Better life with steem || The Diary Game || 11 November 2024 ||
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম |
---|
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। |
---|
আবারো একটি নতুন দিনের কাজের ব্যস্ততা নিয়ে সময় অতিবাহিত করার পর আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে আসলাম।
সকাল
হালকা হালকা ঠান্ডা থাকায় বিছানা থেকে উঠতে মন চায় না, সারাদিন সুস্থ ভাবে থাকার জন্য সাহস করে উঠে গেলাম, ফ্রেশ হয়ে প্রতিদিনের মতোই হাটা শুরু করে দিলাম। প্রতিদিন এক ঘন্টা সকালবেলা হাটাহাটি করি, আজকেও এক ঘন্টা হাটাহাটি করে বাড়িতে চলে আসি, প্রথমে বিছানা থেকে উঠতেই মন চাইছিল না, হাঁটার সময় তার চেয়েও অনেক ভালো লাগছিল, কথায় আছে বৃহত্তম স্বার্থে ক্ষুদ্রতম জিনিস ত্যাগ করতে হয়।
সকালে সুন্দর সূর্যের আলো |
---|
সাহস করে যদি বিছানা থেকে না উঠতাম তাহলে এত সুন্দর সকাল এত সুন্দর আবহাওয়া খুব মিস করতাম, বাড়িতে এসে হালকা কিছুক্ষণ ব্যায়াম করে , সকালের কিছু হালকা খাবার খাই। এরপরই পোল্ট্রি ফার্মে চলে আসি, আব্বু আম্মুকে সাহায্য করার জন্য, আর আমার কিছু গাছ রোপন করছিলাম ওই গুলোতে পানি দেওয়ার জন্য। এসে দেখি খাদ্য দেওয়া আর পানি দিয়ে ফ্লোর পরিষ্কার করা মোটামুটি শেষ পর্যায়ে এখন মুরগিকে পানি দিবে, তাই তাদেরকে বলি আমি মুরগিকে পানি দেই তোমরা বাড়িতে চলে যাও।
তারা বাড়িতে চলে আসে আমি পানি দেওয়া শেষ করে মোটর বন্ধ করে বাড়ি তে চলে আসি, ফ্রেশ হয়ে, প্রতিদিনের মতোই মোবাইল ব্যবহার চালাই, সকালের খাবার রেডি হয়ে গেলে আম্মু প্রতিদিনের মতো আমাকে ডাক দেয় খাবার খাওয়ার জন্য, খাওয়া-দাওয়ার মাঝ খানেই আম্মু বলে ওঠে আজকে আমাদের জলপাই গাছ থেকে জলপাই পারতে হবে। আচার বানাবো, আমি গাছে উঠতে পারি না, গাছে ওঠা আমার অনেক ইচ্ছে হয় কিন্তু আম্মু অনেক বকাঝকা করে গাছে ওঠার নিয়ে তাই আর কখনো ওঠা হয় নাই।
একজন কর্মচারীকে ভাই কে বলে আসতে হবে, জলপাই গুলো পেড়ে দেওয়ার জন্য, আম্মুর কথা মত কর্মচারী ভাইদের বাড়ি এসে বলে যাই কিছু জলপাই ফেলে দেওয়ার জন্য আচার বানাবে, ওরা এখনো সকালের খাবার খাই নাই খাওয়া দাওয়া করে,আসবে ওদেরকে বলেই আমি আম্মুকে ওদের উত্তরটা বলে দেই আম্মু বলে ঠিক আছে।
মধ্য দুপুর
আমি প্রতিদিনের মতোই কাকার বাড়িতে চলে আসি কিছুক্ষণ গল্প করি তারপর আমার একজন খেলার সাথী আছে তার সাথে খেলা করি, বেশ কিছুক্ষণ খেলাধুলা করার পরে বাড়ি এসে দেখি জলপাই পাড়া অলরেডি শেষ, নিচে জলপাই কুড়ায় কাছে। আমি বসে বসে দেখি, কুড়ানো শেষ, আমাদের বড় এক বোল, আর তাতে কি খাওয়ার জন্য মাঝারি এক বোল জলপাই দেয়, এটা দেখে।
আমাদের জন্য জলপাই😋 |
---|
কর্মচারী ভাইদের জলপাই😋 |
---|
