লেখায় সঠিক শব্দ চয়নের প্রয়োজনীয়তা।(The significance of appropriate word selection in writing.)

in Incredible Indialast year
20231212_201321_0000.png

শব্দের ধার তীক্ষ্ণ।

এই কথাটির সাথে আমরা সকলেই অবগত।
শুধু কি এটুকুতেই শব্দ চয়ন আবদ্ধ?

আজকে এরকম বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চলে এসেছি নিজের লেখা নিয়ে আপনাদের মাঝে।
এই প্ল্যাটফর্মে যারা কাজ করেন তাদের মূল বিষয়বস্তু কিন্তু লেখা।
এখন, লিখতে গেলে, নিজের ভাব প্রকাশের ক্ষেত্রে শব্দের প্রয়োজন আছে একথা বলার অপেক্ষা রাখে না।

তবে, শুধু লেখার ক্ষেত্রে নয়, কথা বলার ক্ষেত্রেও সঠিক শব্দ চয়ন বাঞ্ছনীয় বলে আমার মনে হয়।
তাহলে প্রথমে লেখার বিষয় দিয়ে শুরু করা যাক কারণ ব্যাক্তি জীবনে আমরা পৃথক পারিবারিক পরিবেশ, শিক্ষা এবং আদর্শের ক্ষেত্রে।

সেই বিষয়ে অবশেষে নিশ্চই নিজের মতামত পোষণের প্রয়াস করবো, কিন্তু সর্বাগ্রে যেহেতু এখানে আমরা সকলে লেখার সাথে জড়িত, কাজেই সেই বিষয়টি প্রথমে বেছে নিয়েছি।

ভাষা বিভিন্ন, দেশ বিভিন্ন;
তবে, সম ভাষাভাষীর মানুষ ও কিন্তু এখানে উপস্থিত।

কাজেই, আমার ভাষা অর্থাৎ যদি কেবল বাংলা নিয়ে কথা বলি, সেটা পড়ার, বোঝার এবং মতামত পোষণ করার মতন লেখক লেখিকা ও কিন্তু এই প্ল্যাটফর্মে বিদ্যমান।



লেখায় সঠিক শব্দ চয়নের প্রয়োজনীয়তা কি?
  • প্রথমেই যে কারণটা আমার মনে আসছে সেটা হলো লেখার মান নির্ধারণ করে লেখায় ব্যবহৃত শব্দ চয়ন।

  • লেখা সবসময় জ্ঞানমূলক লিখতে হবে এমন কোনো কথা নেই, সাধারণ লেখাকে অসাধারণ করে তোলে সেই লেখায় ব্যবহৃত

    শব্দ।

  • লেখার শব্দ চয়ন দ্বারা একটি ব্যক্তির মানসিক উন্নয়ন নির্ধারিত হয়।

  • লেখার মূল বিষয় যদি বিতর্কিত নাও হয়, তবুও কিছু শব্দের ব্যবহার অন্যের মনে প্রশ্নের উদয় করতে পারে।

  • শব্দের সঠিক প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে আমি একে খাদ্যে ব্যবহৃত নুন এর সাথে তুলনা করবো! দৈনন্দিন খাবার যেমন লবণাক্ত হয়ে গেলে খাওয়া যায় না, ঠিক তেমনি সকল সামগ্রী ব্যবহার করার পরে যদি নুন দিতেই ভুলে যাওয়া হয় খাবারের মধ্যে, তাহলে তার সঠিক স্বাদ যেমন হারিয়ে যাবে; শব্দের ক্ষেত্রেও তাই।

শব্দ সঠিক নির্বাচন খাদ্যের ব্যবহৃত নুন এর মত লেখার মান উন্নয়নে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে।

একটি বাক্যকে সঠিকভাবে উপস্থাপন এবং আকর্ষণীয় করে তোলে সেই বাক্যে উল্লেখিত শব্দ।

এরপর উপরিউক্ত কথার সূত্র ধরে যদি বাস্তবিক জীবনে শব্দের প্রয়োগের কথা বলতে হয়, সেক্ষেত্রেও সঠিক ব্যাক্তি, সঠিক স্থান এবং পরিস্থিতি বুঝে শব্দের প্রয়োগ আমাদের কোথাও অচেনা অজানা মানুষদের সামনে নিজের শিক্ষা, নিজের বেড়ে ওঠার পরিবেশ এবং শালীনতার সংজ্ঞা বহন করে।

love-3124721_1280.webp

Pixabay

সহস্রবার আমি আমার লেখায় উল্লেখ করেছি, আমাদের ব্যবহার, আমাদের পরিচয় বহন করে।
এখন এই ব্যবহার শব্দ ছাড়া অসম্পূর্ণ, এবং একজনের উল্লেখিত শব্দ সেটা কথা বলার সময় বুঝতে সাহায্য করে তার জ্ঞানের পরিধির পাশাপশি তার মানসিকতা।

