বাঁধাকপি চিংড়ি রেসিপি
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে নতুন একটা রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।
শীতকালে বিভিন্ন রকমের শাক-সবজি সবকিছুই পাওয়া যায়। তবে শীতকালীন সব রকম সবজির মধ্যে বাঁধাকপি হলো অন্যতম। শীতকালে প্রত্যেক ঘরে ঘরেই বাঁধাকপি আর ফুলকপির রেসিপি রান্না করার হয়ে থাকে। বাঁধাকপি খেলে আমরা শরীর স্বাস্থ্যের অনেক রকম উপকারিতাও পায়। বাঁধাকপি একটি পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে ধরা হয়। এছাড়াও বাঁধাকপিতে ভিটামিন, ম্যাঙ্গানিজ আরো অনেক কিছু রয়েছে। বাঁধাকপি যেভাবে রান্না করা হয় সেইভাবে খেতে খুব সুন্দর লাগে। আমার শাশুড়ি মায়ের হাতে নিরামিষ বাঁধাকপি খেতে আমার দুর্দান্ত লাগে। আজকে শেয়ার করব চিংড়ি মাছ দিয়ে বাঁধাকপি রেসিপি।
নং | সামগ্রী | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | বাঁধাকপি | ১ টা |
২ | মিডিয়াম সাইজের আলু | ৩ টে |
৩ | চিংড়ি মাছ | ২৫০ গ্ৰাম |
৪ | মটরশুঁটি | ২৫০ গ্ৰাম |
৫ | কাঁচা লঙ্কা | ১৮ টা |
৬ | আদা | ৫০ গ্ৰাম |
৭ | রসুন | ৬ কোয়া |
৮ | জিরে | ১ চামচ |
৯ | মিট মসলা | ১ চামচ |
১০ | সাদা তেল | ৫০ গ্ৰাম |
১১ | গোটা জিরে | ১ চামচ |
১২ | হলুদ | ১ চামচ |
১৩ | লবণ | ২ চামচ |
১৪ | গরম মসলা | ১ চামচ |
প্রথম ধাপ
প্রথমেই আমি একটা গোটা বাঁধাকপি ঝিরিঝিরি করে কেটে নিয়েছি। এর সাথে পরিমাণ মতো আলু সাইজ করে কেটে আর মটরশুঁটি খোসা থেকে ছাড়িয়ে নিয়েছি।আর সমস্ত মসলা রেডি করে নিয়েছি। পরিমাণ মতো চিংড়ি মাছ পরিষ্কার করে ধুয়ে লবণ, হলুদ মাখিয়ে রেখে দিয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপ
এবারে গ্যাস অন করে একটা পাত্র বসিয়ে দিয়েছে আর পাত্রে কেটে রাখা বাঁধাকপি গুলো জল দিয়ে একটু ভাপ দিয়ে নিতে হবে। ভাপ দেওয়া হয়ে গেলে নামিয়ে জল ঝরানোর জন্য রেখে দিতে হবে।
তৃতীয় ধাপ
এবারে একটা কড়াই বসিয়ে দিয়েছি কড়াইতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে চিংড়ি মাছগুলো ভালো করে ভেজে তুলে রাখতে হবে।
চতুর্থ ধাপ
এরপর অন্য একটা কড়াই বসিয়ে কড়াইতে পরিমাণ মতো সাদা তেল দিয়ে দিয়েছি তেল গরম হলে তেলের মধ্যে এক চামচ গোটা জিরে দিতে হবে।
পঞ্চম ধাপ
এবারে কড়াইতে কেটে রাখা আলু গুলো দিয়ে সামান্য লবণ, হলুদ দিয়ে ভালো করে ভাজতে হবে।
ষষ্ঠ ধাপ
আলু গুলো ভালো করে ভাজা হয়ে গেলে পেস্ট করে রাখা সমস্ত মসলা আলুর মধ্যে দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করতে হবে। আমি এখানে আদা, রসুন, কাঁচালঙ্কা, জিরে পেস্ট করে নিয়ে পরিমাণ মতো মিট মসলা মিশিয়ে নিয়েছি।
সপ্তম ধাপ
এবারে মসলা থেকে তেল ছাড়লেই ভাপিয়ে রাখা বাঁধাকপি আর মটরশুঁটি কড়াইতে দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করতে হবে।
অষ্টম ধাপ
সমস্ত মসলা ভালো করে নাড়াচাড়া করে বাঁধাকপিতে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর মিডিয়াম আঁচে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।
নবম ধাপ
মিনিট পাঁচেক পরে ঢাকনা খুলে ভেজে রাখা চিংড়ি মাছগুলো কড়াইতে দিয়ে দিতে হবে।
দশম ধাপ
এরপর ভালো করে নাড়াচাড়া করে সামান্য পরিমাণে জল দিয়ে আবারো ঢাকা দিয়ে দিতে হবে।
শেষ ধাপ
এবারে ঢাকনা খুলে সামান্য গরম মসলা ছিটিয়ে নাড়াচাড়া করতে হবে।
তৈরি
এইভাবেই নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে বাঁধাকপি চিংড়ি রেসিপি।
