আমার পার্টনারের হাতের এক অসাধারণ নাস্তার রেসিপি ,,,,।
Photo edited by canva
প্রথমে বলে নিচ্ছি আজকের এই রেসিপি টা সম্পূর্ণ এই আমার হাজব্যান্ড তৈরি করেছে,, আমি একটু কাছে ছিলাম আর কি, গতকালকে বিকাল বেলা মনটা খুব খারাপ লাগছিলো,,,। এরপর সে বলল চলো আমার সাথে রান্নার রুমে, এবং বললো আমাকে সে একটা নাস্তা তৈরি করে খাওয়াবে,,,।তবে এই নাস্তাটা কে ঘরোয়া উপকরণে পিজ্জাও বলা যেতে পারে,,যাইহোক এমন সুযোগ কি আর হাতছাড়া করা যায় তাই তার কাছে বসে বসে আমি আপনাদের জন্য এই পোস্টটা সাজিয়েছি,,,।
Photo edited by canva
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
আটা | ১ কাপ |
ডিম | ১ টা |
গাজর | ১ টা |
টমেটো | ১ টা |
পেঁয়াজ | ১টা |
পেঁয়াজের কলি | ১টা |
কাঁচা মরিচ | ৫ টা |
তেল | ২ চামচ |
মজেরলা চিজ | ৩ চামচ |
বেকিং পাউডার | হাফ চামচ |
চিনি | হাফ চামচ |
লবণ | পরিমাণ মতন |
এবার শুরু করছি প্রস্তুত প্রণালী।
প্রথমেই আমার হাজব্যান্ড সবগুলো সবজি পরিষ্কার করে ধুয়ে, খুব সুন্দর ভাবে কেটে নিয়েছে, এবং প্রত্যেক টা সবজি কে অর্ধেক পরিমাণে কুচি কুচি করে কেটেছে,বাকি অর্ধেক টা একটু বড় করে কেটেছে যেমন টা ছবিতে দেখতে পারছেন,।
Photo edited by canva
এরপর একটা বড় পাত্র নিতে হবে, তাতে এক কাপ পরিমাণ আটা দিয়ে,কুচি করে কাটা সকল সবজি গুলো দিয়ে দিতে হবে, সাথে ডিমটা দিতে হবে এবার হাতের সাহায্যে মাখিয়ে নিতে হবে,,।
Photo edited by canva
মাখিয়ে নেওয়া শেষে,এর ভিতর দিতে হবে হাফ চামচ পরিমাণে বেকিং পাউডার,হাফ চামচ চিনি, তেল এক চামচ,মজেরলা চিজ দুই চামচ সবশেষে, পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে আলতো হাতে মাখাতে হবে।
Photo edited by canva
একটা ফ্রাইপান নিয়ে,বাকি এক চামচ তেল দিতে হবে,এবং এরপরে ফ্রাই প্যানের ভিতরে মাখিয়ে রাখা ব্যাটার টা কে ঢেলে দিতে হবে,ও উপর দিয়ে একটু বড় করে কেটে রাখা বাকি সবজি গুলো ঠিক এইভাবে সাজিয়ে নিতে হবে,,।
Photo edited by canva
সাজানো শেষ হয়ে গেলে, উপর দিয়ে আবারো মজেরলা চিজ কুচি দিয়ে দিতে হবে,,।এবং সবশেষে গ্যাস জ্বালিয়ে অল্প আচে ফ্রাই প্যানটা কে বসিয়ে ঢাকা দিয়ে,১০ থেকে ১৫ মিনিট রান্না করলে তৈরি হয়ে যাবে এই লোভনীয় স্বাদের নাস্তা টা,,,।
১০ মিনিট পরে আবার ফিরে এলাম, নাস্তাটা একদম রেডি গ্যাস থেকে নামিয়ে, হালকা টমেটো সস দিয়ে,পরিবেশন করেছে,, কি বলবো এত পরিমাণে টেস্ট হয়েছিলো খাবার টা খেতে একদম 👌👌 হাজবেন্ডের রান্নার প্রশংসার লেভেল খানিক টা আজ বাড়িয়ে দিয়েছি,,,,।
কারণ পরবর্তীতে তো আবার এরকম খেতে হবে নাকি,, তাছাড়া আমি নিজেকে দিয়ে বুঝেছি কেউ যদি আমার রান্নার প্রশংসায় অনেক বেশি করে, তাহলে অনেক বেশি আগ্রহ জাগে রান্নার প্রতি। যাই হোক এই টেস্ট নিতে হলেো কিন্তু আপনাদের বাসায় তৈরি করতে হবে,, তাছাড়া এখন শীতের সময় অনেক ঠান্ডা পড়ে আর এই ঠান্ডার সময় যদি এরকম ধোঁয়া ওঠা গরম গরম নাস্তা পাওয়া যায় তাহলে তো কথাই নেই,,,।
