"Travel diary- Explored Digha-(Part-3)"
|
---|
Hello,
Everyone,
গতকালই জানিয়েছিলাম যে,আজ দীঘার পাশেরই একটি টুরিস্ট স্পট শংকরপুরের বীচে ঘুরতে যাওয়ার গল্প শেয়ার করবো।
শংকরপুরকে আমাদের এখানে চলতি কথায় পশ্চিমবঙ্গের গোয়া বলা হয়। কেন বলা হয় জানি না, তবে ব্যক্তিগতভাবে দীঘার থেকেও এই শংকরপুরের বীচের সৌন্দর্য্য, নিস্তব্ধতা, আমাকে অনেক বেশি আকৃষ্ট করেছে।
|
---|
|
---|
ওল্ড দিঘা হোক কিংবা নিউ দীঘা, সমুদ্রের বীচে প্রচুর মানুষের ভিড়, সেই তুলনায় শংকরপুরের বীচে লোকজন প্রায় নেই বললেই চলে। তাই প্রকৃত অর্থে যদি সমুদ্রের ঢেউকে অনুভব করতে হয়, অপলকে সমুদ্রের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে হয়, তাহলে বোধহয় শংকরপুর তার উপযুক্ত ঠিকানা।
তবে দুঃখের বিষয় এখানে থাকার মতন তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। এমনকি এই বীচ স্নান করারও উপযুক্ত নয়। তবে হ্যাঁ নির্জনতায় বসে সমুদ্র উপভোগ করার সবথেকে ভালো জায়গা হল এই শংকরপুর। শুনেছি তাজপুর ও মন্দারমনি আরও বেশি সুন্দর, তবে এই দুই জায়গা দেখার সুযোগ এখনো হয়ে ওঠেনি।
|
---|
যাইহোক আজ দীঘা ভ্রমণের দ্বিতীয় দিনের গল্প করবো আপনাদের সাথে। দ্বিতীয় দিনে কথা ছিল মোহনায় গিয়ে সূর্যদোয় দেখবো। তবে ঘুম থেকে উঠতে অনেকটা লেট হয়ে গিয়েছিলো, তাই সেটি সম্ভব হয়নি। তাই বিছানায় বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে, আমরা ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নিলাম। কারণ ব্রেকফাস্ট করতে হবে।
|
---|
|
---|
তারপর তৈরি হয়ে আমাদের শংকর পুরের উদ্দেশ্যে বেরোতে হবে। এইদিন হোটেল থেকে বাকি তিনজন ধোসা খেয়েছিলো, তবে ধোসা খেতে আমি পছন্দ করি না, তাই নিজের জন্য আমি লুচি অর্ডার করেছিলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে রুমে এসে আবার তৈরি হয়ে নিলাম শংকরপুর বীচে যাওয়ার জন্য।
|
---|
|
---|
বাইরে তখনও বেশ রোদ্দুর ছিলো ঠিকই, তবে সেসব উপেক্ষা করেই আমরা পৌঁছে গেলাম ভ্যান স্ট্যান্ডে। কারণ দীঘা থেকে শংকরপুর যেতে হলে, আপনাকে মোটর ভ্যান ভ্যান কিংবা গাড়ি ভাড়া করতে হবে। খুব বেশি সময় লাগে না সেখানে যেতে।
|
---|
বেশ কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা পৌঁছে গেলাম শংকরপুর বীচে। সেখানে বসার ব্যবস্থা বলতে কতগুলো দোকান আছে। যেখানে বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যায়, এমনকি আপনি চাইলে সেখান থেকে মাছ ভাজাও অর্ডার করতে পারেন। সেই দোকানের লোকজনেরাই নিজেদের দায়িত্বে টেবিল চেয়ার পেতে রেখেছেন।
