আমাদের গল্পঃ সমাজের প্রতিচ্ছবি। তৃতীয় পর্ব (Our Story : Reflection of Society, Part: 3)
-তোয়ার নাম কি?
-শুভ দাশ/দাস।
-জাইল্যার দাশ না ধোয়ার দাশ/দাস?
-আই জানি না স্যার। আমরা দাশ লিখি
সেই দিন স্যারের প্রশ্নটা বেশ কষ্ট দিয়েছিলো। যে কষ্টটা এখনো কিছু নিকৃষ্ট মানুষ মনে করিয়ে দেয়।
তারপর বেশ কিছু বছর কাটে,কলেজ শেষ করি, হিন্দু বন্ধু তেমন ছিলো না বলেই হয়তো জাত পাতের প্রশ্ন আসতো না। আর কলেজ বলতেই তখন এমন ছিলো,কলেজের বাইরের টং এর চা আর ব্যানসন সিগারেট। কলেজের পার্ট শেষ হতে না হতেই, জীবনের কষ্ট শুরু হলো। যা ক্লাস ফাকি দিয়ে চা,সিগারেট খাওয়ার ফল বলে মনে করি।
ভর্তি হলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে, এখানে কমিউনিটি আরো বড় হলো, তবে বন্ধুর সংখ্যা প্রচুর ভাবে কমে গেলো। হয়ে গেলাম একা। শুরু হলো ভার্চুয়াল জগতের বন্ধু খোজা। এর মধ্যে মনের মধ্যে প্রেম ভাবও জাগতে শুরু করেছে। স্কুলের সে দিন গুলোর কথা মনে পড়তো।
ভার্চুয়াল জগতে বেশ কিছু বন্ধু বান্ধবী । খুব যত্ন সহকারে মেসেজ দিতাম তাদের অনেকেই। ওনার দিক থেকেও সাড়া পেলাম। চলতে থাকলো কথা বার্তা। কথার ফাঁকে একদিন জিজ্ঞেস করলো।
-তো আপনি শুভ দাশ?
-হ্যা, কোনো সন্দেহ আছে?
-না, আসলে দাশ,মানে জ্যাইলার দাশ না হাইল্যা দাশ।
বুঝতে বাকি রইলো না এর মধ্যেও সমাজের কুসংস্কার রয়ে গেছে।