গ্রামের সবুজ প্রকৃতি উপভোগ
সুজলা সুফলা সবুজ আমাদের এই বাংলাদেশ। আমাদের বাংলাদেশের আসল প্রাকৃতিক যে সৌন্দর্য তা দেখতে পাওয়া যায় বেশিরভাগ গ্রামের দিকে। গ্রামের পরিবেশ, গাছপালা থেকে শুরু করে বাতাস এবং ফ্রেশ অক্সিজেন সবকিছুই যেন এক অসাধারণ সৌন্দর্য। ছোটবেলা থেকে মানুষ হয়েছি মোটামুটি মফস্বল শহরে। মফস্বল বলতে এমন একটি শহর যেখানে শহর এবং গ্রাম দুইটারই ছোঁয়া রয়েছে। যার জন্য গ্রাম শহর দুইটার ছোঁয়া থেকেই মানুষ হয়েছি।
পড়াশোনা এবং এখন বর্তমানে প্রফেশনের জন্য ঢাকাতে থাকা হয় সেই ২০১৫ সাল থেকেই। আর শহর এবং তার মধ্যে যদি হয় সেটা ঢাকা তাহলে তো মানে কি বলবো। একটা মানুষ যখন ছোটবেলা থেকে একটু গ্রাম্য বা মফস্বল পরিবেশে বড় হয় তখন ঢাকা শহর তার কাছে শুধুমাত্র থাকার জায়গা হিসেবেই বিবেচিত হয়। কিন্তু মন পড়ে থাকে ওই গ্রামেই। আমিও তেমনি একজন। তো এজন্য প্রতি বছর ৩ থেকে ৪ বার আমি গ্রামে বেড়াতে আসি। গ্রামের পরিবেশে ঢোকার সাথে সাথেই যেন মনের ভেতরে একটা অন্যরকম চাঞ্চল্য খেলা করে যায়। শহরের কর্মব্যস্ততা এবং ছোটন্ত জীবন থেকে যেন এক নিস্তার পাওয়া যায়। বাসে করে যখন ঢাকা থেকে গ্রামের ভেতরে ঢুকি, মনে হয় যেন ঠিক সেই মুহূর্ত থেকে ভেতরে একটা অন্যরকম অনুভূতি কাজ করতে থাকে।
ডিভাইস | স্যামসাং এস ২১ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @surzo |
লোকেশন | ফুলবাড়ি, কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ |
একটা মজার বিষয় হল, ঢাকাতে থাকলে ঘর থেকে বাইরে বের হতে ইচ্ছা করে না। আর গ্রামের বাড়িতে আসলে যেন ঠিক তার উল্টোটা, ঘরেই থাকতে ইচ্ছা করে না। মনে হয় পুরোটা সময় চঞ্চল হয়ে ঘুরে বেড়াই ছুটে বেড়ায় এখানে ওখানে। জীবনের আসল উপভোগ্য এবং আসল আনন্দ যেন এখানেই। গ্রামের মাটি বাতাস সবকিছুর সাথে যেন একটি আপন ভাব জড়িয়ে আছে। আমার বাবা-মা গ্রামের বাড়িতে থাকেন। তাদেরকে দেখার উদ্দেশ্যে এবং বেড়াতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে প্রতিবছরই প্রায় তিন থেকে চারবার গ্রামের বাড়িতে আসা হয়। বিশেষ করে শীতের সময় তো আসতেই হবে। আলহামদুলিল্লাহ খুবই ভালো লাগে।