সত্যি আমি মনে করি যারা তাদের জীবনে দাদু ঠাম্মার আদর ভালোবাসা পেয়েছে তাদের মতো সৌভাগ্যবান এই পৃথিবীতে আর কেউ নেয়। আমি অতটাও সৌভাগ্যবতী নই। আমি ছোট থেকে কখনো আমার ঠাম্মা কাউকেই দেখিনি।
আমার জন্মের অনেক আগেই আমার দাদু মারা যান। আর আমার জন্মের সময় আমার ঠাম্মা বেঁচে ছিলেন। তবে জ্ঞান হওয়ার আগেই তিনি মারা যান। তাই আমার মনে দাদু বা ঠাম্মা এদের কোন প্রতিচ্ছবি নেই। বাড়িতে কোন ফটো না থাকায় দাদু ঠাম্মা কেমন দেখতে ছিল সে বিষয়ে আমার কোন ধারণা নেই। তাই দাদার আদর ভালোবাসা ঠিক কেমন হয় আমার জানা নেই।
তবে তোর লেখাটা আমি অনেকটা রিলেট করতে পারলাম কারণ ২০১০ সালে আমি আমার বাবাকে হারাই। ২০১০ সালের আগে প্রত্যেক বছর কালী পূজার সময় বাবা ১৪ প্রদীপ বানাতো। আমি আর দাদা সামনে বসে বাবার প্রদীপ বানানো দেখতাম আর বাবাকে সাহায্য করতাম। কত সুন্দর ছিল সেই দিনগুলো।
আমিও চোখের সামনে প্রথম মৃত্যু বলতে বাবাকেই দেখেছিলাম তাই ঐটুকু বয়সে আঘাতটাও অনেকটাই পেয়েছিলাম।
যেহেতু পুজোর মধ্যেই বাবা মারা যান তাই পুজো এলেই বাবার কথা বড্ড মনে পড়ে।