পোল্ট্রি ফার্মের চাবি নিয়ে ডিম তোলার জন্য চলে আসি, এই কাজটা মূলত আমি একাই করি কাউকে করতে দেয় না কেননা আমার এটা করতে খুব ভাল লাগে, মাঝে সাজে আম্মু চলে আসে আমাকে সাহায্য করার জন্য, মনে করে আমি এতগুলো ডিম একা একা তুলতে পারবো না খুবই কষ্ট হয়ে যাবে, কি আর করব মায়ের মন বলে কথা।
স্প্রে করা ডিমের কেস গুলো |
---|
আজকের দিন তুলতে এসে গত রাতে ডিম নিয়েছিল তারপর আর ডিমের কেস গুলো ভিতরে নেওয়া হয় নাই, প্রথমে ডিমের কেস গুলো স্প্রে করে ভিতরে নিয়ে যায়, এর পরে ডিম তুলতে শুরু করি ডিম তুলা শেষ পর্যায়ে আম্মু আসে ডিম তুলতে, যতটুকু বাকি ছিল ওইটুকু আম্মু তুলে আমি বসে একটু রেস্ট নেই।
দুপুর +বিকাল
ডিম তোলা শেষ করে বাড়িতে চলে আসি গোসল করে যোহরের নামাজ পড়তে মসজিদে চলে আসি নামাজ শেষ করে বাড়িতে এসে হালকা কিছু খাবার খেয়ে ছোট একটি ঘুম দেই প্রতিদিন মতই আজকে আম্মু আর ডাকে নাই তাই আসরের আযানের শব্দে ঘুম থেকে উঠি, উড়তে একটু লেট হয়ে যায় তাই আসরের নামাজ পড়তে পারি নাই, তাই দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে, বিকেলে হাঁটার জন্য দাদিদের বাড়িতে চলে আসি ।ফুপি হাটতে যাবে তার সাথে আরো দুইজন যাবে। এসে দেখি দুই ফুপি আমি চাচাতো ভাই চাচাতো বোন সবাই হারতে বের হই, হাতের তো অনেক গল্প করি হাসির ঠাট্টা করি।
বিকালে হাঁটার টিম |
---|
আমাদের মিশন ছিল আমাদের আরেক ফুপির হাজবেন্ডের দোকানে যাওয়া ওখানে সবাই দেখা করব। মাগরিবের আজানের ১৩ মিনিট আগে দোকানে পৌঁছায়, কিছুক্ষণ বসে থাকি তারপর কে কোনটা খাবে সবাই হাতে নিয়ে রাখে আমি, একটা খাবার জিনিস আমার সাথে সবাই একই খাবার জিনিস নেই।
আঙ্কেলের দোকান থেকে উপহার পাওয়া😋 |
---|
সন্ধা+ রাত্রি
নেওয়া শেষ করতে মাগরিবের আজান দিয়ে দেয় তাই আঙ্কেল মসজিদে যাবে তাড়াহুড়া করে আমরাও তাড়াহুড়া করে দোকান থেকে বের হয়ে পড়ি, তাও রাস্তায় যাওয়ার পথে বলে চা খাওয়ার কথা বাড়িতে গিয়ে, বাড়িতে যাওয়ার একদমই ইচ্ছা নাই তাই আমরা আর বাড়িতে যাই নাই।
বিকালে হাঁটার পর সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফেরা |
---|
তাই হাঁটতে হাটতে আমরা সন্ধ্যার দিকে বাড়িতে পৌঁছায়, আজকে আবার আমার বাসটেন্ড আসার কথা দুইটা মেডিসিন শেষ হয়ে গিয়েছিল সেটা আনার জন্য, রাস্তাতে সবাই বলে আজকের লুডু খেলা হবে অনেকক্ষণ, আমার খেলার কোন টাইম নাই আমার বাসস্ট্যান্ড যেতে হবে ওষুধ কিনতে তাই সাইকেল দিয়ে বাস স্ট্যান্ড যাও, আমি প্রথমে রাজি হয় নাই ।
মেডিসিন নেওয়ার দোকান |
---|
তারপর আমি বলি একা একা বন্ধ করার মধ্যে কেমনে বাস স্ট্যান্ড যাব একটি দুর্ঘটনা ঘটে যাবে, চাচাতো ভাই সাইকেল চালিয়ে আমরা দুজনে বাস স্ট্যান্ড আসি ওষুধ ক্রয় করে, বাড়িতে চলে আসি, ওষুধ বাড়িতে রেখে কাকিদের বাড়িতে চলে আসি লুডু খেলার জন্য বেশ কিছুক্ষণ লুডু খেলি তিন ঘন্টার উপরে লুডু খেলা হয়।
