The Dairy Game || A Day in Old Dhaka||Riverside Reflections

in Incredible Indialast month
সবাইকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি

আশা করি অনেক অনেক ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আমি শুক্রবারের কাটানো দিনটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি।

20240706_074642.jpg
কভার ফটো

সকাল সকাল ঘুম ভাঙলো ছোট বোনের কল পেয়ে। আজকে মেজো ভাইয়ের বাসায় সবাই মিলে যাবার কথা। ওরা টংগী থেকে আসছে, তাই আমাকেও সাঝ সকালে ডেকে তুললো, যেন তারাতারি আমিও গন্তব্যে পৌছাতে পারি।

আমি ঘুম থেকে ঊঠে ফ্রেশ হয়ে চুলোয় ভাত বসালাম। সকাল সকাল ডিম ভাজি, গরম ভাতের সাথে ঘি মেখে ভাত খেয়ে নিলাম। বাসাটা এক সপ্তাহ ধরে গুছানোর সময় পাই নি, তাই ঘর গুচ্ছাতে লাগলাম। চুলোয় যে চিনা বাদাম ভাজার জন্যে বসিয়েছি সেটা বেমালুম ভূলে গেলাম। যখন মনে পড়লো ততোক্ষণে পুড়ে গেছে।

20240705_101930.jpg

বাদাম ভাজতে গিয়ে পুড়িয়ে ফেলা

বাসা থেকে বের হবো, জুতা পড়তে গিয়ে দেখলাম জুতার ফিতা খোলা, সেদিন জুতো ধুয়ে দিয়েছিলাম কিন্তু ফিতা গুলো আর লাগানো হয় নি। এর থেকে কঠিন কাজ খুব ই কম আছে।

20240705_101919.jpg

সকাল সকাল নিজেকে আর বিরক্ত করতে মন চাইলো না। অন্য আরেকজোড়া জুতা পড়ে রওনা হলাম পুড়ান ঢাকা, মেজো ভাইয়ের বাড়ির উদ্দেশ্যে।

পথে গুলিস্তানে গিয়ে বাস থেকে নামলাম, ভাবলাম বায়তুল মোকারমে নামাজ আদায় করি। কিন্তু তখন ঘড়িতে কেবল ১১ টা। বায়তুল মোকারমে একটু দেরিতে নামাজ শুরু হয়। কি আর করার গুলিস্তানের ফুটপাতে বসা দোকান গুলোতে হেটে হেটে দেখলাম। আমার একটা বদভ্যাস আছে, কিছু কিনি আর না কিনি যতদূর হাটবো দোকানে বিভিন্ন পণ্যের দাম জিজ্ঞেস করতে থাকবো।

20240705_122650.jpg

আধা ঘন্টা ঘুরাঘুরি করে আবারো বাসে চেপে চলে গেলাম বাহাদুরশাহ পার্কের সামনে। সেখান থেকে ৫ মিনিট হাটলেই বভাইয়ের বাসা। এবারই প্রথম এই বাসায় যাচ্ছি। ছোটবোনকে ফোন দিয়ে লাইভ লোকেশন শেয়ার চেয়ে নিলাম। আগে একটা সময় ছিল যখন মানুষ পকেটে এক টুকরো কাগজ যেটায়,বাড়ি নাম্বার, রোড নাম্বার লেখা থাকতো সেটা নিয়ে ঘুরতো আর বাসা খুজতো কিন্তু এখন প্রযুক্তির কারণে সেই কাজ কত সহজ হয়ে গিয়েছে।

বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে জুমার নামাজ আদায় করতে গেলাম। অনেক গুলো পিচ্চি পাচ্চাকে সামলে রাখা কষ্ট, বিশেষ করে মসজিদে গেলে এরা বেশি দুষ্টুমি করে।

20240705_182407.jpg

দুপুরে সবাই মিলে খেয়ে একটু রেস্ট নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। উদ্দেশ্য সদরঘাট দেখা। সদরঘাটের টার্মিনালের পাশেই বুড়িগঙ্গা রিসোর্ট, আমরা সবাই মিলে সেখানে গিয়ে মজা করলাম।

20240705_181630.jpg
20240705_181556.jpg
20240705_181854.jpg

বুড়িগঙ্গা রিসোর্ট এ কাটানো সুন্দর বিকেল

এখান থেকে নদী খুব কাছে দেখা যায়, পাশাপাশি বরিশাল, চাদপুরের বিভিন্ন লঞ্চ গুলো দেখা যায়। অনেক শখ লঞ্চে করে কোথাও ঘুরতে যাবো, কিন্তু সেই শখ এখনো অপূর্ণ রয়ে গেছে।

আমরা এখান থেকে বাসায় ফেরার পথে কবি নজরুল কলেজের উল্টোপাশের ফুটপাতের কাপড়ের বাজারে সামনে দিয়ে গেলাম। ছোটবোন কিছু কেনাকাটা করলো। অসম্ভব ভীড় এখানে, অনেক কমদামে জিনিস পত্র পাওয়া যায় বলে সবাই এখানে ভীড় জমায়।

20240705_201508.jpg
20240705_200330.jpg

কেনাকাটা শেষ ভাইয়ের বাসায় ফিরলাম। রাতে খাবার খেয়ে সবাই মিলে স্পেন আর জার্মানির খেলা দেখলাম। দারুণ খেলে স্পেন সেমিতে চলে গেলো। খেলা শেষ করে কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম মনে নেই।

