বৃদ্ধবয়স যেনো অভিশাপ

আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আমার আশেপাশের কিছু কিছু মানুষকে দেখলে নিজেকে এতো বেশি অসহায় মনে হয় এবং তখন নিজের অজান্তেই সৃষ্টিকর্তাকে এটাই হয়তো বলে বসি যে, সৃষ্টিকর্তা যেনো নিজের শরীরের শক্তি থাকতে থাকতেই আমাকে তার নিজের কাছে ডেকে নেয়। কারণ বৃদ্ধ বয়সটা এতো ভয়ঙ্কর মনে হয় আমার কাছে। তার কিন্তু অনেক কারণ ও আছে। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি। অর্থাৎ আমার মনের কথাগুলো।

বৃদ্ধ বয়সটাকে আমার অভিশাপ মনে হওয়ার একটা মাত্র কারণ হলো, এই বয়সটাতে সবকিছু নিজে নিজে করা সম্ভব হয় না। ছোটবেলায় ও সবকিছু নিজে নিজে করা সম্ভব হতো না কিন্তু তখন বাবা-মা একেবারে ঢাল হয়ে আমাদের কে আগলে রাখে। কিন্তু বৃদ্ধ হওয়ার পরে সেই চিত্রটা অনেকটা বদলে যায়। অর্থাৎ এই চিত্রটায় আসলে ওই যে প্রতিরক্ষা হয়ে কেউ থাকবে, এমন খুব কম মানুষই পাওয়া যায়।

আরো একটি বড় ব্যাপার হলো, এই বয়সটাতে সব সময় অন্যের উপরে নির্ভর করে থাকতে হয়। শুধু তাই নয়, তখন নিজের শরীরটাও আসলে নিজের সাথ দেয় না। এটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় ভয়ংকর মনে হয়। কারণ এই যে দেখুন, আপনি নিজেকে চালিয়ে নিতে পারছেব না। আপনার মন একটা ব্যাপার বলছে কিন্তু আপনি শুধুমাত্র আপনার শরীরের জন্য কিংবা আর্থিক অবস্থার জন্য ওই ব্যাপারটি করতে পারছেন না। আমার কাছে এটা অনেক বেশি ভয়ংকর মনে হয়।

হয়তো অনেক বৃদ্ধবৃদ্ধারাই এই বয়সটাকে অনেক এনজয় করতে পারে। কিন্তু তার জন্য আসলে তার পরিবেশটাও তেমন লাগে। কিন্তু বর্তমানে সেই পরিবেশটা আমরা খুব একটা দেখতে পারি না। কারণ বর্তমানে ভালোবাসার পরিমাণটা এতোটাই কমে গিয়েছে এবং স্বার্থপরতার পরিমাণ এতোটাই বেড়ে গিয়েছে যে, মায়া মহব্বত এসব খুব কমই দেখা যায়। তাই যখন একটা মানুষ বৃদ্ধ হয়ে যায়। তখন সে অনেকটা একা হয়ে পরে। আর আমরা এটা সকলেই জানি যে, সবকিছুর চেয়ে ভয়ংকর একটি ব্যাপার হলো, একাকিত্বে শেষ জীবনটা পার করা। আর আমরা কেউই জানিনা যে, আমাদের ওই বয়সটাতে আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে। কারণ এখন যদি আমাদের সাথে কেউ নাও থাকে। তাও আমরা বিভিন্ন কাজে নিজেদেরকে ব্যস্ত রাখতে পারি কিংবা নিজেদের মন নিজেরাই ভালো করতে পারি। কিন্তু ওই বয়সটাতে এটা কখনোই সম্ভব হয় না। সব সময় সবকিছুতে অন্যের উপরেই নির্ভর করতে হয়।