শেষ বিকেলের মায়া - আমার লেখা ছোট একটি গল্প - পার্ট ২২

in #story2 days ago
আসসালামুআলাইকুম

গল্পের বাকি অংশ সুরু করা যাক ......

.

হ্যাঁ, আমাদের সমাজের অবস্থা এমনই, সত্যি এমনই, আর এই অবস্থার মধ্যেও গুটিকয়েকজন বোন যখন বুঝতে পারেন যে, এসব আর করা যাবে না; তখন তাকে সবাই তপসী রাবেয়া বলে কটাক্ষ করতে থাকে। এতে তার ভেতরে শুরু হয় দ্বিমুখী দ্বন্দ্ব। নিজের নফসের সাথে এবং নিজের আপনজনদের সাথে।

IMG_7526.JPG

For Photos I use:


Camera
Iphone 12 Mini
Lens
Wide 26 mm-Equivalent
Photographer
@fxsajol
Location
Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh
Processing photos
Outdoor

যাক, সমস্যার কথা অনেক হলো। এই সমস্যার সত্যিকারের সমাধান আমার কাছে মনে হয় শুধুমাত্র একটি ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থাতেই সম্ভব; তা ছাড়া নিজেদের মতো জোড়াতালি দিয়েই আমাদের চলতে হবে। তো জোড়াতালি দেওয়া একটা আপাত সমাধান হলো, ‘তো-প্রজাতির’ ব্যক্তিদের সামনে বড় খিমার পরে যাওয়া ও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলা। হ্যাঁ, আত্মীয়দের সাথে কথা বলা তো আর বন্ধ করে দেওয়া যাবে না, তাই না? তবে, এই কথা বলাটা যেন হাহা-হিহি টাইপ রসাল-কষাল কথা না হয়ে যায়, সে দিকে সন্তর্পণ দৃষ্টি রাখতে হবে।

তৃতীয় কমেন্টে আপু যে স্টেজটার কথা বলছেন তা খুব কঠিন একটা স্টেজ। অধিকাংশ মানুষ এই স্টেজটায় এসে ঝরে যায়, আর এগুতে পারে না। এক ফ্রেন্ডকে দেখতাম একদিন হিজাব পরে ক্লাসে আসছে তো একদিন জিন্স পরে আসছে। আবার হঠাৎ হঠাৎ একেবারে আপ টু বটম কালো বোরকায় ঢেকে আসছে। তখন অতশত বুঝতাম না। খুব হাসাহাসি করতাম তাকে নিয়ে। আমাদের ক্ষণিকের মজার জন্যে হয়তো ওর আর ফেরা হয়নি। নিজেকে শক্ত হাতে ধরে রাখতে পারেনি দ্বীনের জন্য। ও ঝরে গিয়েছে। জিন্স টন্সে যখন কেউ হাসাহাসি করে না, তখন সেটাই সই। আমাদের চারপাশটা এমনই। বিশ্বাস করুন। আমরা অন্যের মধ্যে ভালো কিছু দেখলে তাকে নিয়ে হাসাহাসি করি। তুচ্ছতাচ্ছিল্য করি। এসবেও কাজ না হলে হুমকি-ধমকিও দিই। উৎসাহ দেওয়া তো বহুত দূর কী বাত!

কিন্তু যে সময়টায় একটা মানুষের অন্তরে একটু একটু করে দ্বীনের নুরের অনুপ্রবেশ ঘটে; সেই সময়টা তার জন্য খুবই নাজুক একটা সময়। সব মানুষ তো আর উমর রা.- এর মতো দৃঢ়চেতা হয় না, তাই না। যখন আমরা নিজেকে আবৃত করে নিই, তখনও কিন্তু আমাদের সেই নীল ড্রেসটাই পছন্দের থাকে যা আগে ছিল। যখন আমরা নিজেদের রবের হুকুম মানার জন্য একটু একটু করে প্রস্তুত করতে চাই, তখন কিন্তু প্রিয় শত্রু চুপচাপ বসে থাকে না। সে তার কাজে এক্টিভ থাকে। চলতেই থাকে তার অবিরাম ফিসফিসানি। আর তার সাথে যোগ হয় অমুক তমুকের মন্তব্য। বাঁকা হাসি। ভ্রু কুঁচকে তাকানো। এই সময়টায় কে একটু বাঁকা চোখে তাকিয়েছে এটাও যেন খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। যে মেয়েটা হয়তো একসময় আড্ডার মধ্যমণি ছিল, সেই মেয়েটাই এখন আড্ডার হাসির খোরাক। এই অবস্থা থেকে বেরুনোর উপায় হল ইস্পাত-কঠিন সংকল্প করা।
হ্যাঁ জানি; বলে ফেলাটা যতটা সহজ করাটা ঠিক ততটাই কঠিন। তাই তো রবের দুয়ারে বার বার আকুতি জানাতে হবে। আবেগ অশ্রু মিশিয়ে তাঁকে বলতে হবে ‘মালিক আমার; আমার ইলাহ; ও গো আমার প্রতিপালক; তোমার পথেই তো নিজেকে সঁপেছি; এ পথচলা তুমি সহজ করে দাও, রাব্বি। তুমি ছাড়া কে আর আছে আমায় বুঝবে!”