আপনি যেই দোকান থেকে কিছু খাবেন, সেই টেবিল চেয়ারে আপনি বসতে পারেন। এরকম একটু দোকান দেখে সেই দোকানের চেয়ার টেবিলে আমরা বসে পড়লাম। তারপর শুরু হল সমুদ্র দর্শন। চেয়ার গুলো এমন জায়গায় পাতা আছে যেখানে সমুদ্রের ঢেউ এসে আপনার পায়ে আছড়ে পরে। সে এক অন্য ধরনের ভালোলাগা।
|
---|
|
---|
বেশ কিছুক্ষণ বাদে সেখানে একজন ডাব ওয়ালার থেকে আমরা সকলেই একটা করে ডাব খেলাম। সমুদ্র দেখতে দেখতে ডাব খাওয়ার আনন্দ উপভোগ করলাম প্রথমবার। খুব একটা মন্দ লাগলো না। সেখানে বাদবাকি আরো সমস্ত জিনিসের আয়োজন আছে। অনেকেই আছে যারা বন্ধুদের সাথে গিয়েছেন, সেখানে বসে ড্রিংকস খাচ্ছে।
|
---|
আসলে যে যেমন ভাবে আনন্দ উপভোগ করতে পছন্দ করে তেমনভাবেই করছিলো। আমরা সেখানে কোলড্রিংকস অর্ডার করেছিলাম, তার সাথে চিপস এবং আমার বান্ধবীর দাদা একটি পমফ্রেট মাছ ফ্রাই অর্ডার করেছিলো। সকলে সেখান থেকে একটু টেস্ট করেছিল, তবে আমি খাইনি। কারণ মাছ আমার একটুও পছন্দ নয়। এরপর সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটালাম, ছবি তুললাম, তারপর আবার রওনা করলাম দীঘার উদ্দেশ্যে।
|
---|
সকালের দিকে ভালো রোদ্দুর থাকলেও, শংকরপুর থেকে ফিরে আমরা যখন দীঘা সমুদ্রের দিকে যাচ্ছিলাম, তখন হঠাৎ করে রোদ্দুরটা মেঘের আড়ালে ঢাকা পড়ে গেলো। আর দেখতে দেখতে কিছুক্ষণের মধ্যেই আকাশটা পুরো মেঘে ঢেকে গেলো।
|
---|
|
---|
বুঝতে পারিনি বৃষ্টি হবে। তবে সমুদ্রের পাড়ের মেঘলা আকাশ ও বৃষ্টি, যে এতটা উপভোগ্য হতে পারে এটা সত্যিই আমার অজানা ছিলো। আমরা সমুদ্রের পাশ দিয়ে হাঁটছিলাম, এমন সময় টুকটাক বৃষ্টি হতে পড়তে শুরু করল এবং সেই সময় আকাশ, সমুদ্র, বৃষ্টি সবকিছু মিলিয়ে একটা অদ্ভুত পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিলো। যেটা শুধুমাত্র দাঁড়িয়ে উপভোগ করাই সেই সময়কার বড় পাওনা মনে হয়েছিল।
বৃষ্টি থামছিল না বলে আমরাও আর অন্য কোনো হোটেলে খেতে যেতে পারছিলাম না। যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম তার পাশে ছোট্ট একটা হোটেল ছিলো, যেখান থেকে মোমো অর্ডার করে, আমরা সকলে খেয়েছিলাম এবং তাতেই আমাদের দুপুরের লাঞ্চ কমপ্লিট হয়ে গিয়েছিলো।
আবার রুমে গিয়ে পোশাক চেঞ্জ করেই আবার আমরা বেরোলখম, আশেপাশের বাজার গুলো ঘুরে দেখছিলাম। কারণ পরের দিন আমাদের বাড়ি ফেরার পালা ছিলো, তাই বাড়ির জন্য সকলের টুকটাক শপিং করবে।
|
---|
|
---|
|
---|
কেনাকাটা করতে করতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এলো। আমরাও খুব বেশি দেরি না করে কেনাকাটা সম্পন্ন করে হোটেলে ফিরলাম। সারাদিন ঘুরে ঘুরে ফোনের চার্জ একেবারে শেষ হয়ে গিয়েছিলো। ফ্রেশ হয়ে ফোনগুলো চার্জে দিয়ে আমরা সকলে ডিনার করতে নিচের হোটেলে চলে গেলাম।