তো এই ছিল আমার শুক্রবারের কাটানো দিনের দিনালিপি। আশা করি সবাই উপভোগ করেছেন। ধন্যবাদ সবাইকে, ভালো থাকবেন।

Sort:  
 last month 

মাঝে মাঝে অনেক সময় এমন হয় যে একটা কাজে ব্যস্ত থাকলে অন্য কাজের কথা ভুলে যাই। বাদাম ভাজতে দিয়েছিলেন সেটা মনে না থাকায় পুড়ে গিয়েছে। জুতার ফিতা বাধার কাজ আপনার কাছে কঠিন মনে হয় তবে আমার কাছে তেমন কঠিন মনে হয় না। নদী পথে লঞ্চে করে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় নি, তবে খুব ইচ্ছা লঞ্চ ভ্রমণ করবো একদিন সুযোগ পেলে।

 last month 

আসলে বুড়িগঙ্গার পাশে কোন রেসর্ট আছে সেটা আমি জানতাম না কিন্তু আপনার এই পোস্টটি পড়ে আমি জানতে পারলাম বুড়িগঙ্গার পাশে রিসোর্ট আছে, এখন যেখানে কম দামের জিনিস পাওয়া যায় সেখানে মানুষের ভিড়ে একটু বেশি থাকে। যাইহোক আজকে আপনার সারা দিন কার্যক্রমণ সুন্দর ছিল আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Loading...
 last month 

বাদাম ভাজা খেতে আমার অনেক ভালো লাগে।। অনেক সময় অনেক কিছু করতে যেয়ে অনেক কিছুই মাথা থেকে আউট হয়ে যায় যেমন আপনার বাদাম তুলে দিয়েছেন ভুলে গিয়েছিলাম সেজন্য পুড়ে গেছে।। আপনার অভ্যাসটা বেশ ভালই লাগলো হেঁটে যাওয়ার সময় জিনিস পত্রের দাম জিজ্ঞেস করা।। আর হ্যাঁ আপু তোমার সময়ে ফোনের সাহায্যে যে কারো বাসা খুঁজে বের করা যায় আগে যেটা হত না।।

 25 days ago 

দিন যত যাচ্ছে আমরা প্রতিনিয়ত আপডেট হচ্ছি। এখন যেমন লাইভ লোকেশন দেখে গন্তব্যে যাওয়া যায়। কে জানে হয়তো অদূর ভবিষ্যতে এটা আরো অনেক সহজতর হবে, যেটা আমরা এখন কল্পনাও করতে পারছি না।

ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো তবাকবেন।

 25 days ago 

একদম সঠিক বলেছেন ভাই দিন যত যাচ্ছে আমরা তত উন্নত দিকে ধাবিত হচ্ছে ।। বর্তমান সময়ে মানুষ কোন জায়গা না চিনলে লোকেশন বের করে সেখানে চলে যায় ভবিষ্যতে আরো কত কি দেখব যদি বেঁচে থাকি ‌‌

 last month 

আপনার সারাদিনের কাজকর্ম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ছবিতে বাদাম ভাজা দেখে মেলার কথা মনে পড়ে গেল। আমার দিদা বাদাম খেতে খুব ভালোবাসে ।তাই মেলাতে গেলেই বিদায় জন্য আগে বাদাম আনতে হয়। আপনার পোস্টটি পড়ে আমার খুব ভালো লাগলো ।ভালো থাকবেন।

 25 days ago 

আসলে বাদাম সবারই অনেক প্রিয়। বৃষ্টির দিনে সেই ছোট বেলায় কত যে বাদাম কিনে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে দিতে খেতাম। এখন আর আড্ডা হয় না, তাই বলে বাদাম খাওয়া কিন্তু বন্ধ নেই। সুযোগ পেলেই বাসায় বাদাম নিয়ে বসে পড়ি, টিভি দেখতে দেখতে খেয়ে শেষ করি।

 last month 

রান্না চুলায় দিয়ে অন্য কাজ করতে গিয়ে খাবার পড়ে নাই এমন রাঁধুনি হয়তো হাতেগুনা। আর যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত তাদের তো এটা নিয়মিত কাজ।

দোকানে দোকানে দাম জিজ্ঞেস করা কিন্তু একটা ভালো অভ্ভা। কারণ এতে বাজার মূল্য সম্পর্কে ভালো একটা ধারণা থাকে। জুতার ফিতা লাগানো আসলেই একটা ঝামেলার কাজ।

কবি নজরুল কলেজের উল্টোপাশের ফুটপাতের কাপড়ের বাজারে সামনেথেকে কিছু কেনাকাটাও করেছেন। এই কাজটা আমি ঢাকা কলেজের উল্টাপাশে থেকে করি।

 25 days ago 

আসলে স্যোসাল মিডিয়ায় বিশেষ করে রিলস বা শটস ভিডিও গুলো দেখতে বসলে আপনার মস্তিষ্ককে এমন ভাবে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলবে যে আপনি অন্য কিছুর কথা ভুলেই যাবেন, এই কারণেই রাধুনিরা আগের থেকে বেশি রান্না পুড়িয়ে ফেলে।

ঢাকা কলেজের উল্টোপাশ থেকে আমিও এক সময় ক্নেক কেনাকাটা করেছি যখন নীলক্ষেতে থাকতাম। অনেকদিন সেদিকে আর যাওয়া হয় না।