"কিছু উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা"
নমস্কার
কিছু উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা:
চলছে শীতকাল।শীতে চাদর মুড়ি দিয়ে বিছানা থেকে যেন উঠতেই মন চায় না ভোরে।তারপরও ঠকঠকিয়ে উঠে দেখি চারিদিকে ধোঁয়াশাময় পৃথিবীর এক অপূর্ব মিলন।যেন ঝাপসা ধোঁয়াগুলি এদিক থেকে ওদিকে ছুটে চলেছে অনবরত তা বেশ খালি চোখে দেখা যায়।আবার কুয়াশার শিশির বিন্দুগুলি ঘাসের গায়ে জমাট বাঁধে, কখনো মাকড়সা জাল বুনে শিকারের খোঁজে আবার গাছের পাতা থেকে টুপটুপ করে ঝরে পড়ে শিশিরের বিন্দুগুলি।আর এই সবকিছুই যেন রোদের আগমনে কোথায় মিলিয়ে যায়।কিন্তু রোদের দেখা পাওয়ার আগেই আমাকে সকালে স্নান সেরে রেডি হতে হয় ইউনিভার্সিটি যাওয়ার উদ্দেশ্যে।
বাড়ি থেকে বের হয়ে ইউনিভার্সিটিতে যেতে প্রায় দুই ঘন্টা সময় লাগে,যেতে আসতে মোট চার ঘণ্টা সময় পার হয়ে যায় আমার।কারণ আমার ইউনিভার্সিটি প্রপার বর্ধমান শহরে অবস্থিত কিন্তু আমি থাকি বর্ধমান জেলার মধ্যে তবে একটু গ্রাম্য এলাকায়।শীতের দিনে সময়ের সঙ্গে পেরে ওঠা খুবই মুশকিল।দেখতে দেখতেই যেন সকাল থেকে কখন সন্ধ্যা হয়ে যায় ঠিক ঠাওর করা যায় না।তেমনি সমস্ত ক্লাস সেরে বাড়ি ফিরতে ফিরতে আমার রাত হয়ে যায়।বাড়ি ফিরে বেশ ক্লান্তি লাগে শরীরে।
যাইহোক আসলে আমরা বলি ছোট-বড় সকলের কাছ থেকেই আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।তেমনি আমাদের ইউনিভার্সিটিরই একজন স্টুডেন্ট ছিলেন এই দাদা।হয়তো দুই এক বছর আগেই তিনি এখান থেকে এম.এ পাস করে বের হয়েছেন।যদিও আমার এটা প্রথম বর্ষ,যাইহোক তো এই দাদা ইউনিভার্সিটি ছেড়ে চলে গেলেও প্রতিটা সময় স্যার ও ম্যামদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন।তবে তিনি একঘেয়েমি কোনো কিছুর মধ্যে আটকে ছিলেন না।তিনিও আমাদের মতোই ইতিহাসের স্টুডেন্ট ছিলেন,আর আমাদের স্যার ও ম্যামরাও চান না আমরা কখনো একমুখী হয়ে এগোয়।আমাদের স্যার ও ম্যামেরা আমাদের এই উৎসাহ দেন যে, আমরা যে বিষয় নিয়ে পড়ি না কেন নানা বিষয়ের দিকে যেতে।অর্থাৎ নিজে স্বনির্ভর বা স্বাবলম্বী হওয়াটা চাই আর বর্তমানে সেটা ভীষণই জরুরি।তেমনি এই দাদাও কোনো একদিকে ছোটার পরিকল্পনায় হয়তো অনেক সংগ্রাম করেছিলেন।কিন্তু সেটা সম্ভব না বলে তিনি জীবনটাকে অন্যদিকে নিয়ে গেছেন যেটা আমাদের জন্যও অনুপ্রেরণা ও উৎসাহের বটে।
এখন এই দাদাটি তার কঠিন প্রচেষ্টায় নিজেকে দ্বার করাতে সক্ষম হয়েছেন।তিনি এখন কলকাতা পুলিশের এস.আই (SI) হয়েছেন।তাই ইউনিভার্সিটিতে স্যার ও ম্যামদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন।আমরাও যাতে তার থেকে উৎসাহ পেতে পারি তার জন্য কিছু সময় একত্রে কাটানো সকলের।আসলে এই চাকরির পাশাপাশি রেলের চাকরিরও জয়েনিং লেটার এসেছে দাদার কাছে।তাই তিনি আমাদের বলছিলেন----
আমি কোন চাকরিটা করবো সেটার জন্যই কনফিউশনে আছি।আসলে তোমরা কারো সঙ্গে নিজেকে তুলনা করবে না।সবসময় নিজের সঙ্গে নিজেই লড়াই করবে।তখন হাজারো পথ খুলে যাবে তোমাদের সামনে,যদিও প্রথমে অনেক বাঁধা আসবে।আসলে এটা আমাদের জন্য যেমন অনুপ্রেরণামূলক কথা ছিল তেমন স্যার ও ম্যামদের জন্য আনন্দের বা গর্বের বিষয় ছিল।
এছাড়া আমাদের HOD ম্যামও কিছু কথা বলেন।সবশেষে বেশ কিছু ফটো তোলা হয় সকলের।আমাদের সিনিয়ররা এই ফটোগুলি তুলেছিলেন এবং গ্রূপে শেয়ার করেছিলেন।তো আমি আমাদের ঐ গ্রূপ থেকে ছবিগুলো নিয়েছি পরবর্তীতে।আশা করি এ থেকে আপনারাও কিছুটা অনুপ্রেরণা খুঁজে পেতে পারেন।তো আজ এই পর্যন্তই।।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।।
টুইটার লিংক
0.00 SBD,
0.00 STEEM,
0.00 SP
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
টাস্ক প্রুফ:
জীবনে বড় হতে গেলে বা সামনে এগোতে গেলে অনুপ্রেরণার বিরাট মূল্য রয়েছে। সফল ব্যক্তিদের অনুপ্রেরণা একরকম, আর অসফল ব্যক্তি থেকে সফল হওয়ার অনুপ্রেরণা আরেকরকম। তবে আমিও সহমত একমুখী হলে চলে না। বর্তমান যুগ যেমন সেখানে বহুমুখী হয়ে চলাই নিজেদের ভবিষ্যতের পক্ষে উপযুক্ত। তোমার জন্য অনেক শুভকামনা রইল। তুমি নিশ্চয়ই একদিন তোমার উদ্দেশ্যে সফল হবে।
আশীর্বাদ করো দিদি,এত সুন্দর মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো ।অনেক ধন্যবাদ তোমাকে ,ভালো থেকো।
জীবনে চলার পথে উৎসাহ ও উদ্দীপনার ভীষণ দরকার।নিজের মতামতের দাম দিয়ে চললেও কারো কারো কথায় অনুপ্রেরণা নিয়ে এগিয়ে গেলে এগিয়ে যাওয়াটা সহজ মনে হয়।কিছু কিছু মানুষের কাছ থেকে পাওয়া অনুপ্রেরণা আমাদেরকে ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে সহায়তা করে।অনেক ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে। ধন্যবাদ দিদি শেয়ার করার জন্য।
একেবারেই সঠিক বলেছেন আপু।নিজের মতো করে চলতে হবে তবে অন্যদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণাগুলি কাজে লাগিয়ে।ধন্যবাদ আপনাকে।