যে মানুষ সবার উন্নতিতে নিয়োজিত সে হয় অবহেলিত,আর যে মানুষ স্বার্থ নিয়ে মগ্ন, সে সবদিকে পরিপূর্ণ।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
আজকের কথাগুলো হয়তো অনেকের সাথে মিলে যাবে। কারণ এগুলোই এখন বাস্তব সত্য।সবাই স্বার্থহীনকে যাতাকলে পিষে যায়, আর স্বার্থপরকে ভয় পায়। কেন?এটা কেনই বা সবার জীবনে এত বেশি প্রভাবিত। যাইহোক, জীবনের স্বল্প সময়েই যতটুকু অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি সেটা হয়তো অনেকে সারাজীবনেও অর্জন করতে পারে না।জ্ঞানের কথা নয়,বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতার কথা বলছি।
একজন মানুষ দিয়ে যেহেতু বিষয়টা বিবেচনা করা যায় না তাই এখানে দুটি সত্বাকে যোগ করতেই হবে। কারণ এটা যেহেতু বিপরীত চরিত্রের মধ্যকার সম্পর্ক তাই বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে দুটো সত্বাকেই প্রয়োজন।এই যে, একটু লক্ষ্য করলেই বিষয়গুলো উপলব্ধি করতে পারবেন।ধরুন আপনি আপনার সাধ্যমত সবার জন্য কিছু করছেন। আপনি সবার জন্যই চিন্তা করেন। কিন্তু এই যে আপনি সবার জন্য করেই যাচ্ছেন এটাকে সবাই আপনার দুর্বলতা ভাবে।আর এভাবেই আপনাকে বাধ্য করে আপনার অসময়েও তাদের জন্য সব করতে।
আবার এমন ব্যক্তিও আছে যে কিনা সবসময় আত্মকেন্দিক হয়। কারো কথা চিন্তা করে না।কে কি খেয়েছে, না কি খায়নি। কিন্তু সে খাওয়ার সময় আপনার কথা চিন্তা করবে না।তার কথা হলো তার খাওয়া দরকার সে খাবে,তার পাওয়া দরকার সে কেড়ে নেবে, তার চাহিদা থাকবেই কিন্তু কারো প্রতি মায়া থাকবে না।অন্যের সাথে কোনো কিছু ভাগ করে নেয়ার যে আনন্দ সেটা সে বোঝে না।সে বোঝে শুধু আপন পেট ভরাতে আর আপন স্বার্থ উদ্ধার করতে।আপনি কখনোই আপনার দুঃখের সময়ে তাকে পাবেন না।কিন্তু আপনি যদি তার দুঃখের সময়ে থাকেনও তবুও আপনাকে বিভিন্নভাবে খোঁটা দিবে।
মূলত স্বার্থহীন মানুষ চায় সে যাদেরকে ঘিরে আছে, কে তার পাশে আছে সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে। সে ১০ টাকা পেলে ১০ জনকে নিয়েই খেতে চায়। এভাবে প্রতিটা ক্ষেত্রেই সে সবাইকে ভালো রাখার এবং খুশি রাখার চেষ্টা করে।শুধুমাত্র সেটাই নয়,সে চায় সবার প্রতি তার দায়িত্বের যেন কমতি না হয়। এভাবে সে সদা সর্বদা-ই সবার জন্য নিজেকে নিয়োজিত রাখে। কিন্তু ক্ষেত্র বিবেচনায় তাকেই অপবাদ পেতে হয়,দায়িত্ব পালন করেও শুনতে হয় অনেক কথা। তার উপরই যত জুলুম, তার প্রতিই যত অন্যায়,তার প্রতিই যত সব অত্যাচার।
আর স্বার্থপর মানুষ তো নিজেকে নিয়ে ভালো থাকে।কারো প্রতি যে তার দায়িত্ব আছে সেটা সে ভুলে যায়। সে নিজেকেই স্বাবলম্বী করতে ব্যস্ত। সে নিজের স্বয়ংসম্পূর্ণতা চায়, কিন্তু কারো প্রতি তার দয়া মায়া,আন্তরিকতা দেখায় না।এমনকি সে তার দায়িত্বও ভুলে যায়। আবার তার বিপরীতে স্বার্থহীনকেও দোষারোপ করে।স্বার্থহীনকেই সে স্বার্থপর বলে,দায়িত্ব পালন করাটাও তার কাছে স্বার্থের মনে হয়। যে স্বার্থপর সে অন্যের সকল কাজকেই স্বার্থের জন্য করা বুঝবে।
যাইহোক এমন চিত্র দেখতে দেখতে জীবনে ব্যাপক অভিজ্ঞতা হলো।এমন অনেক মানুষ জীবনে দেখেছি, যে নিজের শিকড় ভুলে গিয়ে অন্য শিকড়ে নিজেকে গড়ে তুলে।যে ভালোটা ত্যাগ করে মিথ্যের পথে হাটে।যে কিনা স্বার্থহীন না হয়ে স্বার্থপরের মত সবকিছুকেই নিজের মত মনে করে।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/bristy110/status/1807276645814022451
