কক্সবাজার ভ্রমণ (পর্ব ৫)
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনার সবাই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়লার অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি। গত পোস্টে কক্সবাজারের চতুর্থতম পর্ব আপনাদের সাথে আমি শেয়ার করে নিয়েছি। আজ তার এই ধারাবাহিকতায় পরবর্তী পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেব, তবে চলুন শুরু করা যাক।
তো কক্সবাজারের থাকার দ্বিতীয় দিনে আমরা সবাই মিলে চিন্তাভাবনা করলাম আশেপাশের কিছু জায়গাগুলোতে ঘুরে আসা যাক। কারণ এখানে আসার পর থেকে শুধুমাত্র সমুদ্রে গোসল করা ছাড়া আর খাওয়া-দাওয়া করা ছাড়া তেমন কোথাও আমরা ঘুরতে যাইনি। তখন পর্যন্ত পরবর্তীতে আমরা ঠিক করলাম ইনানী বিচে যাব। যেহেতু লাবনী বীচ থেকে দূরত্ব অনেক বেশি তাই আমরাও সেখানে যাওয়ার জন্য একটি গাড়ি ঠিক করে নিলাম। পরবর্তীতে সেখানে যেতে উপায় এক ঘন্টার মধ্যে বেশি সময় লেগেছে।
এদিকে আবার শীতকাল তাই খুব তাড়াতাড়ি সন্ধা নেমে আসে। সেখানে গিয়ে মনে হয় আধা ঘন্টাও আমরা বেশি ঘোরাঘুরি করতে পারেনি। এর মধ্যেই মাগরিবের আজান দিয়ে দেয়। আপনারা যারা কক্সবাজার ভ্রমণ করেছেন তারা জানেন ইনানী বিচর সন্ধা হওয়ার পরপরই শ্মশানে পরিণত হয়ে যায় অর্থাৎ সেখানে আর কেউ ঘোরাঘুরি করে না, বিচটা অনেকটাই নীরব থাকে। সেখানে বেশ কয়েকটি ছবি তোলার চেষ্টা করেছি। পরবর্তীতে সেখান থেকে আমরাও বের হয়ে আসছি। কারণ জায়গাটা এতটাই নিরিবিলি হয়ে যাচ্ছিল যেটা আমাদের কাছেও একটু আতঙ্কের বিষয় বলে মনে হয়েছে। পরবর্তীতে সেখানেই একটি রেস্টুরেন্টে বসে বিকালের নাস্তা করে নিলাম, এরপরে আবারো আমরা আমাদের আসল গন্তব্যের দিকে ধাবিত হলাম।
যেহেতু পরবর্তী দিন আমরা চলে যাব তাই চিন্তা করছিলাম আজকের দিনটা একটু এনজয় করে নিব। আমরা যেই হোটেলে উঠেছিলাম সেখানে আবার বিভিন্ন ধরনের শিল্পীরা সন্ধ্যার পরে গান করে। সেখানে বসেই আমরা চা কফি খাচ্ছিলাম এবং সে সব গানগুলো উপভোগ করছিলাম। সেখানে একটি গানের জন্য রিকোয়েস্ট করলাম, তিনি চমৎকারভাবে সেই গানটি গাইলো এবং আমাদের সকলকে অনেকটাই এন্টারটেইন করলো। এই বিষয়গুলো আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।
কক্সবাজার ভ্রমণের এই বিষয়গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। সমুদ্রের গর্জন, সমুদ্রের পাড়ে গিয়ে বসে থাকা এবং সমুদ্রের সাথে কথা বলা। এই বিষয়গুলো আমি অনেক বেশি ফিল করি। আমাদের মানুষের অস্তিত্ব কোথায় সমুদ্রের কাছে এই বিষয়টিও আমার কাছে মাঝে মাঝে মনে হয়। সবকিছু মিলিয়ে এই কক্সবাজার ভ্রমণটা আমার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে পরিণত হয়েছে। বাকি সব বিষয়গুলো পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে আলোচনা করে নেব। আজকের মত এখানেই শেষ করছি আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: কক্সবাজার ভ্রমণ (পর্ব ৫)
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......
কক্সবাজার ভ্রমণের প্রতিটি পর্ব দেখে ভীষণ ভালো লাগছে ভাই। ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে বেশ মজা করেছেন আপনারা। আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে সন্ধ্যার পর সমুদ্র সৈকতে সময় কাটাতে। কারণ সমুদ্রের গর্জন তখন দারুণভাবে উপভোগ করা যায়। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
কক্সবাজার ভ্রমণের প্রতিটা পর্বই বেশ ভালো লাগছে। আমি মনে হয় আগের পর্বটা মিস করে গেছি। ওদেশে কক্সবাজার খুব বিখ্যাত সবার পোস্টেই দেখি প্রায়। বিচে তাড়াতাড়ি সন্ধ্যে নেমে গেলেও মানুষজন থাকে না এই বিষয়টা আমাকে বেশ অবাক করেছে। আমি এরকম কোন বিচ দেখিনি বা শুনিওনি। এরকমটা হবার আলাদা কোনো কারণ আছে কি?
সব বিচে এমন হয় না, শুধু ইনানী বিচে এমন টা হয়। আমরা ছিলাম লবনী বিচে সেখানে প্রায় সারা রাতেই মানুষ থাকে। ইনানি বিচ শহর থেকে অনেকটা দূরে এবং তার আশেপাশে তেমন কোন হোটেল কিংবা রেস্টুরেন্ট নেই থাকার জন্য এবং যতগুলো রেস্টুরেন্ট কিংবা হোটেল রয়েছে সেটা ইনানী বিচ থেকে অনেকটাই বেশি দূরে। তাই এমনটা হয়।