Better Life With Steem || The Diary game || 09 June 2024 ||

সময় তার গতি অনুযায়ী চলতে থাকে। আমরা সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে আমাদের সময়ের কাজ গুলো সম্পন্ন করতে পারি না। তারপরে আফসোস করতে হয়। আসলে আমাদেরকে সময়ের কাজগুলো সময়ের মধ্যে শেষ করা দরকার। তাহলে পরবর্তী সময়ে আর আফসোস করতে হয় না। কোন কাজ পড়ে থাকে না। আমরা যখন সময়ের কাজ সময়ে শেষ না করি। তখন আমাদের কাজগুলো পাহাড় পরিমাণ হয়ে থাকে। ওই কাজগুলো করতে গেলে তখন অনেক বেশি কষ্ট লাগে।

আর তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত। সময়ের কাজ সময়ের সাথে অল্প অল্প করে শেষ করে ফেলা। এতে করে দিন শেষে অন্ততপক্ষে প্রশান্তি করা যায়। আলহামদুলিল্লাহ নতুন একটা সকালের জন্য প্রথমত সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করে নিয়েছিলাম। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই একটু হাঁটাহাঁটি করে, সংসারের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করলাম।

এরপরে শাশুড়িকে জিজ্ঞেস করলাম কি নাস্তা তৈরি করা হবে। উনি বলল নাস্তা তৈরি করতে হবে না গরুর মাংস আছে তার সাথে পান্তা ভাত দিয়ে, সবাই খেয়ে নেবে। তাই আমি আর কিছু বললাম না। সবার জন্য ভাত এবং গরুর মাংস গরম করে নিয়েছিলাম। এরপর সবাই মিলে সকালের নাস্তা শেষ করলাম।

এরপর আমি ছেলেকে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দিলাম। ওখান থেকে এসে রান্নাবান্নার জন্য সমস্ত কিছু রেডি করে নিয়েছিলাম। আজকে শাশুড়ি একটু চেয়ারম্যানের কাছে যাবে। আমাদের কিছু কাগজপত্র অনলাইন করতে হবে। যে গুলোর মধ্যে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর লাগবে। যাওয়ার সময় ছেলের জন্য ভাত নিয়ে যাবে দুপুরের। তাই আমি দেরি না করে আগে ভাত তরকারি রান্না করে ফেললাম। ভাত তরকারি রান্না করতে আমার প্রায় এগারোটা বেজে গেল। এরপর ওনাকে সবকিছু রেডি করে দিলাম উনি চলে গেল।

এরপর আমি এক এক করে ঘরে সবকিছু নিয়ে আসলাম, এবং ঘর মুছে নিয়েছিলাম। আসলে গরমে অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যাচ্ছিল। চারপাশ অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল কিন্তু বৃষ্টির কোন দেখা নেই। গলা শুকিয়ে একেবারে কাঠ হয়ে গেছে। তাই ঘরে এসে কোমল পানি ছিল একটা খেয়ে নিলাম।

সব কাজ শেষ করতে করতে যোহরের আযান দিয়ে দিল। তাড়াতাড়ি করে গিয়ে গোসল করে নিলাম। গরমে এমনিতেই ঘামে শরীর একেবারেই ভিজে আছে। এরপর গোসল করে এসে প্রথমত নামাজ পড়ে নিলাম। এদিকে কারেন্ট চলে গেছে আরো বেশি খারাপ অবস্থা। এরপর উঠে গিয়ে আগে ছেলেকে দুপুরের খাবার খাইয়ে দিলাম। এরপর আমি নিজে দুপুরের খাবার খেয়ে ওষুধ খেয়ে নিয়েছিলাম। আসলে হঠাৎ করে পানি চেঞ্জ হওয়ার কারণে গলা ব্যথা শুরু হয়ে গেছে। যার কারণে খুব খারাপ লাগছিল।

দুপুরের খাবার খাওয়ার পর আরও বেশি খারাপ লাগছিল, গরমে মনে হচ্ছে মরেই যাবো। এরপরে দেখলাম কারেন্ট আসলে ফ্যানের নিচে কিছুক্ষণ রেস্ট নিলাম। এরপরে শাশুড়ি আসলে ওনার কাছ থেকে সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে দেখে নিলাম। সবকিছু ঠিক আছে কিনা। এখন শুধু একটা কাগজ বাকি আছে, যেটা অনলাইন করে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর নিতে হবে। সেটা পরবর্তী দিন যেতে বলেছে, তারপর আমি উনাকে দুপুরের খাবার দিলাম।

এরপর আমি এসে আরো কিছুক্ষণ রেস্ট করলাম। একটু পরেই আসরের আযান দিল। উঠে প্রথমত ঘরের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে নিলাম। এরপর অজু করে এসে নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ার পর একটু বাজারে যেতে হবে কেননা গলা ব্যাথার ঔষধ আনতে হবে। তার সাথে ছেলেদের জন্য কিছু চানাচুর বিস্কুট নিয়ে আসতে হবে। তাই আমি ছোট ছেলেকে নিয়ে বাজারে চলে গেলাম।

বাজার থেকে আসতে মাগরিবের আযান দিয়ে দিল। সবকিছু রেখে প্রথমত আজু করে এসে নামাজ পড়ে নিলাম। এরপর ওখান থেকে আসার সময় চটপটি নিয়ে এসেছিলাম। সবাই মিলে মজা করে চটপটি খেয়েছিলাম। সন্ধ্যার পর ছেলেদেরকে নিয়ে পড়তে বসলাম।

এশার আযান দিলে নামাজ পড়ে তারপরে তাদেরকে রাতের খাবার খাইয়ে দিলাম। আমি আর রাতের খাবার খেলাম না, এর পরে টিউটোরিয়াল ক্লাসে যুক্ত হলাম। ওখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। ক্লাস শেষ হলে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।