Incredible India contest by @sduttaskitchen things I follow to rejuvenate myself.
EDITING BY CANVA |
---|
আসসালামু আলাইকুম এভরিওয়ান আশা করি সবাই ভাল আছেন আল্লাহর রহমতে আমিও ভাল আছি আজকে আপনাদের মাঝে এডমিন দিদির দেওয়া একটি কনটেস্টে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি জানিনা কেমন হবে সবাইকে মনোযোগ সহকারে করার অনুরোধ করি।
সর্বপ্রথম এডমিন দিদিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই এত সুন্দর ভাবে একটি কনটেস্ট বা প্রতিযোগিতা আমাদের মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন এখানে এত সুন্দর একটি বিষয় উল্লেখ করেছেন যে মেজাজ খারাপ থাকলে বা মন খারাপ হলে তারা কি করে এ সম্পর্কে জানতে পারবে এবং আমার মেজাজ খারাপ হলে আমি কি করি তা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
প্রতিটা মানুষেরই মেজাজ রয়েছে মেজাজ ঠিক করতে একেক জন একেক রকম পন্থা ব্যবহার করে থাকে কেউ বাহিরে ঘুরতে যায় কেউ শুয়ে থাকে কেউ সিনেমা দেখে এবং বিভিন্ন রকমের কার্যক্রম করে থাকে ইত্যাদি। আমার মেজাজ পুনরুজ্জীবিত করতে অবশ্যই আমি অনেক কিছুই করে থাকি মেজাজ বেশি খারাপ হয়ে গেলে বাহিরে গিয়ে ব্রিজের উপর বসে থাকি।
লোকেদের সাথে আড্ডা দিয়ে মনের ভিতর কষ্টগুলো ভুলে ফেলার চেষ্টা করি খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকি এবং যদি বাসা থেকে বের হওয়ার পরিস্থিতি না হয় এক্ষেত্রে কানের ভেতর হেডফোন দিয়ে গান কুরআন তেলাওয়াত শুনি এবং বিভিন্ন বিনোদনমূলক ছবি নাটক এবং ফেসবুক মিমস দেখে থাকি।
আমি সবচেয়ে বেশি বিরক্ত হই বাসার প্রাইভ টিচার যখন একটা অংক করায় এবং আমি ওই অংকটি বুঝতে বারবার ভুল করি বারবার বুঝালেও প্রতিবারই ভুল করতে থাকে এক্ষেত্রে প্রচুর বিরক্ত এবং মেজাজ খারাপ হয়ে যায় আমার এতটা পরিমাণে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।
পরবর্তীতে পড়তে বসলে একদমই মনোযোগ আসে না এবং কোন কিছু কাজ করতে গেলে বারবার ভুল হয়ে যায় ঠিকভাবে করতে পারিনা তখন মেজাজ একদম খিটখিটে হয়ে যায় এ সময়টা মেজাজ এবং রাগ কন্ট্রোল করা অনেক কঠিন হয়ে যায় আমার কাছে।
আমি মোটামুটি অন্যদের মেজাজ পরিবর্তন করতে কিছুটা পারি যেমন কোন বিষয় নিয়ে নানু আমার সাথে রাগ করলে নানুকে সব সময় আমি কোরআন হাদিসের আলোচনা করি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবন কাহিনী গুলো বলার চেষ্টা করি এবং কোন সাহাবী কি করেছে অনেক সুন্দর সুন্দর কাহিনী নানুর মাঝে গল্প শুরু করে দেই এবং বিভিন্ন দোয়া পাঠ করা নানুকে শিখিয়ে দেই এবং নানু আমার ওপর বেশি রাগ করে ফেললে তাড়াতাড়ি পড়তে বসি আমার পড়তে বসা দেখলে নানুর রাগ আপনা আপনি কমে যেতে শুরু করে।
বেশ কয়েকদিন আগেই নানার সাথে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছিল নানু একটি কাজ করতে দিয়েছিল আমি কাজটি সম্পূর্ণরূপে পূরণ করতে পারিনি দেখে নানু আমার উপর অনেক রেগে গিয়েছিলেন এবং ওই সময় নানুকে কুরআন হাদিসের বর্ণনা দেওয়া শুরু করেছিলাম নানুকে একটি দোয়ার বই নিয়ে এসে সুরা ইয়াসিন এর প্রথম পাঁচ লাইন মুখস্ত করে দিয়েছিলাম।
জানিনা প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিতে পেরেছি কিনা তবুও আমি আমার মতন করে কিছুটা চেষ্টা করেছি সঠিক উত্তর দেওয়ার ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখে থাকবেন দয়া করে।
এই প্রতিযোগিতায় আমি আমার তিনজন বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানাতে চাচ্ছি আশা করি তারা সকলেই এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে ইনশাআল্লাহ। @mdrasel442 @piya3 @mukitsalafi
Thank you so much 😊😊
প্রথমেই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আপনার মন খারাপ হলে আপনি বাহিরে বের হয়ে ঘুরতে যান। অথবা আপনি ঘরে বসে কোরআন তেলাওয়াত মুভি এবং বিনোদনমূলক নাটক দেখতে থাকেন।
আপনার কাছে সবচাইতে বেশি খারাপ লাগে, যখন আপনি একটা অংক বারবার করেও ভুল করেন। আসলে ভুল মানুষ করে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু ভুল করার পরে যখন আমরা বারবার সেই জিনিসটা পড়ি, তখন কিন্তু সেটা পরিশুদ্ধভাবে সুন্দরভাবেই হয়ে থাকে।
আপনার নানুর রাগ ভাঙ্গানোর গল্প আমাদের সাথে উপস্থাপন করেছেন! আপনি বলেছেন আপনার নানু যখন আপনার উপর রাগ করে তখন আপনি কুরআন থেকে কিছু হাদিস নিয়ে, আপনার নানুর সাথে আলোচনা করেন! এবং নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর জীবনী গল্প নিয়ে আপনি আলোচনা করেন! এতে করে আপনার নানুর মন ভালো হয়ে যায়! এবং আপনার উপর রাগ করা থেকে উনি বিরত থাকে! অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, প্রতিযোগিতা প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর চমৎকারভাবে দেয়ার জন্য! আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর ভাবে আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর রিপ্লাই দেয়ার জন্য ভালো থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই জন্য যে,আপনি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আপনার অনুভূতি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করেছেন, এবং আমার আপনার বিরক্তির কারণ গুলো জানতে পারলাম আবার আপনি অন্যের মন কিভাবে ভালো করেন তা ও জানতে পেলাম ।খুব ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি গুলো জানতে পেরে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অংক না বুঝতে পারলে বিরক্ত লাগারই কথা। তবে আপনি আপনার নানুর রাগ যেভাবে ভাংগান সেটা আসলেই প্রশ্নংসনীয়।আপনি চমৎকার ভাবে আপনার লেখাটা শেষ করেছেন এজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
আজকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম ধন্যবাদ জানাই।।। আজকের এই প্রতিযোগিতায় যে বিষয়টি ছিল তার আলোকে আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার জীবনের কিছু অভ্যাস আমাদের মাঝে তোলে ধরেছেন।।।
খুবই ভালো লেগেছে আপনার আজকের প্রতিযোগিতার পোস্টটি পড়ে।।।