প্রবাসীর জীবন গল্প

in #story5 months ago

আসসালামু আলাইকুম , আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি, আজ আমি আপনাদের সামনে তুলে দরবো আমার জীবনের গল্প।

naturel buty.jpg
( Natural Beauty )

part- 1

আমার নাম, মুন্তাজ আলী। আমি গ্রামের সামান্য কৃষকের ছেলে , তাই পরিবারের হাল দরতে বিদেশে চলে যায়। সালটা ছিলো ২০১২ ইং ,তখন আমার বয়স ছিলো ২১ বছর। তখন আমি (বি,এ) ৩য় বর্শের ছাত্র । যার কারণে আমার আর পড়া লেখা হোল না। যায় হোক এখন আমি বিদেশ যাওয়ার গল্প বলি, যখন আমার যাওয়ার তারিখ হয় তখন আমার অনেক খারাপ লাগে আমি যখন বাড়ি থেকে বের হই তখন আমি মনে মনে বলি, দালাদ (গ্রামের ভাষায়) যদি কোন কারণে আমাকে নিতে না পর ত তাহলে আমি আরো কিছু দিন বাড়িতে থাকতে পরতাম। আবার অনেক টাকা দিয়েছি দালালকে সেটাও চিন্তা করি। এভাবেই এক সময় ইমিগ্রেশন শেষ করে, বিমানে বসে যায় আমার ছিটে। আমার জীবনের প্রথম বিমানে উঠা, আমার ভয় লাগতেছে আবার আমার মনকে বুজায় আমার ভয় করলে চলবেনা, আমাকে অনেক দূর যেতে হবে। এভাবেই আমি পৌছে গেলাম আমার গন্তব্যে। আমি মোটামুটি ইংরেজি বুজতাম কিন্তু বলতে পারতামনা। কিন্তু সেখানে ইংরেজি বলে না, আরবি বলে, আমি ত আরবি কিছুই বুজিনা আমরা এক দলে ১৫ জন ছিলাম । আমাদের একজনও আরবি জানিনা। সেখানের পুলিশ অনেক কষ্টে আমাদের ইমিগ্রেশন করে। (এখন সেটা বুজি।) ইমিগ্রেশন শেষ করে, যখন বাহিরে যায় তখন প্রায় সকাল ১০টা বাজে (সেখানের টাইম) আমি যখন বাহির যেতে চাইলাম সেখানের তাপমাত্রা এত ছিলো যে আমি আবার উলটা বিতরে চলে যায়, কিন্তু আমাকে যে অনেক দূর যেতে হবে, আমাকে ত যেতেই হবে। আমদের সবাইকে একটা ব্যানে বন্ধ করে নিয়ে যাচ্ছে, মাঝে মাঝে মনে হয় গাড়ি কেমন জানি ঘুরছে, আবার যাচ্ছে আবার ঘুরছে, হটাৎ যখন গাড়ি থামলো তখন আমরা সবাই ড্রাইভার কে জিজ্ঞেস করলাম গাড়ি এমন ভাবে ঘুরলো কেনো? সে বললো রাউন বর্ডের জন্য, তখন কিছুই বুজলামনা ড্রাইবার কি বললো। আমাদের সবাইকে আমাদের রুম দেখিয়ে দিলো, ১ রুমে ১০ জন করে, আর ২০০ দিরহাম দিয়ে খানার হোটেল দেখিয়ে দিলো, তখন আমরা অনেক খুশি হলাম, আমরা সবাই রেডি হয়ে খেতে গেলাম এক ইন্ডিয়ান হোটেলে আমরা ত কেও হিন্দি জানি না, তাই ইশারা করে খেতে হলো। তার পর বাসায় এসে গুমিয়ে পরলাম।
আজকের মত শেষ করছি, কথা হবে আগামী পর্বে, আল্লাহ আপনদের সবাইকে ভালো রাখুন। আল্লাহ হাফেজ।

Sort:  
Loading...