এইরকমভাবে বাঁধাকপির চিংড়ি রেসিপি তৈরি করলে খেতে দুর্দান্ত লাগে। দুপুর বেলায় গরম গরম ভাতের সাথে খেতে খুব ভালো লাগে। এছাড়া রুটি দিয়ে বাঁধাকপির তরকারি খেতে অসাধারণ লাগে।আমি একদমই ঘরোয়া পদ্ধতিতে রেসিপিটি তৈরি করেছিলাম। আপনারা চাইলেও এইরকম ভাবে বাঁধাকপি চিংড়ি রেসিপি তৈরি করতে পারেন। আমি সমস্ত রান্নাই একদম ঘরোয়া পদ্ধতিতে করি। বিশেষ কিছু মসলা ব্যবহার করি না। বাঁধাকপি আমরা প্রতিনিয়ত বাড়িতে রান্না করে খেয়ে থাকি ।তবে এক একদিন এক এক রকম করে রান্না করলে আশা করি খেতে খুবই ভালো লাগবে। আমি সমস্ত রকম উপাদান আমার প্রয়োজন মতো ব্যবহার করেছি ।আপনারা চাইলে সবকিছু আপনাদের মত ব্যবহার করতে পারেন। আমি লবণ ,হলুদ আর তেল সমস্তই উপকরণে একসাথে লিখেছি । আশা করছি এইরকম রেসিপি সকলেরই খুব ভালো লাগবে।
আজ এখানে শেষ করছি ।আবারো নতুন একটা রেসিপি নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
দিদি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শীত কালের সবজির মধ্যে অন্যতম সবজি হলো বাঁধাকপি। শীতের সকালে গরম ভাতের সঙ্গে বাঁধাকপি খাওয়ার মজাই আলাদা। আমার মাও মাঝে মধ্যে বাঁধাকপি রান্না করে। যা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়।
ভালো থাকবেন দিদি।
দিদি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য । দেখে খুব ভালো লাগলো আজকে আপনি নতুন একটি রেসিপি নিয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। বাঁধাকপি ভাজি করে রুটি দিয়ে খেলে অনেক মজা লাগে এবং অনেক সুস্বাদু হয়। আমাদের বাসায়ও আমার আম্মায় বাঁধাকপি, ফুলকপি ,গাজর ,এসব গুলি মিশিয়ে সবজি ভাজি করে। অনেক সুন্দর ভাবে,আমাদেরকে ধাপে-ধাপে বিশ্লেষণ করে বুঝিয়েছেন। কিভাবে বাঁধাকপির চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করতে হয়। সুস্থ থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
খুব সুন্দর রেসিপি শেয়ার করেছেন! বাঁধাকপি চিংড়ির এই ঘরোয়া পদ্ধতি সত্যিই অসাধারণ। শীতকালের সবজির মধ্যে বাঁধাকপি আর চিংড়ির এমন কম্বিনেশন গরম ভাতের সাথে খাওয়ার মজাই আলাদা। ধাপে ধাপে সবকিছু এত সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, নতুন রাঁধুনিরাও সহজে রান্না করতে পারবে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এই দারুণ রেসিপি আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য। পরের রেসিপির অপেক্ষায় রইলাম!
আরে বাহ এই রান্নার সাথে তো আপনার আর আমার চয়েজ একেবারেই মিলে গেল। যদিও আমি আলো ব্যবহার করি না, শুধুমাত্র চিংড়ি দিয়ে পাতাকপি রান্না করার চেষ্টা করি। রান্না বলতে ভুল হবে আমি শুধুমাত্র ভাজি করি। এখানে কোন রকম পানি আমি ব্যবহার করি না শুধুমাত্র কম আগুনের মধ্যে পাতাকপি ভাজার মজাটাই অন্যরকম। যেটা আমি খুব মজা করে তৈরি করে থাকি ধন্যবাদ চমৎকার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
শীতকালে সবজি অনেক পাওয়া যায় সেইসাথে যে কোন সবজি অনেক ভালো লাগে আমার কাছে।। আপনি খুবই চমৎকারভাবে ধাপে ধাপে দেখিয়েছেন বাঁধাকপি ও চিংড়ি মাছের রেসিপি।। দেখতে অসম্ভব লবণীয় লাগছে যদি খেতে পারতাম কতই না ভালো হতো।
খুব পছন্দের একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আজ৷ বাঁধা কপি ও চিংড়ি অনেক বেশি পছন্দের একটা খাবার। রান্নার পদ্ধতিতে ভিন্নতা থাকার কারনে স্বাদেও অনেক পার্থক্য আসে। তবে মায়ের রান্না তো তেমন দেখা না হলেও আপনাদের পোস্ট পড়ে রান্না সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারছি। ভালো থাকবেন।