আপনাদের মধ্যে অনেকেই জানেন আমি লেখা পড়ি এবং সেটা কমিউনিটির ভিতরে অথবা বাইরে যেখানেই হোক না কেনো।

বেশীরভাগ সময় দুটি বিষয় আমাকে মাঝে মধ্যে বিরক্তির মধ্যে ফেলে দেয় এবং ঠিক সেই কারণে আমি কমিউনিটিতে খুব কম সংখ্যক লেখায় মন্তব্য করি।

লেখা সবার মাঝে উপস্থাপনের পূর্বে একবার জোরে জোরে পড়ে দেখবেন একদিন আপনি কোনো মানে খুঁজে পাচ্ছেন কিনা?
আপনার নিজের লেখা আপনার কতটা ভালো লাগছে শুনতে?
লেখায় ভুল থাকলে সেটি শুধরে নেওয়ার অবকাশ পাওয়া যায়।

একই বিষয় বর্তমানে আমার মন্তব্যের ক্ষেত্রেও চোখে পড়ছে।
একটা সহজ বিষয় হলো বাংলা সহ সকল ভাষায় সমার্থক শব্দ আছে।
চলতি ভাষা কখনো লেখায় ব্যবহারের আগে চিন্তা করা উচিত সেই লেখাটি আমরা লিখছি গোটা বিশ্বে নিজের প্রতিচ্ছবি সৃষ্টি করছে।

বাকিটা নিজের নিজের পছন্দ। কিছু জিনিষ আমাদের হাতে না থাকলেও, শব্দের পছন্দ আমাদের ইচ্ছেশক্তি, আমাদের পরিবার সহ সমাজের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদি বহু বিষয়ের নির্দেশক।
ভেবে দেখবেন একবার উল্লেখিত বিষয়টি।

I9Ws6mn5yoT8JYcTf1.gif

6VvuHGsoU2QBt9MXeXNdDuyd4Bmd63j7zJymDTWgdcJjo1R3nByagojBFK9X9VyMfrNoTUUqjGSvWpqdmMgU31CjnNeqLcAbmdrcdhwjg36qCE8hXx2eEL9gcF5xj7.gif

Sort:  

Congratulations!

Your post has been upvoted by @steemladies.
The community where the Steemian ladies can be free to express themselves, be creative, learn from each other, and give support to their fellow lady Steemians.

Manually curated by patjewell for Steem For Ladies

 last year (edited)

কথা বা লেখা দুটোর ক্ষেত্রেই সঠিক শব্দ চয়ন একটা অতিঅবশ্য বিষয়। একটা বাক্যের অর্থ পাল্টে দেয়ার জন্য একটা শব্দই যথেষ্ট।
শুধুমাএ কঠিন শব্দাবলীই যে ব্যবহার করতে হবে এমনও না। সূর্যকে সূর্য লেখলেই চলবে বিভাবসু বা মার্তণ্ড না লিখে,বড়োজোড় রবি লেখা চলে সহজের মাঝে তবে কেউ যদি কঠিন কিছু লিখতে চায়,সে লিখতেই পারে।কিন্তু সূর্যকে যদি কেউ ছুূর্য লেখে তাহলে দুঃখজনক।
আমার মতে এতদিন শব্দ চয়ন ভালো ভাবে শেখার সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হলো অন্যের লেখা পড়া।কিন্তু স্টিমিট প্ল্যাটফরমে যোগ দেয়ার পরে ক্রমশ এই ধারণা পাল্টে যাচ্ছে বাংলা ভাষার দূর্দশা দেখে। অনেকের লেখাই পড়া শুরু করি আগ্রহ নিয়ে কিন্তু কয়েকলাইন পড়ার পরে সেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলি।কোন জায়গায় য় আর কোথায় ই এর ব্যাবহার হবে এটাও যখন নিয়মিত ভুল হতে দেখি তখন দুঃখ লাগে এটা ভেবে যে, এদের হাতেই আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের শিক্ষাব্যবস্থা।
এমন না যে আমি নিজে বিশাল ভাষাবিদ। আমার নিজেরও ভুল হয় নিয়মিত। এর পেছনে অবশ্য একটা বড়ো কারন অলসতা, দ্বিতীয়বার না পড়া। কিন্তু এতটা ভুল হয়তোবা হয় না।
কথ্য ভাষায় আমি বলতেই পারি যে, সকালবেলা ঘুম ভেঙে আমি টিউবওয়েলের ওপর যাই অথবা ছেলাই করা কিংবা করছি। কিন্তু লেখার সময় আমাকে সচেতন হতে হবে যে এই শব্দগুলো আমি লিখবো না বা কোথায় লিখতেছি।গ্রাম্য ভাষা নিয়ে কোন কিছু লিখলে আমি ছেলাই লিখতেই পারি,সেখানে একদম ঠিক আছে ।আমাকে খেয়াল রাখতে হবে যে, যায় আর যাই এর অর্থ এক না।অথচ এই রকম ভুল প্রতিনিয়ত হতে দেখতেছি।
সবচেয়ে খারাপ লাগে যখন দেখি বিশেষ করে কমেন্টগুলোতে।মাঝে মাঝে একেকজনকে দেখি, কি যে লিখছে সেটার অর্থ যদি আমি তাকেও জিজ্ঞেস করি তাহলে সে নিজেও বলতে পারবে না।কমেন্টে আমি নিজেও ফাঁকিবাজী করি।বিশেষ করে ডায়েরি গেমে। কিন্তু বাক্যের অর্থ ঠিক রাখার চেষ্টা করি ।
শব্দ চয়নের এত ভুল আমার কাছে মনে হয়েছে পড়ার অভ্যাস এর অভাবের কারনে।শুধুমাত্র পরীক্ষায় পাশ বাইরে যতদিন কেউ না পড়বে, ততক্ষণ এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠাটা কঠিন বলেই মনে হয় আমার কাছে ।
আসলে এত কিছু লিখলাম সেটা অনেক দিনের জমানো ক্ষোভ কিংবা দুঃখবোধ যেটাই বলি না কেন সেটা থেকেই।
মাঝে মাঝে কিছু কিছু লেখা পড়ে মনে হয়, বাংলার এমন দূর্দশা হবে জানলে ভাষা শহীদরা জীবনবাজী রেখে ভাষার জন্য লড়াই করতেন না।

