সত্যি আমরা দিন দিন জড় হয়ে যাচ্ছি।।জানুয়ারি ২০২১।।
বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভালো আছেন সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভ কামনা জানিয়ে আমি আজকে আমার লেখা শুরু করছি।বন্ধুরা আজকে আমি কয়েকটি ছবি শেয়ারের মধ্যে কিছু কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাইছি।আমরা সবাই জানি সারা পৃথিবী জুড়ে একটা ভয়ানক মহামারি চলছে।প্রথম ঢেউ তারপর দ্বিতীয় ঢেউ একেবারে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে পৃথিবীর সামগ্রিক অবস্থা কে।
চারিদিকে যেমন শোনা গেছে সজন হারানোর যন্ত্রনা তেমনি দেখা দিয়েছে দেশ জুড়ে ব্যাপক অর্থনৈতিক দুরবস্থা।এতো বিপর্যয়ের পর ও প্রত্যেকটি দেশ একটু একটু করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।মোটামুটি ভারতবর্ষ ও একটু একটু স্বাভাবিক হয়ে উঠছে।বেশ কয়েক মাস ধরে করোনা ভালোই নিয়ন্ত্রিত ছিল আমাদের দেশে।কিন্তু মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে এখন দেশে করোনার অবস্থা খুবই খারাপ ও অত্যন্ত উদ্বেগজনক।এই হঠাৎ করে করোনার এতো বেড়ে যাওয়ার কারণ কি?
এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া খুবই কঠিন।তবে কিছু বিষয় হয়তো না করলে ও চলতো।এই বিষয় গুলোর জন্য যদি করোনার এই ভয়াবহতা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আমি দায়ী করবো এই সব শিক্ষিত অবিবেচক মানুষ গুলো কে।যারা ২৫ শে ডিসেম্বর জড়ো হয়েছিলো পার্ক স্ট্রিট শুধু হেঁটে বেড়াতে আর সেলফি তুলতে।পার্ক স্ট্রিটের জন জোয়ার দেখে মনে হয়েছিল প্রভু যীশু একমাত্র পার্ক স্ট্রিটে জন্ম গ্রহন করেছিলেন।
যেখানে সারা পৃথিবীতে ক্রিসমাস মানুষ ঘরে ঘরে উদযাপন করে সেখানে এই কিছু অদ্ভুত মানুষ পার্ক স্ট্রিটে কি যে মজা করলো কিছুই বুঝলাম না।করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যে ভাবে হাহাকার সৃষ্টি করেছিলে তা দেখে ও ভুক্তভোগী হয়েও এই মানুষ গুলোর হুশ হলো না,সেটাই ভাবতে আমার খুব অবাক লাগে।
দুই দিন আগে গেছিলাম হাঁস কিনতে।প্রায় ২ মাস হলো বিশেষ কাজে দিল্লি তে ছিলাম।তাই ফিরেই একটু খাওয়া দাওয়া শুরু করলাম।তারই ধারাবাহিকতায় গেছিলাম নিউ ব্যারাকপুরের তালবান্ধায় হাঁস কিনতে।সেখানে যে মাছ ও সবজি বাজার ছিলো সেখানে বিক্রেতা ও ক্রেতার অধিকাংশের মুখে মাস্কই ছিলো না।নিজেদের ও অন্যের সুরক্ষার প্রতি তাদের কোনো সচেতনতা নেই।জীবন এদের কাছে মূল্যহীন নাকি এরাই অবাধ্য ও অবিবেচক?বিচার আপনাদের কাছে।
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working.
Discord
দাদা আপনি ঠিকই বলেছেন আমরা দিনে দিনে জড় হয়ে যাচ্ছি। আমাদের অসচেতনতার কারণে দিনে দিনে করোনাভাইরাস আবারো বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা যদি সচেতন না হই তাহলে আরও ভয়াবহ রূপ নিবে করোনাভাইরাস। সত্যি কথা বলতে আমরা সব কিছুতেই অনেক বেশি অবহেলা করছি। এর আগে যখন পুরো বিশ্ব করোনাভাইসের প্রকোপে থমকে দাঁড়িয়েছিল তখন আমরা একটু হলেও সচেতন ছিলাম কিন্তু বর্তমানের প্রেক্ষাপটে দেখা যাচ্ছে যে প্রতিটি মানুষ অসচেতনতার সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে। জানিনা সামনে কী বিপর্যয় অপেক্ষা করছে। তবে সবাইকে এখন থেকে সচেতন হওয়া উচিত। তাহলে হয়তো সেই ভয়াবহতা থেকে আমরা নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারব।
