The Dairy Game||From Raindrops to Routine, My July 2nd Diary||

in Incredible Indialast month
সবাইকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি

কেমন আছেন সবাই? আজকে অনেকদিন পর আবার ডায়েরি শেয়ার করতে চলে এলাম। আমি আজকে ২ জুলাই দিনটি কিভাবে কাটিয়েছি তা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

20240703_233000.jpg
কভার ফটো

সকাল থেকেই ঝুম বৃষ্টি। ঘুম থেকে ঊঠে জানালা দিয়ে বৃষ্টি দেখতে দারুণ লাগে। সুন্দর সকাল বলতে পারেন। এমন সকালে এক পেয়ালা চায়ে চুমুক দিতে দিতে যদি আকাশ এত মেঘলা, যেও নাকো একলা,এখনি নামবে অন্ধকার অথবা এই মেঘলা দিনে একলা ঘরে থাকে না তো মন গানটা শোনা যেত দারুণ হতো।

বাসায় অনেকদিন ধরে একা আছি, চা কে বানিয়ে দিবে বলুন? কে বা গান শুনাবে? এসব রোমান্টিকতার সময় এখন না, ঘড়িতে চোখ পড়তেই মনে হলো অনেক বেলা হয়ে গিয়েছে, তার উপর এই বৃষ্টিতে বাইক নিয়ে যাওয়া সম্ভব না, তারাতারি অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।

বাসা থেকে কিছুদূর রিক্সা এর পর পাব্লিক বাসে চেপে গুলশান ১, বৃষ্টির দিনে বাস গুলোতে প্রচন্ড ভীড়, ভয়ে ঊঠতে ইচ্ছে করে না, কারণ উঠলে আর নামা যায় না।

সকাল থেকে ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে দুই ঘন্টা অফিসে পার করে চলে গেলাম ডাচ বাংলা ব্যাংকে, ১ তারিখ ব্যাংক হলিডে থাকায় ২ তারিখে এবার আমাদের স্যালারি হবে, সেই স্যালারির কাজেই ব্যাংকে আসা।

20240702_145034.jpg

ডাচ বাংলা ব্যাংক, গুলশান আগোরার সামনে

ব্যাংকের সামনে এটিএম বুথ আছে, সেখানে লোন এর ইন্টারেস্টের একটা রেট চোখে পড়লো। এইতো কিছুদিন আগেও ব্যাক্তিগত লোন এর বিপরীতে ৯.৫% সুদ দিতে হতো, এখন সেটা বেড়ে ১৩% এ গিয়ে ঠেকেছে। ২০২৫ সাল আসতে আস্তেই এটা ১৫% হবে বলে আমার ধারণা।

20240702_145020.jpg

ব্যাংক লোনের বিপরীতে ইন্টারেস্ট রেট

অত্যধিক মুদ্রাস্ফীতি, মানি লণ্ডারিং, বৈদেশিক ঋণ, আই এম এফ ইত্যাদির চাপে আমরা পিষ্ট, যার প্রভাব গিয়ে পড়েছে ব্যংক লোনের উপরে। দেশের এই অবস্থা দেখে কিছুদিন আগের হৈচৈ ভিডিও প্ল্যাটফর্মে দেখা গোলাম মামুন ওয়েব সিরিজের কথা মনে পড়ে। হুকমত এর আড়ালে কারা দেশ চালায়, কারা মানি লন্ডারিং করে, কারা সরকার চালায় তা তুলে ধরা হয়েছিল সিরিজটিতে, যারা দেখেন নি দেখতে পারেন।

ব্যাংক থেকে অফিসে ফিরে যোহরের নামাজ আদায় করে নিলাম। এর পর ক্যান্টিনে গিয়ে লাঞ্চ করলাম।