মন খারাপ জানালা দিয়ে পালাবে,তাছাড়া আমার কাছে মনে হয়েছে এই খাবার টা পুষ্টি গুনাগুনে একদম সম্পূর্ণ , যারা আমার মতন একটা খাবার খেয়ে অনেক গুলো পুষ্টি পেতে চান,তারা দেরি না করে অবশ্যই বিকালে বা সকালের নাস্তা হিসেবে তৈরি করে নিতে পারেন,,,।
কপাল গুনে ভাগ্য লাগে এমন হাজব্যান্ড পেতে। সত্যি আপু আপনি অনেক লাকি এমন একটি হাজব্যান্ড পেয়েছেন। আপনার মনটা খারাপ বলে সে আপনার জন্য নাস্তা হিসেবে পিজ্জা তৈরি করেছেন। এটা আসলেই একটি ভালো লাগার অনুভূতি। যাইহোক অসাধারণ ছিলো আপনার এই আজকের রেসিপিটি। এবং ধাপে ধাপে অনেক সুন্দর ভাবে সাজিয়েছেন আপনি। শুভকামনা রইল আপনাদের দাম্পত্য জীবনের জন্য।
আমার এই ছোট্ট জীবনে চাওয়ার পরিমাণ টা খুবই কম,, আমি সব সময় অল্পতেই শুকরিয়া আদায় করি,, আলহামদুলিল্লাহ সবকিছুর সাথে এমন একটা হাসবেন্ড পেয়েছি ,,,।
মাঝেমধ্যে মন খারাপ হলেও সেটা স্থায়ী হয় না,, বা করি না।।
ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য।।।
ধন্যবাদ আপনাকে আমাকে সহযোগিতা করার জন্য।
প্রথমেই আমি আপনার হাসবেন্ডকে ধন্যবাদ জানাবো যে, তিনি আপনার মন খারাপ ভালো করার জন্য এতটা কষ্ট করে, একটি সুন্দর সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর রেসিপি তৈরি করেছেন। পাশাপাশি আপনাকে অভিনন্দন জানাবো এমন একজন মানুষকে জীবন সাথী হিসেবে পেয়েছেন তার জন্য।
মাঝেমধ্যে এমন মন খারাপ আমাদের প্রত্যেকের জীবনে আসে ঠিকই, তবে সকলে কিন্তু আপনার মতন হাজবেন্ডের সাপোর্ট পায় না, এটুকু আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি।
এবার আসি রেসিপিটির কথায়, যেটা দেখতে অসম্ভব লোভনীয় হয়েছে। আমার বিশ্বাস খেতেও এটা ততটাই সুস্বাদু ছিলো। আমিও আপনার সাথে একমত যে, এই রেসিপিটি যথেষ্ট স্বাস্থ্যকর। কারণ এতে বিভিন্ন রকমের সবজির ব্যবহার হয়েছে। আর তৈরি করতেও যে অনেক বেশি ঝামেলা এমনটা নয়।
অন্তত আপনার লেখা প্রতিটি ধাপ পড়ে এটুকু বুঝলাম, ঘরোয়া কিছু উপকরণ থাকলে এটি তৈরি করে নেওয়া যাবে অনায়াসেই। বিশেষ করে বাচ্চাদেরকে এমন টিফিন তৈরি করে দিলে তারা খুবই আনন্দসহকারে খাবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের দুজনকে এতো সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
প্রথমে অসম্ভব সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ,,
সারাদিন ডিউটি করার শেষে যখন আমার খারাপ লাগার কথাটা চিন্তা করে এটা আমার জন্য অনেক কিছু,,,।
হ্যাঁ এটা তো সত্যি চারপাশে অনেক হাসবেন্ডাই আছে তারা এমনটা চিন্তা করেও না,,।
একদম ঠিক কথা বলেছেন বাচ্চাদের টিফিনে এরকম স্বাস্থ্যকর খাবার অনেক ভালো,, আর এটা তৈরি করতে খুব একটা ঝামেলা হয়নি শুধু উপকরণগুলো বাসায় থাকলেই হবে।। ধন্যবাদ আপনাকে।
Your dish looks tempting and healthy too.. Thanks for Sharing..
Thank you for a very nice comment.
প্রথমে ভেবছিলাম ফুডপান্ডা থেকে কেনা, পরে দেখি ভাই নিজের হাতে এটা বানিয়েছে। দারু ব্যাপার,আগে কি রেস্তুরেন্টের শেইপ ছিল নাকি? এমন খাবার বানিয়ে সামনে দিলে মন যত খারাপই হোক না কেন নিমিষেই ভালো হয়ে যাব্র কথা।
ও মা শেইপ হলে তো আমার রান্নাই করতে হতো না,,