এঁচোড় চিংড়ি রেসিপি
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই ভালো আছেন ।আজকে নতুন একটা রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে। আশা করি সকলেরই ভালো লাগবে।
আজকে আপনাদের মাঝে এঁচোড় চিংড়ি রেসিপি শেয়ার করব। আমরা কাঁঠাল কে কাঁচা অবস্থায় এঁচোড় বলি আর পাকলে তাকে কাঁঠাল বলি। কাঁঠাল সাধারণত গরম কালেই পাওয়া যায়। কিন্তু এখন সব রকম সবজি সারা বছর পাওয়া যায়। তবে যে কোন জিনিস সময়ে খাওয়া বেশি ভালো। এঁচোড় খেলে আমরা অনেক উপকারিতা পাই। আমরা সাধারণত এঁচোড় কে সবজি হিসেবেই ধরি আর কাঁঠাল কে ফল হিসেবে। এঁচোড়ে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম আরো অনেক পুষ্টি ও খনিজ পদার্থ। এঁচোড় যেকোনো রকম ভাবে রান্না করে খেলে দুর্দান্ত লাগে। তবে নিরামিষ এর থেকেও যদি চিংড়ি মাছ দিয়ে অথবা খাসির মেটে দিয়ে রান্না করা হয় আরো সুস্বাদু খেতে হয়।
আমি পাকা অথবা কাঁচা দুই রকম কাঁঠাল খেতে পছন্দ করি। অনেকে এঁচোড় কাটার ভয়ে একদমই রান্না করতে চায় না। তবে এখনকার দিনে এঁচোড় কেটেই বাজারে বিক্রি করা হয়। এঁচোড়ে নানারকম ভিটামিন রয়েছে। এছাড়া এঁচোড় খেলে বহু গুণসম্পন্ন। এঁচোড় খেলে মাথার চুল ভালো থাকে এছাড়া চোখের সমস্যা দূর হয়, সর্দি ,কাশি, ক্যান্সারের মতো রোগ দূর হয়। তাহলে শুরু করি এঁচোড় চিংড়ি রেসিপি।
নং | সামগ্রী | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | এঁচোড় | ১ কেজি |
২ | চিংড়ি মাছ | ৪০০ গ্ৰাম |
৩ | বড় সাইজের আলু | ২টো |
৪ | আদা | ৫০ গ্ৰাম |
৫ | বড় সাইজের পেঁয়াজ | ১ টা |
৬ | রসুন | ৬ কোয়া |
৭ | কাঁচা লঙ্কা | ১২ টা |
৮ | জিরে | ১ চামচ |
৯ | মিট মসলা | ১ চামচ |
১০ | টমেটোর সস | ১ চামচ |
১১ | সাদা তেল | ৫০ গ্ৰাম |
১২ | কালো জিরে | হাফ চামচ |
১৩ | শুকনো লঙ্কা | ১ টা |
১৪ | লবণ | ২ চামচ |
১৫ | হলুদ | ১ চামচ |
১৬ | গরম মসলা | ১ চামচ |
১৭ | ধনে গুঁড়ো | ১ চামচ |
প্রথম ধাপ
বাজার থেকে এঁচোড় কেটে আনা হয়েছিল। আসলে বাড়িতে কেটে রান্না করা খুবই ঝামেলার কাজ। এবারে এঁচোড় টাকে ভালো করে বেছে টুকরো টুকরো করে কেটে নিয়েছি। পরিমাণ মতো আলু টুকরো টুকরো করে কেটে নিয়েছি। এছাড়াও চিংড়ি মাছগুলো ভালো করে বেছে ধুয়ে রেখে দিয়েছি। চিংড়ি মাছগুলো ছোট ছোট করে কেটে লবণ ,হলুদ মাখিয়ে রেখে দিতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ
এবারে এঁচোড়গুলো একটা প্রেসার কুকারের মধ্যে দিয়ে দুটো সিটি মেরে নিতে হবে। যাতে এঁচোড় গুলো ভালো করে সিদ্ধ হয়। আসলে অসময়ে এঁচোড় একদমই সিদ্ধ হতে চায় না।
তৃতীয় ধাপ
সিদ্ধ হওয়ার পর একটা থালায় ভালো করে জল ঝরানোর জন্য রেখে দিতে হবে।
চতুর্থ ধাপ
এবারে একটা কড়াই বসিয়ে দিয়েছি কড়াইতে পরিমাণ মতো সাদা তেল দিয়ে চিংড়ি মাছগুলো ভালো করে ভেজে তুলে রেখে দিয়েছি। এরপর অন্য আরেকটি কড়াই বসিয়ে তাতে পরিমাণ মতো সাদা তেল দিয়েছি। তেল গরম হলে কড়াইতে পরিমাণ মতো কালো জিরে আর শুকনো লঙ্কা দিয়ে দিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
