"ফুড ফটোগ্রাফি"
নমস্কার
ফুড ফটোগ্রাফি:
মানুষ হচ্ছে খাদ্যরসিক।তাই যেকোনো খাবারের প্রতি মানুষের একটি আলাদা ধরনের অদ্ভুত টান রয়েছে।যাইহোক এটি হচ্ছে একটি কেকের ছবি।যেটা আমরা বড়দিনের দিন কিনে ছিলাম।এই দিনে কমবেশি সকলেই কেক খেয়ে থাকে।এই কেকটি ছিল এগলেস,যেটি আমরা আমাদের বাবা-মায়ের উদ্দেশ্যে কিনেছিলাম।সত্যিই কেকটি খুবই সফট ও মজাদার ছিল।
এটা হচ্ছে ছোলা ভাটুরে।আমি এটি আমাদের ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিন থেকে কিনে খেয়েছিলাম।আসলে বড় বড় ছোলার তরকারির সঙ্গে গরম গরম দু'খানা ভাটুরে খেতে সেই মজার হয়েছিল।প্রথমে আমাকে বেশ অপেক্ষা করতে হয়েছিল।কারণ অর্ডার করার পর তারা গরম গরম ভাটুরে ভেজে দেয় ফুলিয়ে আর সঙ্গে সালাদও দিয়ে দেয়।
এটা হচ্ছে ডিমের চপ সঙ্গে ঘুঘনি ফ্রি।আমার কিন্তু ঘুঘনি খেতে খুবই ভালো লাগে, এটা খাওয়ার আগে আমরা এত জিনিস খেয়েছিলাম যে ডিমের চপ খেতে ভালোই লাগছিলো না।আসলে ডিমের কুসুমটি বেশ বড় ছিল আর খেতে ভালো লাগছিলো।কিন্তু ডিমের গায়ের কোট করে নেওয়া বিটকপির সবজি আমার কাছে ভালো লাগেনি।খুবই কম ঘুঘনি এর সঙ্গে ফ্রি ছিল সঙ্গে সালাদ।
এগুলো হচ্ছে সৌরি বা সোবরি কলা।ছোটবেলা থেকেই এই কলার প্রতি আলাদা একটা টান কাজ করে।তাইতো বাড়িতে কত প্রকার কলা থাকতেও ট্রেন থেকে সৌরি কলা কিনে আনলাম।অথচ আমাদের বাড়িতে কুলপাত কলা,কাঠালি কলা,সাগর কলা,কাঁচকলা, বিচিকলার সমাহার রয়েছে কিন্তু মন ওই সৌরি কলার দিকে।যদিও গাছ লাগানো হয়েছে এই কলার, তবে ধরার নাম নেই।যাইহোক কলাগুলি খুবই ফ্রেস ছিল।
এটি হচ্ছে ছোট কেক।তবে এটি এগলেস নয়,কেক আমার খুবই পছন্দের।কেক খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে,এটাও আমরা বড়দিনের দিন খেয়েছিলাম।আসলে কার্জন গেট থেকে ঘড়ি কেনার পর সেই পুরোনো বিখ্যাত রামকৃষ্ণের লস্যির দোকানে যাই।গিয়েই দেখি অনেক ধরনের কেক তোলা হয়েছে দোকানে তাই সাদা রঙের কেকটি কিনে খেলাম।খুবই মজাদার ছিল খেতে এটি।
এটি হচ্ছে ডিম পোজ।একটু ভিন্নভাবে ডিমের পোজটি করেছিলাম তাই খেতেও বেশ মজার হয়েছিলো।এটা তৈরির পর দেখতে অনেক সুন্দর ও লোভনীয় লাগছিলো।প্রথমে আমি পেঁয়াজ ও মরিচ কুচি বিছিয়ে দিয়ে তারপর ডিম দিয়ে পোজ করে মসলা ছড়িয়ে দিয়েছিলাম উপর থেকে।
এটি হচ্ছে ঘটি গরম রেসিপি।দূর থেকে চানাচুরের মতো মনে হলেও এতে মিক্সড কোনো কিছু রয়েছে।খেতে বেশ ভালোই লাগে, তবে গরম ভাবটা আর খুঁজে পাওয়া যায় না।আমি তো নাম শুনেই গরম কিছু খুঁজতে শুরু করে দিয়েছিলাম,হি হি☺️☺️.
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল। ডিম পোজ দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। প্রতিটি ফটোগ্রাফি এর পাশাপাশি সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু কয়েকটি ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
টাস্ক প্রুফ:
অসাধারণ আপু আপনি অনেক সময় নিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন এঙ্গেলে বেশ কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আপনার মোবাইলে ক্যাপচার করে পরবর্তীতে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। আপনি আপনার দক্ষ হাতে ফটোগ্রাফিগুলো করে নিখুঁতভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে তবে সবচাইতে বেশি ভালো লেগেছিল ঘটি গরম মিক্সড চানাচুরের ফটোগ্রাফি। কারন আমার খুবই খেতে ইচ্ছে করছে। যাইহোক আপু আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর সুন্দর কিছু মুখরোচক খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
চানাচুর খেতে আমারও খুব ভালো লাগে, আপনার অনুভূতি জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।
কত রকম খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু দেখেই অনেক ভালো লাগছে।আপনি অনেক সুন্দর করে প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে বেশ ভালো লাগে। সোবরি কলা খেতে আমি অনেক পছন্দ করি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সোবরি কলা আপনারও পছন্দের জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ ভাইয়া।
বেশ কয়েকটি মুখরোচক খাবারের ফটোগ্রাফি দিয়ে একটি অ্যালবাম সাজিয়েছেন। আপনার শেয়ার করা খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার জিহ্বায় জল চলে এসেছে আপু। বিশেষ করে আপনার শেয়ার করা ডিম পোজ রেসিপি টি দেখে একটু বেশি ভালো লেগেছে। এছাড়া ও বাকি সব খাবারের ফটোগ্রাফি বেশ দারুন ছিল।
ওই একটাই রেসিপি আমি বাড়িতে তৈরি করেছিলাম নিজে ভাইয়া, বাকিগুলি কিনে খেয়েছি।ধন্যবাদ আপনার সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।
সাদা গোল লম্বা মত যে কেকটা তুমি খেয়েছ সেটাকে আসলে সুইস রোল বলে। খেতে তো চমৎকার হয়ই আর দেখতেও ভালো লাগে।
বাকি কলেজ ক্যান্টিনের খাবার হিসেবে ছোলে ভাটুরে দেখে এই কয়েকদিন আগেকার একটি ছোলে ভাটুরের কথা মনে পড়ল। ভাটোরাটা এত বড় ছিল যে তিনজনে খেয়ে উঠতে হাপিয়ে গেছিলাম৷ থালাতেও ধরচ্ছিল না৷ হা হা হা। যাইহোক বাকি ছবিগুলোও বেশ লোভনীয়।
ভিন্ন ভিন্ন ধরনের খাবারের ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। কেক আমার পছন্দের একটি খাবার। ঘটি গরম রেসিপিটাকে আমাদের দিকে চানাচুরের ঝালমুড়ি বলে। যাইহোক, ধন্যবাদ আপনাকে মজাদার খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার তো লোভ লেগে যাচ্ছে। দারুন দারুন সব খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন। সত্যি খাবার খেতে মানুষ ভীষণ পছন্দ করে। আপনার ধারণ করা ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে আমার সব থেকে ভালো লাগলো কেকের ফটোগ্রাফি কেননা কেক আমার ভীষণ পছন্দ। ধন্যবাদ আপু।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!