কালীপুজোতে ঠাকুর দেখা

in Incredible India2 months ago

নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি সকলে ভালো আছেন। আমিও ভাল আছি। কিন্তু আজ সকাল থেকে আমার শরীরটা একটু খারাপ লাগছে। ঠান্ডা গরমের সময়। তাই ঠান্ডা গরম লেগে গেছে। সর্দি কাশি এখন সবারই। আমার মা ও কিছুদিন ধরে সর্দি কাশি নিয়ে ভুগছে। যাইহোক সবাই একটু সাবধানে থাকবেন। আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে চলেছি কালীপুজোয় ঠাকুর দেখার মুহূর্তগুলো।

20241101_203222.jpg

আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করছিলাম দীপাবলির পরের দিন আমি ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলাম। আর সাথেই ঈশান কে নিয়েছিলাম। আর আমার বন্ধুরা ছিল। বাড়িতে আতশবাজি নিয়ে অনেক মজা করলাম তারপরে আমাদের পুতুল পট্টি অব্দি গেলাম। সেখানে একটা বড় করে পূজো হয়।। আগুনেশ্বরী মায়ের পূজো বেশ জাগ্রত। প্রত্যেক বছর এই পুজোটা সবাই মিলে আশেপাশের মানুষ মিলে করার চেষ্টা করে।

20241101_200455.jpg

যেহেতু আমাদের শোরুম থেকে এই পুজো টা অনেকটাই কাছে তাই আমার বাবা ও এই পূজার সাথে যুক্ত থাকে। আমাদের বাড়ির পাশে যে বারোয়ারি আছে, তাতেও কালীপুজো হয় কিন্তু ছোট্ট করে। পুতুল পট্টির ওখানে ওই পুজো দেখার পর আমি আর ঈশান টোটো করে নিলাম। তারপর চলে গেলাম চ্যালেঞ্জের মোড়। একটা বড় কালীপুজো হয় এখানে। আর যেহেতু বন্ধুরা ওখানেই আসবে ঠিক হয়েছিল, তাই ওখানেই আগে আমাকে যেতে হলো।

20241101_200242.jpg

20241101_195717.jpg

তারপর ওখান থেকে আমরা প্রথমেই রওনা দিয়েছিলাম বউবাজারের দিকে। বউবাজারের দিকে যাওয়ার সময় রাস্তায় কত কত ঠাকুর দেখলাম। এর সাথেই বাঘাডাঙ্গার দিকে একটা সুন্দর ঠাকুর করেছিল। দূরে দূরে প্যান্ডেলগুলো সত্যিই খুব সুন্দর করেছিল।

20241101_200900.jpg

পৌঁছে গেলাম বউবাজার মোংলা পাড়ার মাঠে, গিয়ে দেখি প্রচন্ড ভিড়। সারা মাঠ জুড়ে মেলা বসেছে। এর সাথেই মেলার একদিকে স্টেজ করে ফাংশন হচ্ছে। আর প্যান্ডেলটাও দুর্দান্ত করেছে। ধীরে ধীরে ভিড় ঠেলে ঠেলে ভেতরে ঢুকলাম। আমার যদিও এই ভিড়ভাট্টা ভালো লাগেনা। কিন্তু এই মাঠের পুজোটা দেখার ইচ্ছা ছিল। তারপর ঠাকুরটা অনেক সুন্দর করেছিল।

20241101_195809.jpg

ওখান থেকে বেরিয়ে এসে ওর পেছনেই আর একটা বারোয়ারির ঠাকুর দেখলাম। ওই ঠাকুরটাকেও খুব সুন্দর করে সাজিয়েছিল। প্যান্ডেলের চারিদিকে ফুল দিয়ে এত সুন্দর করে সাজিয়েছিল যে দেখতে খুবই ভালো লাগছিল। ওখান থেকে বেরিয়ে আমরা স্টেশনের দিকে চলে গেলাম। স্টেশনের দিকে মানে একদম স্টেশন থেকে বেরিয়ে এই একটা ক্লাব আছে। ক্লাবের নাম সাথী।

20241101_193555.jpg

20241101_201805.jpg

ওই ক্লাবে ও প্রত্যেকবার খুব ভালো ভালো প্যান্ডেল করে। ক্লাবে ঢোকার আগেই রাস্তায় এত ভিড়। গাড়ি রাখার জায়গা। প্রায় ৩০০ মিটার দূর থেকে লাইন শুরু হয়েছে মন্ডপে ঢোকার জন্য। এত এত লাইন খেলে আমার আর ক্লাবের ঠাকুর দেখতে ইচ্ছা করলো না। লাইনে দাঁড়ানো লোকগুলোকে দেখে আমার মনে হচ্ছিল, এরা সত্যিই সুস্থ মানুষ। আমি হয়তো অসুস্থ। এতটা সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু একটুও বিরক্তিবোধ নেই। আমার তো লাইন দেখলেই মাথা খারাপ হয়ে যায়। ওই লাইনে আমি এক মিনিটও দাঁড়িয়ে থাকতে পারবো না চুপ করে।

20241101_195833.jpg

20241101_200712.jpg

পাশ দিয়ে যাওয়ার জায়গা ছিল। তাই সেই বরাবর হেঁটে গিয়ে শুধু বারোয়ারির প্যান্ডেল টুকু দেখে নিলাম। এতটা ভিড় ছিল যে ওখানে বেশি দাঁড়ানো যাচ্ছিল না। তারপর ওখান থেকে বেরিয়ে চলে আসলাম। আসলে রাস্তায় যাওয়া আসার পথেই প্রচুর ঠাকুর দেখা হয়ে গিয়েছিল। তাই ঠাকুর কটা দেখলাম ,সেটা আর গুনতে যাইনি।

Sort:  
Loading...
 2 months ago 

জেনে ভালো লাগলো আপনাদের শোরুমের কাছেই এই পূজা মন্ডপ এবং আপনার বাবা এর পূজা আয়োজন এর সাথে জড়িত হয়েছেন। উৎসবের আনন্দময় মুহূর্তগুলো আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

Loading...
 2 months ago 

প্ৰত্যেক ঠাকুর খুবই সুন্দর ছিলো। আপনাদের শোরুম থেকে কাছাকাছি পূজাটি বাবা মার সাথে দেখেছিলেন। এছাড়াও কলকাতার যেগুলো পূজা দেখেছেন এবং শেয়ার করেছেন সত্যিই অপূর্ব। সুন্দর একটা দিন কাটিয়াছিলেন আনন্দঘন মুহূর্তের সাথে। দিদি।

 2 months ago 

বাহ একা একা বেশ অনেক ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলে। তুমি যে ঠাকুর গুলো দেখেছো সেই ঠাকুর গুলো আমিও দেখতে বেরিয়েছিলাম। এ বছরের প্রথম বার আমি এত ঠাকুর দেখেছি। তবে আমরা যখন বেরিয়েছিলাম তখন রাস্তা প্রায় ফাঁকাই ছিল তাই আমাদের অসুবিধা হয়নি। সকাল সকাল বেরোলে সত্যিই রাস্তায় এত জ্যাম ঠাকুর দেখার উপায় থাকে না। ওখানকার প্যান্ডেল গুলো সত্যিই খুব সুন্দর হয়েছিল। তবে কালীপুজোর দিন রাতের বেলায় প্রচন্ড গরম পড়ছিল। কিন্তু পরের দিনকে আবার ঠান্ডা ঠান্ডা লাগছিল। এই করে হয়তো তোমার সর্দি কাশি হয়েছে। সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।