আসলে এখন মানুষের সাহায্য করলে নিজেকেই অনেক বেশি অবহেলিত হওয়া লাগে। কারণ মানুষ সেই সাহায্যের মূল্যটাই এখন দিতে পারেনা। কিন্তু যে মানুষগুলো নিজের স্বার্থ নিয়ে সবসময় চিন্তিত থাকে, সেই মানুষগুলো সব দিক দিয়েই পরিপূর্ণতা পায়। আর এটা একেবারে বাস্তবিক এবং সত্য কথা। আমাদের আশেপাশে আমরা লক্ষ্য করলেই এরকম বিষয়গুলো দেখতে পাবো। অনেক বেশী সুন্দর করে লিখেছেন আপু আপনি এই লেখাগুলো। আমার কাছে আপনার লেখা পোস্টটা অনেক বেশি ভালো লেগেছে পড়তে।
যারা এইরকম পরিস্থিতিতে পড়ে তারাই বুঝে আসলে বিষয়টা কতটা কষ্টদায়ক।স্বার্থপর মানুষরা দিনশেষে সুখেই থাকে।
পৃথিবীটা এমনই আপু যারা সবার চিন্তা করেন আসলে তারাই সবচেয়ে বেশি অবহেলিত হয়। দিনশেষে দেখবেন সেসব মানুষরা ঠকে বেশি। আবার যারা স্বার্থপরের মত নিজেকে নিয়ে মগ্ন থাকেন তারা সবচেয়ে বেশি সুখী হয়। কারণ তারা এদিক ওদিক মাথা ব্যাথা করে না নিজের চিন্তা নিয়ে পড়ে থাকেন। দিনশেষে দেখবেন তারা আর্থিকভাবে সুখী এবং মানসিকভাবে সুখী। সবচেয়ে তারা বেশি পদদলিত হয় যারা সবার কথা চিন্তা করেন।
জি আপু।তবুও চিন্তা করি এই দুই দিনের দুনিয়ায় স্বার্থপর হয়ে লাভ কি।পরকালে তো শাস্তি পেতেই হবে।
আসলে এখন আমাদের এই পৃথিবীর মানুষগুলো এরকমই হয়ে গিয়েছে। মানুষ এখন তাকে বেশি মূল্য দেয় না যে তাদেরকে সাহায্য করে। তারা তো এখন সেই মানুষকে অবহেলা টাই বেশি করে। মানুষের ভালো যে মানুষ চিন্তা করে, সেই মানুষ দিন শেষে কি পায়?? অবহেলা ছাড়া আর কিছুই পায় না। কিন্তু স্বার্থপর মানুষগুলোই দিনশেষে ভালো থাকে। এখন এরকমটাই বেশি দেখা যায়। বাস্তবিক কথা নিয়ে লিখেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো আপু।
একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাইয়া।সাহায্যকারীকে একটা সময় তুচ্ছ মনে হয় স্বার্থপরদের কাছে।স্বার্থ উদ্ধার হলেই তারা নিজেদেরকে অনেক কিছু মনে করে।
আপনার লেখাটি খুবই গভীর এবং বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে সাজানো। স্বার্থহীন এবং স্বার্থপর মানুষের পার্থক্য এতটাই স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন যে, তা মনকে গভীরভাবে ভাবিয়ে তুলেছে। স্বার্থহীন মানুষের আত্মত্যাগ এবং অন্যদের জন্য নিরলস প্রচেষ্টা আর স্বার্থপর মানুষের স্বকেন্দ্রিকতা ও তাদের ব্যবহারে যে বৈপরীত্য, তা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক ও শিক্ষণীয়। জীবনকে এত সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করে বাস্তব সত্য তুলে ধরার জন্য আপনার লেখনী প্রশংসার দাবিদার। আশা করছি, ভবিষ্যতেও এমন গভীরতর লেখায় আপনাদের অভিজ্ঞতা ও চিন্তাধারার প্রতিফলন পাবো। ধন্যবাদ।
[@redwanhossain]
আপনার মন্তব্যটা মন ছুঁয়ে গেল। আসলে কথাগুলো আমার মনের কথার বিকল্প হিসেবে প্রকাশ করেছেন।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু।আসলেই যে মানুষ অন্যের উন্নতিতে নিয়োজিত হয় সে সবসময় অবহেলিত হয়ে থাকে।অন্যদিকে যে নিজের স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত সে পরিপূর্ণ থাকে সবসময়।টপিক নির্বাচন অনেক সুন্দর ছিল।ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
যতই স্বার্থবাদী হোক পরপারে শান্তি হবে না।তাই নিজেকে যতটা নিঃস্বার্থভাবে তৈরি করা যায়।