ব্যস্ততম শুক্রবার

in আমার বাংলা ব্লগ14 hours ago
ব্যস্ততম শুক্রবার

photo_2024-12-22_00-26-24.jpg

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনার সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনার সবারই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আমিও মোটামুটি ভালো আছি। তবে বর্তমানে ঢাকায়ও প্রচন্ড ঠান্ডা পড়েছে। যার কারণে দুদিন ধরেই মাথা ব্যথা এবং জ্বর কাশির মধ্যেই রয়েছি। এরপরও এই আমাদের ফাইনাল পরীক্ষা চলছে সব মিলিয়ে একটু ব্যস্ততম সময় পার করেছিলাম গতকাল।

শুক্রবারে আমার ফাইনাল পরীক্ষা ছিল তবে একদিনে তিনটি পরীক্ষা দিতে হয়েছে। যেটা আমার জন্য অনেকটাই প্রেসারফুল হয়ে যায়। যার কারণে বৃহস্পতিবার রাতের হ্যাংআউট উপস্থিত থাকতে পারেনি। তারপরও আপনাদেরকে ছাড়া ভালো লাগছিল না বিধায় দুই একবার ঢুকার চেষ্টা করেছিলাম এবং পরবর্তীতে আবার বের হয়ে পড়াশুনা একটু মনোনিবেশ করার চেষ্টা করেছিলাম।

প্রথম পরীক্ষা ছিল সকাল ৮ ঘটিকায় তারপরও সকালবেলা খুব তাড়াতাড়ি উঠে ছিলাম একটু রিভিশন দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। পরবর্তীতে সকাল সাতটার সময় বাসা থেকে বের হয়ে ভার্সিটির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। সেখানে যেতে অবশ্য ৩০ মিনিটের বেশি সময় লেগে যায়। পরবর্তীতে বন্ধুদের সাথে কথাবার্তা বলে প্রথম পরীক্ষা শেষ করলাম।

photo_2024-12-22_00-26-21.jpg

এর আধা ঘন্টা পরে আরো একটি পরীক্ষা ছিল সেটা। শেষ করে লাঞ্চ বিরোতি তে যাই। পরবর্তীতে লাঞ্চের পরে আরো একটি পরীক্ষা ছিল সেসব পরীক্ষা দিয়ে নিজেকে এত বেশি ক্লান্ত লাগছিল মনে হচ্ছিল না আর কিছু করি। কারণ একদিনের তিনটা পরীক্ষা দেওয়া প্রায় ছয় ঘন্টার মত লেখালেখি করাটা খুবই কষ্টকর একটি বিষয় হয়ে ওঠে আমার জন্য।

যেহেতু কালকে ফাইনাল পরীক্ষা ছিল এবং শেষ পরীক্ষাগুলো দিয়ে আসলাম। তাই বন্ধুরা সবাই মিলে বলল যেহেতু এক দেড় মাসের মতো দেখা হবে না তাই সবাই মিলে একটু আড্ডা দেই। আমাদের ভার্সিটির পাশেই একটি লেকে বসে আমরা আড্ডা দিয়েছিলাম। সেটা গুলশানের লেক বলে যেটা আমাদের ভার্সিটি গুলশানের খুব পাশেই অবস্থিত।

সবার সাথে আড্ডা দিয়ে বাসায় ঢুকতে ঢুকতেই প্রায় রাত দশটা বেজে যায়। এরপরেও কমিউনিটির বেশ কিছু কাজ ছিল সব কিছু কাজ শেষ করে রাতের বেলা ঘুমোতে ঘুমোতে রাত একটা বেজে যায়। অনেকটা ক্লান্ত লাগছিল তাই আর বেশি কিছু করা হয় নি। কালকে এতটাই ক্লান্ত লাগছিল অনেকদিন পরে মনে হয় একটু ভালো ঘুম হয়েছে গত রাতে। সব মিলিয়ে অনেকটা ব্যস্ততম সময় পার করেছি। যাইহোক আজকের মত এখানেই শেষ করছি, আপনাদের ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।

PUSS_gif.gif


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png



Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png


photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

photo_2021-06-28_11-13-39.jpg

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif



বিষয়: ব্যস্ততম শুক্রবার

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......

Sort:  
 13 hours ago 

একদিনে তিনটা পরীক্ষা দেওয়াটা বেশ কঠিন একটি কাজ। যাইহোক পরীক্ষার ঝামেলা শেষ হলো তাহলে। বরাবরের মতো এই শুক্রবারেও বেশ ব্যস্ত ছিলেন দেখছি। এইবার আসলে সারাদেশের সব জায়গায় কমবেশি ঠান্ডা পড়েছে। সাবধানে থাকবেন ভাই। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 12 hours ago 

আজ বেশ ঠান্ডা পরেছে ঢাকাতেও। একফোটা রোদের দেখা নেই, সাথে কেমন মেঘলা কুয়াশাচ্ছন্ন ওয়েদার। এর মাঝে একই দিনে পর পর তিন টি এমন গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা দেয়াটা আসলেই অনেক চাপের হয়ে যায়। কারণ ছয় ঘন্টা লিখে কি আর হাত চলে নাকি!! তারউপর পরীক্ষা মানেই এক্সট্রা প্রেসার!! তবে আশা করছি পরীক্ষার রেজাল্ট ভালোই আসবে। শুভকামনা রইলো।

 1 hour ago 

একদিনে একের অধিক পরীক্ষা থাকলে সত্যি সেটা খুব চাপের। পরীক্ষা জিনিস তাইতো চাপের তারপর আবার এক দিনে তিনটা পরীক্ষা বিষয়টা ভাবতেই তো জটিল লাগছে। সব ব্যস্ততার মধ্যেও নিজেকে সময় দিতে হবে এবং সুস্থ থাকাটা জরুরী ভাইয়া।