|
---|
|
---|
সেদিন রাতে আমরা চিকেন ভর্তা, বাটার নান এবং পনির বাটার মশলা অর্ডার করেছিলাম। আর তার সাথে আইসক্রিম খেয়েছিলাম। খাওয়া-দাওয়া সম্পূর্ণ করে রুমে এসে সবাই সবার ফোন থেকে ছবি দেওয়া নেওয়া করলাম। তারপরে কিছুক্ষণ টিভি চালিয়ে নিজেদের মধ্যে গল্প করে, অবশেষে ঘুমিয়ে পড়লাম।
এরপর দিন আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো দীঘার মোহনায় সূর্যোদয় দেখার মুহুর্ত এবং তার পার্শ্ববর্তী মাছের বাজার ঘোরার অভিজ্ঞতা। আশা করছি আপনারা কেউ আমার এই পোস্টগুলো পড়তে বিরক্ত হবেন না, কারণ তিন দিনের ভালো লাগার অনুভূতি একটা পোস্টের মাধ্যমে কখনোই শেয়ার করা সম্ভব নয়। তাই জন্যই এগুলোকে আমি ভাগ করে শেয়ার করছি, যাতে আপনারাও সম্পূর্ণটা পড়তে পারেন এবং উপভোগ করতে পারেন।
আজকের পোস্ট এখানেই শেষ করছি। দীঘায় কাটানো একেবারে শেষ দিনের গল্পটি আগামীকাল শেয়ার করবো। ভালো থাকবেন। শুভরাত্রি।
আমরা বিগত পোস্টে অবগত হয়েছি আপনার দীঘায় ঘুরতে যাওয়ার গল্প। আপনার পোস্টে পড়া যে, শংকরপুরের কথা বলেছেন সেটার হয়তো নাম জানিনা। কিন্তু গোয়া নামটি শুনেছিলাম। যাইহোক, ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে আপনারা শংকরপুরের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছেন। আসলে এভাবে নির্জন অবস্থায় সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করতে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। বাহ! দীঘায় দেখি বেশ কেনাকাটার মত মার্কেট রয়েছে । দেখে মনে হচ্ছে বেশ ভালই কেনাকাটা করেছিলেন।
এই দীঘায় ঘুরতে যাওয়ার বাকি অংশটুকু পড়ার জন্য অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থাকবেন।
দীঘার মার্কেট অনেক বড়। সবটুকু আমরাও ঘুরে দেখতে পারিনি। টুকটাক কিছু কেনাকাটা করেছিলাম মাত্র। শংকরপুর ছোটো একটি জায়গা, তবে তার সৌন্দর্য্য সত্যিই অনন্য। এইবার আমি শংকরপুর গিয়ে দীঘার থেকেও বেশি সমুদ্রকে উপভোগ করেছি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনারা বীচে ঘুরতে গিয়েছেন। সত্যি বলছি আপনাকে যা অসাধারণ লাগছে না। কোন ছেলে যদি আপনাকে দেখে তাহলে সাথে সাথেই প্রপোজ করে দিবে।🤔 যাই হোক মজা করে বললাম। তবে আপনাদের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। বিশেষ করে সমুদ্রের পাড়ে এ ধরনের মেঘলা ফটোগ্রাফি আমি আগে কখনো দেখেছি বলে, আমার মনে হয় না। তবে আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বেশ ভালই লাগছে। ধন্যবাদ বীচে ঘুরতে যাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
Oh... So nice your travels. Blesses.
TEAM 5
Beautiful photos.