বাঙালি বিজ্ঞানী
২০ শতক থেকে যে সব কৃতী বাঙালি বিজ্ঞান নিয়ে মগ্ন হন তাঁর মধ্যে প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশকে ভাবতে হয়। তাঁর জন্ম 1893 সালের 2 জুন। তিনি ছিলেন বিক্রমপুরের জমিদার বংশের। তাঁর পিতামহ গুরুচরণ কলকাতায় আসেন ।দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্পর্শে ব্রাহ্মধর্ম গ্রহণ করেন এবং নানারকম কাজে আত্মনিয়োগ করেন। তাঁর বাড়ি ব্রাহ্ম সমাজের কেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায়। তিনি এডিনবরা ইউনিভার্সিটি থেকে শারীরবিজ্ঞানে ডক্টরেট হন। তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজের শারীরবিদ্যা বিভাগের প্রধান হন। প্রশান্ত তাঁর পুত্র ।শৈশবে ব্রাহ্ম বয়েজ স্কুলে এবং প্রেসিডেন্সি কলেজে প্রবেশ করেন। তাঁর শিক্ষকরা ছিলেন জগদীশচন্দ্র বসু, সারদাপ্রসন্ন দাশ এবং প্রফুলস্নচন্দ্র রায়।
তিনি কেমব্রিজের যোগ দেন। পদার্থবিজ্ঞানে ট্রাইপস পর প্রশান্তচন্দ্র সিটিআর উইলসনের তত্ত্বাবধানে ক্যাভেন্ডিশ গবেষণাগারেপ্রবেশ করেন। এর পর বিখ্যাত Biometrica পত্রিকার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। এর একটি সম্পূর্ণ সেট তিনি নিয়ে ভারতে আসেন। এ-পত্রিকা পড়েই তিনি বুঝতে পারেন কীভাবে পরিসংখ্যানশাস্ত্রটি বিষয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
কলকাতায় ফিরে বিবাহ করেন। তিনি দেখলেন, কলকাতার অনেকে সংখ্যাতত্ত্ব নিয়ে কৌতূহলী। তাঁর কলেজের গবেষণা নিত্যই আনাগোনা। এঁদের সাথেই Indian Statistical Institute-এর জন্ম। তাঁদের মধ্যে অর্থনীতির অধ্যাপক প্রমথ বন্দ্যোপাধ্যায়, গণিতের অধ্যাপক রঞ্জন সেন এবং স্যার আরএন প্রধান। 1932 সালের 28 এপ্রিল আইএসআই হয়। প্রথমে কলেজের পদার্থবিজ্ঞান এর কার্য নির্বাহ হতো। সেখানে একে-একে এমএম বোস, জেমস সেনগুপ্ত, যোগদান করেন। এরপর নেহরুরপীতাম্বর পন্থ আইএসআইকে অনুদান করেন। পন্থ নিজে একজন সংখ্যাবিদ ছিলেন। 1933 সালে আইয়ের পত্রিকা সংখ্যা প্রকাশিত হয়।1938 থেকে আইয়ের
পঠন-পাঠন শুরু । ১৯৬০ সালের আইএসআইকে জাতীয়ও বিশ্ববিদ্যালয় সদৃশ করা হয় এবং তারপর থেকেই নিয়মিত কেন্দ্রীয় অর্থানুকূল্য হতে থাকে।
পরিসংখ্যান তত্ত্ব অনেক ব্যাখ্যায় কাজে লেগেছিল। জুওলজিক্যাল ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর নেলসন অ্যারানডেলের ১৯২০-এর নাগপুরে জাতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসে প্রশান্তচন্দ্রের আলাপ হলে কলকাতার
Anglo-Indian-দের মানুষ মাপার এক পরিসংখ্যান-সংবলিত ব্যাখ্যাকরতে বলেন। প্রশান্তচন্দ্র বায়োমেট্রিকা পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত কাজটি সাগ্রহে গ্রহণ করেন। তাঁর প্রভাবে এই পরিসংখ্যান দিয়ে নির্ধারণ করতে সচেষ্ট হন।
ইঙ্গ-ভারতীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে বিবাহের বংশগত ধারা সমত্মানদের মধ্যে প্রবেশ করে, তার পরিমাপ করলেন। তিনি ইউরোপীয়রা প্রধানত বাংলা, পাঞ্জাব, মহিলাদেরই বিবাহ করতেন এবং প্রায়শই বিদেশিরা নিম্নবর্ণের ভারতীয় মহিলাদের সঙ্গে আবদ্ধ হতেন । এর থেকেই Multivariate Distance Measure নামক পদ্ধতির উদ্ভব হয়। অন্যথায় Mahalanobis Distance Theory নামে বহুল প্রচারিত।তিনি আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ প্রেরণায় পরীক্ষার ফলাফল থেকে আরম্ভ করে আবহাওইয়া গতি ব্যবহার করেন। তিনি আবহাওইয়া আফিসেও হিসেবেও কাজ করেন। এরপরে এই পদ্ধতি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রয়োগ করে তাঁর সম্ভাব্য ভুল-ত্রম্নটি ছকে ফেলেন। এই সময় রোনাল্ড নামে এক শাস্ত্রবিদের দেখা হয় এবং দুজনের মধ্য বন্ধুত্ব স্থাপিত হয়। বন্যা-নিয়ন্ত্রণেও তিনি এই পদ্ধতি কাজে লাগান। নমুনা-বিশেস্নষণের উপকারিতা নিয়ে তিনি বলেন এবং ১৯৪৪-এর মধ্যে বিচিত্র বিষয়ে তার ব্যবহার করেন। তাঁর মধ্যে ভোক্তাদের খরচপত্রের নমুনা, জনসাধারণের চা-সেবন , জনমত, কৃষিজমির ব্যবহার, এমনকি উদ্ভিদের অসুখ পর্যন্ত এর আসে। ফিশার লিখেছেন, প্রশান্তের Indian Statistical Institute (ISI) এই ক্ষেত্রে সমীক্ষার মাধ্যমে ভারতীয় বৈজ্ঞানিক করে তুলেছিল।তাঁর পদ্ধতির প্রয়োগ Indian Council of Agricultural Research এবং Indian Agricultural Statistics Research Institute ব্যবহার করে প্রশাসনে ধারার প্রবর্তন করেছিল।
Congratulations @tuki! You received a personal award!
Click here to view your Board
Do not miss the last post from @steemitboard:
Congratulations @tuki! You received a personal award!
You can view your badges on your Steem Board and compare to others on the Steem Ranking
Vote for @Steemitboard as a witness to get one more award and increased upvotes!