আতশবাজি
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। গতকাল আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম দীপাবলীর দিনকে আমরা কিভাবে মুহূর্তগুলো উদযাপন করেছিলাম। আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করে নেব দীপাবলীর পরের দিনের গল্প।
পরের দিন সকালবেলাতেই উঠে জানতে পারি সেদিনকে আমাদের একজনের বাড়িতে নিমন্ত্রণ। দুপুরে একজনের বাড়িতে জন্মদিনের নিমন্ত্রণ। যেহেতু আমার অমাবস্যা পেরিয়ে গিয়েছিল, তাই জন্য আমিষ খাওয়া নিয়ে কোন চাপ ছিল না। এ কারণে দুপুরবেলায় চলে গিয়েছিলাম নিমন্ত্রণ খেতে সবাই মিলে। সেখান থেকে তাড়াতাড়ি ফিরে এসেই একটা সুন্দর করে ঘুম দিয়ে নিলাম। আসলে কোথাও যেতে হলে তার আগে একটু ভালোভাবে ঘুমিয়ে নিলেই ফুল এনার্জি পেয়ে যাই। এটা যদিও সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
যেহেতু আগের দিন সেরকম ভাবে ঠাকুর দেখতে যাওয়া হয়নি। তাই পরের দিন তো ঠাকুর দেখতে যেতেই হবে। সকাল থেকেই সব ঠিকঠাক ছিল যে আমরা বন্ধুরা মিলে ঠাকুর দেখতে বেরোবো। সেইমতো বিকেল বেলায় আমি রেডি হয়ে গেলাম। ঈশানকেও সাথে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। যদিও মা বারবার বারণ করছিল। মা এ কারণেই বারণ করছিল কারণ আমার বন্ধুরা থাকবে। বড়দের মধ্যে ও ছোট কি করবে। এজন্যই ওকে নিয়ে যেতে নিষেধ করছিল।
কিন্তু ঈশানেরও জেদ। সাথে আমি যদি না নিয়ে যাই ,তাহলে ওকে ঠাকুর দেখতে নিয়ে যাওয়ার মানুষ নেই। আমার বাবা বেশি ভিড় পছন্দ করেনা। এখন বয়স বাড়ছে বলে কিছুতেই ভিড় সহ্য করতে পারে না। আমি যদি ঈশানকে না নিয়ে যাই ,তাহলে বাবা হয়তো ফাঁকা ফাঁকা আর আশেপাশে কোন একটা ঠাকুর দেখে নিয়ে চলে আসবে। এ কারণেই আমি ওকে নিয়ে বেরোবো ঠিক করলাম।
আমাদের বেরোনোর কথা ছিল সাড়ে সাতটার সময়। তাই তার আগে মুহূর্তটা আমরা একটু অন্যরকম ভাবে কাটিয়েছি। বাবার সাথে আর ঈশানের সাথে আমাদের চার তলার ছাদে অনেক বাজি পটকা ফাটিয়ে আনন্দ করেছি।
ছাদ থেকে চারিদিকটা কি সুন্দর লাগছিল। পুরো অন্ধকারে সবার বাড়িতে লাইট জ্বলছে, দেখতেও ভালো লাগছিল। রাত যেন এক অপরূপ সৌন্দর্য সেজে উঠেছিল। সেই সৌন্দর্য হয়তো ক্যামেরায় আমি ভালোভাবে ক্যাপচার করতে পারিনি। তবে চার তলার ছাদ থেকে চারিদিকটা অপরূপ লাগছিল। সবার বাড়িতে আলোয় আলো হয়েছিল।
আমার মাও সাথে ছিল। কিন্তু বাবা রং মশাল ধরিয়ে এত হুটোপাটা করছিল যে মায়ের গায়ের কাছে রং মশালের একটু ছিটে লেগেছিল। তাতেই মা রাগ করে নিচে নেমে এসেছিল। যাইহোক মাকে আর কিছুতেই ওপরে ওঠানো গেল না। আমি বাবা আর ভাই মিলে আনন্দ করতে লাগলাম। তারপর মা আসছেনা দেখে। আমাদের উঠোনে কিছুক্ষণ চর্কি ,তুবড়ি ফাটানো হলো।
আমি নিজেও বেশি বাজিপটকা পছন্দ করি না।। তাই তারা কাঠি নিয়েই কিছুক্ষণ আনন্দ করলাম। আর এ সমস্ত করার পর ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়লাম। আমি আর ঈশান টোটো করে পৌঁছে গেলাম এক জায়গায়। সেই জায়গায় আমার বন্ধুরা মিলে সবাই মিট করলাম। সেখান থেকে ঠাকুর দেখা শুরু হলো।
সেই সমস্ত ছবি আমি আপনাদের সকলের সাথে পরের পোস্টটা শেয়ার করব। আজকে যদি শেয়ার করতে যাই পোস্টটা অনেক বড় হয়ে যাবে।
You spent excellent and peaceful day with your family members of happy diwali festival. Thanks for sharing friend
তোর পোস্টটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো।। কালীপুজো মানেই তো ফেস্টিভেল অফ লাইট। তাই এই সময় সমস্ত বাড়িতে আমরা আলোতে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করি। আর ছাদ থেকে দেখলে সত্যিই চারিদিকটা অসাধারণ লাগে। আমাদের বাড়ির বাচ্চাটি তো খুবই আনন্দ পেয়েছিল যখন বাড়িতে লাইট লাগানো হয়েছিল। আমাদের পাশের বাড়িতে সবার প্রথমে লাইট লাগিয়েছিল। সেটা দেখে তার সেকি এক্সাইটমেন্ট। আমাকে, দাদাকে, বৌদিকে.... সবাইকে ডেকে ডেকে সেখানে নিয়ে গিয়ে দেখাচ্ছিল...."দেখো কি সুন্দর লাইট। আমাদের বাড়িতেও লাগাবার।"
শেষমেশ সোনার আবদারে কালীপুজো আসার অনেক আগেই বাড়িতে লাইট লাগানো হয়।
পুজোতে তোরা অনেক বাজি ফাটিয়েছিস। তবে আমি বাজিতে ভীষণ ভয় পাই তাই কোন বছরই বিশেষ বাজি ফাটানো হয় না। যদিও বাড়িতে অনেক বাজে কিনে আনা হয়। দাদা বৌদি, সবাই ফাটায়। এই বছর তার সাথে যুক্ত হয়েছে আমার ভাইপো। তাকে ছোট ছোট এক ধরনের বোম কিনে দেওয়া হয়েছে যেগুলো মেঝের উপর ফেললে ফাটে। সারাদিন ধরে উনি ওই বোমগুলো ফাটিয়েছেন। ওর মজা দেখেই আমি বাজি ফাটানোর মজা পেয়ে গেছি।
আর তোর সঙ্গে ঈশানকে নিয়ে গিয়ে ভালোই করেছিস। ছোট মানুষ, বাড়িতে থেকেই বা কি করত। তোর সাথে বেরিয়ে তাও অনেক ঠাকুর দেখে এসেছে। আর কাকুর মত আমারও ভিড়ে খুব সমস্যা হয়। তাও এই বয়সে হাল ছাড়লে কি চলে। তাই নিজেকে বিভিন্ন পরিস্থিতি সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য ভিড়ের মধ্যেও বেরিয়ে পড়ি।
তোর ব্লগটা খুব ভালো লাগলো। পরবর্তী ব্লগের জন্য অপেক্ষা করে থাকব।