দাদা,আপনি ঠিক বলেছেন দিনে দিনে যেন জরতা বেড়েই চলেছে। করোনার ভয়াবহ তান্ডব পৃথিবী কে ধ্বংস করে দিয়েছে।পৃথিবীর প্রতিটা দেশ অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে।এখন অবশ্য কিছুটা অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে প্রতিটা দেশি ঘুরে দাঁড়িয়েছে।তবে মানুষের খামখেয়ালীর কারণে আবার করোনার তৃতীয় ঢেউ নতুন নতুন দেশকে আক্রান্ত করে যাচ্ছে।টেলিভিশনে দেখছি প্রতিনিয়ত নতুন নতুন দেশ করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত হচ্ছে।আমরা কিছু সংখ্যক মানুষ সচেতন হলে কি হবে?প্রতিনিয়ত মানুষ অসচেতনতাই ঘোরাফেরা করছে মুখে মাক্স ব্যবহার করছে না।তবে ভাইয়া আপনাদের ইন্ডিয়া অবস্থা খুবই খারাপ ছিল করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আমার অনেক আপন মানুষকে হারিয়ে গেছে এই দিনগুলোর কথা মনে হলে এখনো বুক কেঁপে ওঠে।তাই প্রতিটা মানুষেরই সচেতন হয়ে চলার খুব দরকার।আর যেন কেউ তার আপন মানুষকে হারিয়ে কষ্ট না পাই।অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
হ্যা,দাদা মানুষ প্রথম প্রথম যাই একটু মাস্ক পরতো,আর মোটামুটি সাবধানে চলতো।এটলিস্ট কিছুটা ভয় পেতো ।এখনত মানুষ মাস্ক পরবে তো দূরের কথা,কোন ভয়েই পায় না।বাংলাদেশেও তো বাহিরে গেলে দেখা যায়,অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক থাকে না।যদিও জিজ্ঞেস করা হয় মাস্ক কোথায়?তাহলে তারা এক কথায় উওর দেয় কিসের করোনা,করোনা বলে কিছু নাই। 🤔🤔।আসলে আমরা মানুষেরা নিজেরা বিপদে না পরলে বুঝিই না,বিপদ কি জিনিস।পরিশেষে এটাই বলা যায়,আমাদের সকলের সচেতন হওয়া উচিত। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
জ্বী দাদা আমাদের কিছু কিছু ভুলের কারণে অনেক মাশুল দিতে হচ্ছে, তারপর ও আমরা শিক্ষা পাই না।কিছু কিছু মানুষ জাতি খুবই বেহায়া এদের কোন জ্ঞান বুদ্ধি নাই বললেই চলে।সর্বশেষ বলব আল্লাহ সবাইকে বুঝার তৌফিক দিক এবং সবাইকে হেফাজতে রাখুক।
জী দাদা আপনি ঠিক এ বলেছেন। আমাদের নিজের অবহেলার কারণে নিজেরায় অনেক বিপদের মুখোমুখি হতে হইতেছে। যদি আমরা সাবধানতা অবলম্বন করি। তাহলে নিজেরা একটু হলেও বিপদের মুখ থেকে রক্ষা পাবো। কিন্তু সেটাতে আমরা অবহেলা প্রকাশ করতেছি। তাছাড়া আপনি আমাদের সামনে সুন্দর একটি পোস্ট তুলে ধরেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো দাদা,,,❤️❤️❤️
দাদা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপনি। ২০২০ এবং ২০২১ সাল করোনা এত ভয়াবহ পরিস্থিতি যাওয়ার পরও মানুষের মধ্যে এতটুকু সচেতনতাবোধ আসেনি বরং সেটা কে ভুলে যায়। এখন থেকে যদি সচেতন না হওয়া যায় তাহলে হয়তো ২০২২ সালে আমাদের জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করতেছে।
দাদা আপনার পোস্টটি বলে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনার পোস্টটিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো আপনি উপস্থাপন করেছেন। সত্যি আমরা দিন দিন জড়তার মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছি। আর কিছু কিছু ভুলের জন্য আমাদের মাশুল গুনতে হচ্ছে। ক্রিসমাস উপলক্ষ্যে অনেক মানুষ বিভিন্ন পার্কে বিভিন্ন রকমের আড্ডাবাজি করেছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের এই মহামারীর সময় এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সময়োপযোগী একটি অসাধারন সুন্দর পোস্ট উপহার দেয়ার জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
দাদা ঠিকই বলেছেন। আমরা ভুলেই গিয়েছি করোনার কথা। আসলে আমরা নিয়মকানুন মানার ব্যাপারে বরাবরই উদাসীন। দীর্ঘদিন বাড়ির বাইরে থাকার জন্য আপনার খাওয়া-দাওয়া মন মতো হয়নাই মনে হচ্ছে। এইজন্যই বাড়ি ফিরে পছন্দের খাবার এর দিকে মনোযোগ দিয়েছেন। এই সময়ে নাকি হাঁসের মাংস বেশি মজা লাগে?
হ্যাঁ শীতকালে হাঁসের মাংস মজা বেশি।
এমন দৃশ্য হরহামেশাই ভাই , শুধু পার্ক স্ট্রিট নয় / এই পাড়ের অবস্থা আরও করুন ভাই ।। কেউ বোঝে না,বুঝতেও চায় না, খালি তর্ক করতে পারলেই হলো ?? তবে আপনার কনসেপ্ট ভালো ছিল, সময় উপযোগী পোস্ট ।। নিরাপদে থাকুন, সুস্থ থাকুন ভাই ☺❤🙏
একটি খুব আকর্ষণীয় কন্টেন্ট দেখা এবং পড়তে হবে, ছবি এছাড়াও চমৎকার, ভাগ করার জন্য ধন্যবাদ