লুডু খেলা শেষ করে বাড়িতে এসে আম্মু একটু বকাঝকা করে কোথায় থেকে আসলাম এত রাত্রে রাত তখন দশটার কাছাকাছি, আব্বু চলে এসেছে তখন আর বকাঝকা করে নাই আব্বু শুনলে আমাকে আরো বকাঝকা করবে তাই আম্মু চুপ হয়ে যায়। রাত্রে খাওয়া দাওয়া করে রাত সাড়ে দশটার বেশি বাজে তাই আর পোস্ট লেখা হলো না প্রচন্ড ঘুম চোখে জমা হয়ে আছে ।
তাই নতুন দিনের সকালের আশায় ঘুমিয়ে পড়ি, আজকে এখানেই লেখা সমাপ্ত করছি সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সাবধানে থাকবেন।
আপনাকে প্রথমেই জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ সারা দিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম আপনাদের একটা পোল্টি মুরগির খামার আছে। আপনি সেই পোল্ট্রি মুরগিদের পানি দিয়েছেন,,, মা বাবাকে সাহায্য করেছেন।
এবং সেই সাথে এটাও জানতে পারলাম আপনি আবার আপনাদের গাছ থেকে কর্মচারী দ্বারা জলপাই পেরেছেন। আপনার মত সকালবেলা বিছানা থেকে আমার উঠতে ইচ্ছা করে না কিন্তু বিছানা থেকে উঠার পর বারান্দা থেকে সকালবেলাটা উপভোগ করতে আমার খুব ভালো লাগে।
বাইরে গিয়ে হাটার সুযোগ নেই এজন্যই আমি সকালবেলাটা উপভোগ করি আমার বারান্দার বসে থেকে।
আমার সকাল সকাল উঠতে খুবই ভালো লাগে তার চেয়ে বেশি ভালো লাগে সকালের আবহাওয়া টা, ওইটা কে হাঁটার মাধ্যমে উপভোগ করি ।
ঋতু পরিবর্তনের কারণে আমাদের বাড়িতে প্রায়ই সকলের ই ঠান্ডা মধ্যে যাচ্ছে সেজন্য আমাদের জলপাই গাছ থেকে কিছু টক পেড়ে আচার তৈরি করে সেটা খাওয়ার জন্য আমাদের কর্মচারীর সাহায্য নেওয়া।
আমি যখন ঢাকা শহরে থাকতাম প্রথম বারান্দা থেকেই সকালটা উপভোগ করতাম কিছুদিন যাওয়ার পর আমার বাসার পাশেই হাতিরঝিল ছিল সেই কারণ এখানেই গিয়ে হাটাহাটি করতাম সকালবেলা, অনেক লোক আসতো অনেক ভালো লাগতো।
ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি কমেন্ট আমাকে উপহার দেওয়ার জন্য।
দিনের সব থেকে সুন্দর মুহুর্ত হয়ত সকাল বেলা, এই সময় টা প্রকৃতি শান্ত থাকে। প্রতিদিন সকালে হাটাহাটি করলে অনেক বেশি উপকার আমাদের জন্য। তবে আমি ভোরে ঘুম থেকে উঠতে পারি না এজন্য হাঁটাহাটিও করা হয় না সচারাচর।
শুধুমাত্র গাছ রোপন করলেই হবে না বরং সেটার সঠিক পরিচর্যা করতে হবে না হলে সঠিক বিকাশ ঘটবে না। সকালের সুন্দর মুহুর্তটা অসাধারণ লাগছে আপনার ফটোগ্রাফিতে।
মুরগির ফার্মে যেকোনো জিনিস প্রবেশ করানোর আগে তাতে স্প্রে করা হয় যেন সেটাতে কোনো প্রকার ক্ষতিকর অনুজীব না থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য।
দিনের সুন্দর সময় সকালবেলা হয় আমার কাছে তখন ঠান্ডা ঠান্ডা বাতাস নিস্তব্ধ পরিবেশ। পাখিদের আনাগোনা থাকে। দেখতে অনেক ভালো লাগে। সূর্যটা যখন লাল টক টক দেখাই তখন আরো অনেক সুন্দর লাগে।
আমার ছোটবেলা থেকেই সকালে উঠার অভ্যাস আছে তাই আমি সকালের সময়টা কখনোই মিস করি না।