চতুর্থ কমেন্টের আপুর ছলছলে চোখ দুটো দেখতে পাচ্ছেন? কেন এই কান্না? কেন এই যন্ত্রণা? না, নারী স্বাধীনতার জন্য এই নীরব রোদন নয়। এই ভাঁপওঠা হৃদয়ে যে শুধুই তার রবের হুকুম পালন না করতে পারার আক্ষেপ।
হ্যাঁ, আমরা যারা মন-প্রাণ সঁপে দিয়েছি তাঁকে। আমরা যারা প্রতিটা রক্তবিন্দু দিয়ে শুধু তাঁরই আনুগত্য করতে ব্যাকুল। আমাদের অনুভূতিগুলো এমনই। আমাদের কাছে তাঁর অবাধ্যতা করার চেয়ে মৃত্যু বেশি পছন্দের। কোনো ক্লাসে যখন কোনো মুক্তমনা স্যারের মন হঠাৎ আমাদের নিকাব দেখে সংকীর্ণ হয়ে যায়, তখন আমরা রবের কাছে ফরিয়াদ জানাই। আমরা আবৃত থাকি, আলখাল্লা গায়ে জড়িয়ে রাখি। নির্বিকার চিত্তে পায়ে ঢেলে দিই এই নশ্বর ধরার মোহ। আমরা জানি, অমুক চাকরিটা করলে হয়তো জীবনে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। তবুও আমরা সেটা ছেড়ে দিই। আমাদের রবের হুকুম পালনে যেন কোনো ত্রুটি না হয়। আমরা বুঝি তমুক সম্বন্ধটা খুব ভালো ছিল। তবুও আমরা তাতে সায় দিই না। যে পরিবারে দ্বীন নেই সেখানে দুনিয়ার সমস্ত ঐশ্বর্য থাকলেও তা আমাদের টানে না।

IMG_7532.jpg

For Photos I use:


Camera
Iphone 12 Mini
Lens
Wide 26 mm-Equivalent
Photographer
@fxsajol
Location
Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh
Processing photos
Outdoor

হ্যাঁ, আমরা জানি, অনেকের চোখেই আমরা আনস্মার্ট, ক্ষ্যাত। অনেকের চোখেই আমরা বোকাসোকা, নির্বোধ। কিন্তু তোমরা জানো না, সাত আসমানের উপর যিনি আছেন তিনি আমাদের কথা তাঁর অগণিত ফিরিশতাদের বলছেন। তিনি বলছেন, তিনি আমাদের ভালোবাসেন। ফিরিশতারাও যেন আমাদের ভালোবাসতে শুরু করে। তাঁর প্রেমে যে মন মজেছে, সে মন কী এমন নস্যি কটাক্ষে ভেঙে যেতে পারে?

This is original content by @fxsajol . Stay with me and get more post about travel, photography, life, story, technology and motivation etc. Please upvote, comment and resteem my post. Again thank you so much 😊
সময় নিয়ে গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
Sort:  

The purple, green and yellow colors create what look to be an exotic blend of colors

!upvote 15


💯⚜2️⃣0️⃣2️⃣4️⃣ Participate in the "Seven Network" Community2️⃣0️⃣2️⃣4️⃣ ⚜💯.
This post was manually selected to be voted on by "Seven Network Project". (Manual Curation of Steem Seven).

the post has been upvoted successfully! Remaining bandwidth: 155%

Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 9.234245868492197 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Hi @fxsajol,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community