Posted using SteemPro Mobile

Posted using SteemPro Mobile

Loading...
 last year 

এটা অন্য কেউ করে কিনা আমি ঠিক জানিনা। তবে আমি যখনই আপনার পোস্ট পড়ি তখন আপনার পোস্টে আপনি যে শব্দগুলো ব্যবহার করেন। আমি চেষ্টা করি সেগুলো নিজের ভেতরে আয়ত্ত করার জন্য। কেননা আপনার শব্দ চয়ন আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। এমনকি আমি এই নেটে অনেকটা জায়গায় সার্চ করেছি যে, শব্দ চয়ন কিভাবে করতে হয়। একটা লেখার মধ্যে কিভাবে শব্দ ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় আমি সেটা সঠিকভাবে আয়ত্ত করতে পারি না। সেজন্যই আমি আমার লেখায় শব্দ চয়নের বিষয়টা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি না।

আপনি ঠিকই বলেছেন আমরা আলাদা দেশে বসবাস করি। আলাদা পরিবার থেকে বড় হয়েছি। আলাদা একটা পরিবেশ কিন্তু একটা জায়গায় কাজ করতে গেলে অবশ্যই, আমাদেরকে শব্দ চয়ন করার ব্যাপারে একটু সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত নিজেই যে লেখা প্রকাশ করব। সেটা আগে নিজে ভালোভাবে পড়বো, লেখাটা আমার কাছে কেমন লাগছে, এবং অন্যরা সেটাকে কিভাবে গ্রহণ করবে। সেই বিষয়টা আগে ভালোভাবে দেখে শুনে তারপর লেখা সবার সামনে প্রকাশ করা উচিত। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে শব্দ চয়ন নিয়ে এত সুন্দর একটা টপিক আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য। ইনশাল্লাহ অবশ্যই চেষ্টা করবো নিজের লেখার মধ্যে শব্দের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।

 last year 

আপনি বরাবরই এই কথাটি বলে থাকেন যে আমাদের ব্যবহার আমাদের পরিচয় বহন করে। সত্যিই তাই, একই শব্দকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করলে তার অর্থ ভিন্ন ভিন্ন হয়ে দাঁড়ায়। তাই শব্দচয়নের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা খুবই জরুরী। বাংলা সবাই লিখতে পারে কিন্তু লেখার মান উন্নয়নে কিভাবে শব্দ ব্যবহার করবে এটিতে অনেকেরই দক্ষতার ঘাটতি দেখা যায়। অনেকের ভাবনাটা এরকম লেখার দরকার তাই লিখে দিয়েছি। কিন্তু এতে লেখার সার্থকতা নষ্ট হয়।বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য শব্দের ভান্ডার
রয়েছে। কথায় আছে কোন দেশের গালি তো কোন দেশের বুলি। কিন্তু এইসব এই শব্দগুলোকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে জানাই একজন সুলেখকের বৈশিষ্ট্য। আপনি আপনার বার্তাটি খুব সুন্দর ভাবেই আমাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। খুব ভালো লাগলো পড়ে।

 last year 

বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে এই বিষয়বস্তুটি সময়োপযোগী। কারণ এখানে আমাদের লেখাই আমাদের বড় পরিচয়। কিন্তু সেই লেখাতে মনের ভাব প্রকাশের জন্য প্রয়োজন সঠিক শব্দচয়ন।

বিষয়বস্তু আমরা যে যেটাই নির্বাচন করিনা কেন; সেইটাকে ফুটিয়ে তোলা বা আকর্ষণীয় করার জন্য শব্দচয়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শব্দচয়নের সঠিক ব্যবহার আমাদের লেখার মান উন্নত করার জন্য সবার আগে প্রয়োজন।