20240702_140120.jpg

বাকি দিনটা খুব ব্যস্ততার মধ্য দিয়েই কেটে গেল। অফিস থেকে ফেরার কথা মনে হলেই ভয় লাগে, আবারো সেই বাসে গাদাগাদি করে চেপে বাড়ি ফিরলাম। নতুন বাজারের সামনে দেখলাম আম, লটকন, জাম বিক্রি হচ্ছে। ঢাকা শহরের আম আর জাম কেনার বেলায় একটা জিনিস মনে রাখবেন। আম গাছ থেকে পারার আগেই যা কেমিক্যাল, কীটনাশক দেয়া হয়, গাছ থেকে নামানোর পরে আর তেমন কিছু দেয় না, জামের ক্ষেত্রে ঠিক উলটো, গাছে থাকতে কোন কেমিক্যাল দেয়া হয় না, কিন্তু গাছ থেকে পারার পরেই শুরু হয় স্প্রে, তেল মাখানো থেকে শুরু করে আরো নানা কারসাজি।

20240702_185306.jpg
20240702_192741.jpg

এই ফল গুলো কিনে বাসায় নিয়ে যাবার পর লবণ পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিবেন অবশ্যই। আমি ফল গুলো শুধু দেখলাম, কেনা হলো না, কেননা বাসায় কেউ নেই, এখনো ফ্রিজ ভর্তি আম,লিচু আছে। সেগুলোই খেয়ে শেষ করতে পারছিনা।

20240702_201840.jpg20240701_205027.jpg

অফিস থেকে বাসায় ফিরে বাকি সময়টা রান্না, খেলা দেখা বা কোন ওয়েবসিরিজ দেখেই কেটে যায়। আজকেও সন্ধ্যা থেকে একটা সিরিজ দেখলাম। এভাবেই কেটে গেল আমার আরো একটা দিন।

Sort:  
 last month 

বৃষ্টির দিনে কাজ কর্ম বাদ দিয়ে বাসায় বসে মজার মজার খাবার বানিয়ে খেতে ইচ্ছা করে তবে সেটা সব সময় করা সম্ভব হয় না। যেমন বৃষ্টির মধ্যে আপনাকে অফিসে যেতে হয়েছিল। বর্তমান সময়ে তাজা ফল পেতে হলে অবশ্যই নিজস্ব গাছের ফল খেতে হবে। বাজারে বিক্রি করা সকল ফলে ফরমালিন এবং নানা ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। যেটা আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর।

Loading...
 last month 

ভাই যতদিন যাবে ততই সুদের হার বাড়তে থাকবে, কারণ এটা বাংলাদেশ এখানে যেটা একবার বাড়ে সেটা আর কোনদিনও কমে না যাইহোক আপনার পোস্টটা অনেক সুন্দর ছিল আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

image.png
CONGRATULATIONS!!
This post has been upvoted - Steem's Angels with @steemcurator09/ Curated by: @weisser-rabe

 last month 

@weisser-rabe thank you so much for your support

 last month 

যারা চাকুরীজীবি তাদের একটা গৎবাঁধা জীবনের মাঝেই সময় কাটাতে হয় সারাটাজীবন। ঘুম থেকে উঠো ,তারপর রেডি হও আর অফিসের দিকে দৌড়াও রোদ -বৃষ্টি , বন্যা। আন্দোলন সবকিছুকে পেছনে ফেলে। ডাচ - বাংলা নামটা দেখলে খুবই পরিচিত লাগে।
বাসায় এক থাকায় খাবার শেষ হচ্ছে না। যার কারণে ফলও কেনা হচ্ছে না। ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।

 25 days ago 

ছুটির দিন ছাড়া সপ্তাহের বাকি ৫ টা দিন একই নিয়ম, একই রুটিন। মাঝে মাঝে এই চাকুরীজীবন বড্ড বেশি এক ঘেয়েমি মনে হয়। বাসায় একা থাকতেও খুব খারাপ লাগে, আমিও একাই থাকছি বেশ কিছুদিন ধরে।

ধন্যবাদ আপনার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো কাটুক আওনার সময়।