন সূরার কোন আয়াতে হুনায়ন যুদ্ধের কথা আলোচনা করা হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা তওবা-
আয়াত নং- ২৫, ২৬।
১৮৩. প্রশ্নঃ কোন সূরায় বদর যুদ্ধের ঘটনাবলী উল্লেখ করা হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা আনফাল।
(আয়াত নং : 5-19, 41-48, 67-69)
১৮৪. প্রশ্নঃ কোন সূরায় বনী নযীরের যুদ্ধের ঘটনা উল্লেখ আছে?
উত্তরঃ সূরা হাশর।
(আয়াত নং ২-১৪)
১৮৫. প্রশ্নঃ কোন সূরায় খন্দক যুদ্ধের ঘটনা উল্লেখ আছে?
উত্তরঃ সূরা আহযাব
(আয়াত নং ৯-২৭)।
১৮৬. প্রশ্নঃ কোন সূরায় তাবুক যুদ্ধের ঘটনা উল্লেখ আছে?
উত্তরঃ সূরা তওবা
(আয়াত নং ৩৮-১২৯)।
১৮৭. প্রশ্নঃ কোন সূরায় নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হিজরতের ঘটনা উল্লেখ আছে?
উত্তরঃ সূরা তওবা
(আয়াত ৪০
Hi! I am a robot. I just upvoted you! I found similar content that readers might be interested in:
https://sharifkhanbd.blogspot.com/2017/05/blog-post_52.html