সন্ধ্যার ভাজাপোড়া
সন্ধ্যার নাস্তায় ভাজাপোড়া আইটেম বাঙালির খুবই একটি পরিচিত বিষয়। বাংলাদেশের শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত সব জায়গায়ই এই ভাজাপোড়া আইটেম টা খুবই প্রচলিত একটি খাবার। বিভিন্ন ফাস্টফুডের ভিড়ে এই পরিচিত কিছু ভাজাপোড়া আইটেম খুবই জনপ্রিয় সব বয়সী মানুষের কাছে। তেলেভাজা এই সমস্ত ফাস্টফুড গুলো গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত এবং শিশু থেকে বৃদ্ধ সব ধরনের মানুষের কাছে খুবই প্রিয়। সেরকম আমার কাছেও এই ভাজাপোড়া আইটেম খুবই প্রিয় একটি খাবার।
আমাদের দেশে পাওয়া জনপ্রিয় বেশ কিছু ভাজাপোড়া আইটেমের মধ্যে রয়েছে সিঙ্গারা, পুরি, পিয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ ইত্যাদি। এর মধ্যে আমার সবথেকে ভালো লাগে আলুর চপ এবং পেঁয়াজি। কাজের জন্য ঢাকাতে থাকা হয়। তাই প্রায় ঢাকার বাজার থেকে এগুলো কিনে খাই। তবে আমার কাছে আমাদের গ্রামে যে পেঁয়াজি বা আলুর চপ পাওয়া যায় সেগুলোর মত ঢাকার গুলো হয় না। আসলে সেগুলোর সাথে কোন জায়গায় তুলনা হয় না।
কিছুদিন আগে সন্ধ্যার দিকে বাইরে গেলাম কিছু হালকা বাজার করতে। বাজার শেষ করে বাড়ির দিকে ফিরছিলাম, ফেরার সময় হঠাৎ মনে হলো বাড়িতে কিছু নিয়ে যায়। কারন আমার বউয়েরও এই ভাজাপোড়া খুবই পছন্দের একটি খাবার। তাই চিন্তা করলামপাশের হোটেল থেকে হালকা কিছু কিনে নিয়ে যায়।গিয়ে সবার আগে চেক করলাম আমার প্রিয় আলুর চপ, আলুর চপ সেখানে ছিল কিন্তু একেবারে ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল। তাই আলুর চপগুলো আর নিলাম না। গরম ছিল পেঁয়াজি এবং ডুবো তেল থেকে তখনি নামাজ ছিল গরম গরম পুরি। তাই খুবই অল্প পরিমাণে কিছু পেঁয়াজ এবং পুরি নিলাম । আসলে আগের মত এই ধরনের ভাজাপোড়া অত বেশি আর খেতে পারিনা। কারণ একটু বেশি খেলে অতিরিক্ত এসিডিটি পেটের মধ্যে হয়, এবং খুবই অস্বস্তি একটি ফিল হয়। যতটা পারা যায় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি।কিন্তু প্রিয় মজাদার খাবার একেবারে এড়ানো কি সম্ভব। এজন্য যতটা সম্ভব কম খাই। আসলে এগুলো তো স্বাস্থ্যের জন্য এতটা ভালো না।
তো যাই হোক অল্প কিছু কিনে নিয়ে বাড়ির দিকে চলে গেলাম। তারপর বউ হালকা সালাদ এবং সস নিয়ে আসলো। আমাকে একটা বাটিতে তুলে দিল। তারপর ও একটা ছবি তুলল। তারপর দুইজন মিলে মজা করে খেলাম।