সকাল বেলার হাঁটাহাঁটি সারাদিনের আমার অনেক ভালো যায়। পোল্ট্রি ফার্মে আমরা যেকোনো জিনিস ঢুকানোর আগে আগে থেকেই স্প্রে করে নেই। জীবাণুমুক্ত করলে মুরগির সুস্থ থাকবে,
ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য
আপনার একটি দিনের কার্যক্রম অনেক সুন্দর ভাবে সাজিয়ে শেয়ার করার জন্য প্রথমে ধন্যবাদ জানাই আপনাকে। জলপাই খেতে আমার মনে হয় সবাই কম বেশি পছন্দ করে কিন্তু আমাদের বাসায় জলপাই গাছ নাই বাজার থেকে মাঝেমধ্যে জলপাই নিয়ে খেতাম এটা খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগতো এবং আমার মেজো খালার বাসায় একটা জলপাই গাছ ছিলো যখন যেতাম তখন সেখান থেকে জলপাই পেড়ে বাড়ি নিয়ে আসতাম কারণ এই ফলটি খেতে আমার কাছে আসলে ভালো লাগতো।
আমাদের বাড়িতে প্রায় ফলের গাছ আছে। আমি কাঁচা জলপাই একদমই খেতে পারি না দাঁত টক হয়ে যায় এরপর কিছুই খাবার খেতে পারি না।
আচার তৈরি করলে সেটা অল্প পরিমাণ খাই, জলপাই পাড়ার উদ্দেশ্য আমাদের বাড়িতে ঋতু পরিবর্তনের কারণে সকল লেডি ঠান্ডা টক খেলে ঠান্ডা কমে যাবে সে কারণেই জলপাই পেরে আচার তৈরি করা।
ধন্যবাদ ভাই আমার পোষ্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য
ভাই সকালে প্রচুর পরিমাণ ব্যায়াম করতে ইচ্ছা করে তবে সেই সময় হয়ে ওঠেনা প্রতিদিন সকালে ব্যায়াম করলে আমাদের শরীর অনেক সুস্থ থাকে। আপনার দিনের কার্যক্রম ব্যায়াম করার বিষয়টা পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যকর্ম আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন।
আমরা সকলেই সুস্থ থাকতে চাই কিন্তু সুস্থ থাকার জন্য কিছু করতে হবে সেটা কাছে আমরা একদমই করতে যাই না বা সুস্থ থাকার জন্য আমাদের সকাল বেলা উঠে অল্প কিছুক্ষণ হাঁটাহাটি তারপর ব্যায়াম করলে আমাদের শরীরটা আরো সুস্থ মজবুত হয়ে যাবে কিন্তু আমরা কেউ সেটা বুঝেও অবুঝের মতন হয়ে থাকি।
ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি কমেন্ট আমাকে উপহার দেওয়ার জন্য
এখন আস্তে আস্তে ঠান্ডা প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে তাই সকালে উঠতে আমার অফিস অলসতা লাগে।। প্রতিদিনের মতোই হাঁটাহাঁটি করেছেন এছাড়াও বাসার কিছু কাজও করেছেন।। সত্যি কথা বলতে জলপাইয়ের আচার খেতে ভালই লাগে।। বিকেলে আপনার ভাই বোনেরা একত্রিত হয়েছিলেন এছাড়াও ওষুধ ক্রয় করতে গিয়েছিলেন।। সব মিলিয়ে সুন্দর একটি দিন উপভোগ করেছেন।।
সকালের আবহাওয়া আস্তে আস্তে ঠান্ডার বেড়ে যাচ্ছে সকাল বেলা উঠতে এখন অলসতা লাগে। কিন্তু অলসতা আমাদের অসুস্থর দিকে নিয়ে যাবে এই কথা ভেবে তাড়াতাড়ি উঠি।
ঋতু পরিবর্তনের কারণে ঠান্ডার থেকে বাঁচার জন্য জলপাই আচার তৈরি করা। বিকেলবেলা একা একা হাটি তাই আমার সাথে সঙ্গী হিসেবে তারা যুক্ত হয়েছে।
ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য