Death of faith
আপুটা মারা গেছে।
নাইলনের চিকন দড়িটা গলা চিরে কণ্ঠনালী ছুঁয়েছে প্রায়।
সারারাত ফ্যানের নিচে ঝুলে ছিলো।
কেউ দেখেনি, কেউ শুনেনি তার কষ্টের কথকথন।
.
ফেইসবুকে একটা আপুর সাথে পরিচয় হয়েছিলো প্রায় বছর খানেক আগে।
টুকটাক কথাবার্তা হতো।
ফোনে আলাপ হতো।
একসময় জানতে পারি আপুটার একটা বয়ফ্রেন্ড আছে।
অনেক ভালোবাসে তাকে।
তখন আপুটা অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে।
ফাইনাল ইয়ার শেষ করে বিয়ে করবে এমন প্লান।
বেশ রোমাক্টিক লাভ স্টোরি ছিলো তাদের।
যখন ঘুরতে যেত, আমাকে তাদের ডুয়েট পিক দিতো।
আমি দেখতাম।
.
আপুটা আমার সাথে অনেক ফ্রি ছিলো।
তাদের গোপনীয় অনেক কথাই বলত আমাকে।
তার বয়ফ্রেন্ড তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে চায় এমন কথা বলত।
আমি বলতাম এসব বিয়ের আগে যেন না করে।
একদিন বিকেলে আমি মাঠে বসে খেলা দেখছিলাম।
তখন হঠাৎ আপুর কল।
রিসিভ করলাম।
ওপাশে কান্নাজড়িত কন্ঠে আপু।
---কি হয়েছে আপু?
---আমার সর্বনাশ হয়ে গেছে ভাই।
---খুলো বলো।
---আজ তোমার ভাইয়ার সাথে.....
---কিভাবে হলো এসব?
---ভালোবাসার কসম দিয়ে আমাকে খাটে শুইয়েছে।
আমি এখন কি করব?
সমাজে মুখ দেখাবো কিভাবে?
বাঁচবো কিভাবে?
আমি কি বলব কিছুই ভেবে পেলাম না।
.
ভাইয়াটার নাম্বার নিলাম পরেরদিন।
কল দিয়ে বললাম-
---ভাইয়া, আমি সৌরভ।
চিনেছেন?
---হ্যাঁ, তোমার কথা অনেক শুনেছি।
কি ব্যপার?
---আপুর সাথে যা করেছেন সেটা ঠিক হয়েছে?
এতোবড় ক্ষতি না করলে হতো না?
---আমি ওকে বিয়ে করব।
তাছাড়া তুমি এসব বলার কে?
---আমি তার ছোট ভাই।
ভাইয়াটা সেদিন অনেক বাজে ভাবে আমাকে বকেছে।
আমার খারাপ লেগেছে।
আপুর আইডির পাসওয়ার্ড জানতো তাই সেই আইডি থেকে আমাকে ব্লক দিয়েছে।
.
তারপর মাঝে মাঝে ফোনে কথা হতো আপুটার সাথে।
বিশ মিনিট,ত্রিশ মিনিট, এক ঘন্টা....
আপুটা কাঁন্না করত।
সেই ঘটনার দু'মাস পরে একদিন জানতে পারলাম আপুর সাথে ভাইয়াটার ভিটিও ফুটেজ আছে ভাইয়ার কাছে।
যখন ইচ্ছে হয়, তখনি যেতে হয় ভাইয়ার কাছে।
নিজেকে বিলিয়ে দিতে হয় ইচ্ছের বিরুদ্ধে।
.
তারপর অনেকদিন কথা হয়না আপুটার সাথে।
একদিন কল দিয়ে দেখি নাম্বার অফ।
তারপর কয়েকদিন কল করে ফোন অফ পেয়েছি।
সাত মাস আগে সর্বশেষ কথা হয়েছিলো।