কক্সবাজার ভ্রমণ (পর্ব ৪)
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনার সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি। যেটা আসলে বর্তমানে প্রত্যেকেই শেষ করছে। তাছাড়া মোটামুটি আলহামদুলিল্লাহ ভালোই আছি গত পর্বে কক্সবাজার ভ্রমণের ৩য় পর্ব আপনাদের সাথে আলোচনা করেছি। আজকে এরপরের পর্ব আলোচনা করতে যাচ্ছি।
কক্সবাজারে আমরা দুইদিন ছিলাম। তবে দুই দিনে খুব বেশি একটা ঘুরে বেড়াতে পারেনি। কারণ আমার সাথে যারা গিয়েছিল তারা সে বেশিরভাগ সময় ঘুমিয়ে কাটিয়ে ছিল, কেন ঘুমিয়ে ছিল এত তা আমি সঠিকটা বলতে পারতেছি না। তবে তারা আসলে এতটাই জীবনের সাথে যুদ্ধ করছিল, তার জন্য হয়তো তাদের একটু বিশ্রাম ভালোই প্রয়োজন ছিল। প্রথম দিন রাতে আমরা সকলে মিলে অনেক আড্ডা দিয়েছি। যেহেতু আমাদের রুম থেকেই কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত দেখা যায় সেহেতু সেই জানালার সাথে বসি আমরা সকলে মিলে আড্ডা দিয়েছি। অনেক গল্প গুজব করেছি, বেশ ভালো সময় দিতে বলেছি পরবর্তী দিন সকালে উঠেই নাস্তা করতে গিয়েছিলাম আরো একটি রেস্টুরেন্টে।
নাস্তা করে এসে আবার রুমে বেশি কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়েছি। এরপরেই সেই সমুদ্র সৈকতের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে অর্থাৎ গোসলের জন্য একদম পর্যাপ্ত তাপমাত্রা ছিল। পরবর্তীতে আমরা সবাই আবারো সেই সমুদ্র সৈকতে গোসলের জন্য এনেছিলাম। সেদিন একটু বেশি সময় সমুদ্র সৈকতেই কাটিয়েছিলাম কারণ প্রত্যেকটা ঢেউ এর সাথে আলাদা একটি এনজয়মেন্ট উপভোগ করতে পেরেছি। যেটা আসলে অন্য কোন সময় অন্য কোন কোথাও পাওয়া সম্ভব নয়।
আমি সাধারণত সাঁতার পারি না, তাই একটি টিউবের মাঝেই বেশি দূর না গিয়েই সে সমুদ্রের ঢেউগুলো উপভোগ করার চেষ্টা করছিলাম। সেটা আসলে অসম্ভব সুন্দর একটি মুহূর্ত। আপনারা যারা সমুদ্র সৈকতে গিয়েছেন এবং গোসল করেছেন শুধু তাই সেটা অনুভব করতে পারবেন। পরবর্তীতে দুপুরের পর সেখান থেকে উঠে আসে আমরা অনেক ক্ষুদা ও লেগেছিল এবং আমরাও ভাবছিলাম যেহেতু পরের দিন আমরা সকলেই চলে যাব ঢাকার উদ্দেশ্যে সেহেতু আজকে একটু ঘুরাঘুরি করা উচিত। তাই সবাই রেডি হয়ে বের হয়ে প্রথমে আগে লাবনী পয়েন্টে গেলাম। সেখানে চমৎকার একটি পয়েন্ট রয়েছে এবং সেখানেই সবাই মূলত সমুদ্র সৈকতে ভিজিট করতে যায়। সেখানেই ভালো ভালো রেস্টুরেন্ট রয়েছে সেখানেই লাঞ্চ করে, সেই বিচে বেশ কিছুক্ষণ সময় অতিবাহিত করলাম এরপরে একটি গাড়ি ঠিক করে আমরা সকলে চলে গেলাম ইনানী বিচের উদ্দেশ্যে।
লাবনী পয়েন্টের চেয়ে ইনানী বিচে অনেক বেশি বড় হচ্ছেইনানী বীচ। বীচে থেকে লাবনী বিচের দূরুত্ব বেশ খানিকটা। সেখানে যেতেও প্রায় এক ঘন্টার মত সময় লেগেছে। তবে সেখানে গিয়েও মজার মজার ঘটনা ঘটেছিল। সেগুলো হয়তো আর নেক্সট পর্বে আপনাদের সাথে আলোচনা করে নেব। আজকের মত এখানেই শেষ করছি আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: কক্সবাজার ভ্রমণ (পর্ব ৪)
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......
সন্ধ্যাবেলা সমুদ্র সৈকতের ছবি দারুণ সুন্দর লাগলো। তবে বেড়াতে গিয়ে ঘুমিয়ে কাটালে খুব বিরক্ত লাগে। ঘুরতে যাওয়া ঘুরে বেড়ানোর জন্য। ঘুমোনোর জন্য তো ঘর আছেই। আমি তো কোথাও ঘুরতে গেলে সারাক্ষণ একা একাই বেরিয়ে যাই। আমার অন্য জায়গা দেখতে খুব ভালো লাগে। তবে তোমার কক্সবাজার ভ্রমণ খুব ভালো হয়েছে এটা বেশ বুঝতে পারি।
কক্সবাজারের ইনানী বিচটা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া পাটুয়ারটেক বিচটাও খুব সুন্দর। যাইহোক কক্সবাজারে এবার অল্প সময়ের জন্য গেলেও, মোটামুটি ভালোই মজা করেছেন তাহলে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।