এরপর কড়াইতে কেটে রাখা আলু গুলো দিয়ে দিতে হবে ।আলুর মধ্যে সামান্য পরিমাণে লবণ আর হলুদ দিয়ে আলু গুলোকে ভেজে নিতে হবে।
ষষ্ঠ ধাপ
আলুগুলো ভাজা হয়ে গেলে পেস্ট করে রাখা সমস্ত মসলা আলুর মধ্যে দিয়ে আলুগুলোকে কষিয়ে নিতে হবে। আমি মশলা হিসেবে ব্যবহার করেছি পেঁয়াজ, রসুন ,আদা, কাঁচালঙ্কা, জিরে সমস্ত কিছু পেস্ট করে নিয়ে ওর মধ্যে পরিমাণ মতো মিট মসলা আর টমেটোর সস মিশিয়ে নিয়েছি।
সপ্তম ধাপ
মসলা কষানো হয়ে গেলে এবারে সিদ্ধ করা এচোড় গুলো কড়াইতে দিয়ে দিতে হবে। এবার এচোড় গুলো কড়াইতে ভালো করে নাড়াচাড়া করে নিতে হবে।
অষ্টম ধাপ
ভালো করে নাড়াচাড়া করা হয়ে গেলে ভেজে রাখা চিংড়ি মাছগুলো কড়াইতে দিয়ে দিতে হবে। দিয়ে পরিমাণ মতো জল দিয়ে নাড়াচাড়া করে ঢাকা দিয়ে দিতে হবে।
নবম ধাপ
১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে নেড়েচেড়ে সামান্য গরম মসলা দিয়ে দিতে হবে। তরকারি ঝোলটা আপনারা আপনাদের মতো করে রাখবেন। এখানে আমি সান রাইজের গরম মসলা ব্যবহার করেছি।
তৈরি
গরম মসলা দেওয়ার পর খানিকক্ষণ ফুটিয়ে নিয়ে নামিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে এঁচো চিংড়ি রেসিপি।
আমি রেসিপিটি একদম সহজ পদ্ধতিতে ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে তৈরি করেছিলাম। আমরা এভাবেই এচোড় চিংড়ি বাড়িতে তৈরি করে খায়। আলাদা কোন বাইরের কোনো মসলা ব্যবহার করি না। এই ভাবেই এঁচোড় চিংড়ি রেসিপি তৈরি করে গরম ভাতের সাথে খেতে দুর্দান্ত লাগে। আমি সবকিছুই আমার পরিমাণ মতো জিনিস ব্যবহার করেছি। আপনারা চাইলে আপনাদের পরিমাণ মতো সবকিছু ব্যবহার করতে পারে। আশা করি রেসিপিটি খেতে অসাধারণ লাগবে। আমি চিংড়ি মাঝে আর আলু ভাজার সময় সামান্য লবণ ব্যবহার করেছিলাম। ওই লবনের পরিমাণ আমি উপকরণে লিখিনি। রেসিপি তৈরি করতে যে উপকরণ গুলো ব্যবহার করেছি সেই গুলোকে উপকরণে দেওয়া আছে। আমি এঁচোড় চিংড়ি রেসিপি তৈরি করতে সাদা তেল ব্যবহার করেছি ।আপনারা চাইলে সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন। আসলে সাদা তেল খেলে নাকি শরীরের পক্ষে উপকারী। তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা বাড়িতে সাদা তেল ব্যবহার করি।
আজ এখানেই শেষ করছি ।আবার পরবর্তী কোনো রেসিপি নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
Your recipe looks delicious.. Thanks for sharing thr recipe..
Keep steeming always..
সত্যি কথা বলতে আমি আগে কখনো রান্না করিনি এবং খাইও নি, তবে আপনার লেখা পড়ে এবং রেসিপি টা এর ধরন দেখে আমার ভিতরে কিছুটা আগ্রহ জাগছে এই। রান্নাটা তৈরি করার জন্য।
রইল বাকি খাবারটার পোস্টি গুনাগুন, আপনি কিন্তু বেশ কয়েকটা রোগের কথা বলেছেন এবং আমার মনে হয় এই খাবারটা খেলে অবশ্যই এরকম ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।।।
Curated by: sergeyk